• ফুটবল

চেকের "চেকমেট"!

পোস্টটি ১৬৭০ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।
স্টিভেন হান্ট পা চালানোর ব্যাপারে আরেকটু সাবধানী হতেই পারতেন। ২০০৬ সালের অক্টোবর মাস চলছে তখন। দক্ষিণ ইংল্যান্ডের রেডিং ফুটবল ক্লাব লিগ চ্যাম্পিয়ন চেলসিকে আতিথ্য দিচ্ছিল। তবে দর্শকেরা নিজেদের আসনে ঠিকঠাকভাবে বসার আগেই ঘটে গেলো অঘটন। রেডিং গোলকিপার মার্কাস হ্যানিম্যানের লং কিক গ্লাভসবন্দী করতে বক্সের বাঁ দিকে এগিয়ে এসেছিলেন পেতার চেক। রেডিং উইঙ্গার স্টিভেন হান্টও সে বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পা বাড়িয়েছিলেন। চেক বল আগলে নেওয়ার পর হান্টের ডান হাঁটু গিয়ে লাগে বিশালদেহী গোলরক্ষকের মাথায়। ফলাফল- খুলিতে ফাটল, ক্যারিয়ার তো বটেই জীবনটাও ঝুঁকির মুখে পড়ে গিয়েছিল চেক প্রজাতন্ত্রের “নাম্বার ওয়ান” এর। তবে চেক মাঠে ফিরেছিলেন, কে জানে ফিরতে না পারলে কী হতো? চেলসির মিউনিখ মহাকাব্য কি অন্য কারো হাত ধরে রচিত হতে পারতো? টেরি, ল্যাম্পার্ড, দ্রগবারা তো ছিলেনই কিন্তু রাগবি হেলমেট পড়া এক মহানায়ক না থাকলে চেলসির ট্রফি ক্যাবিনেটে ইউরোপের ফুটবলের সবচেয়ে দামী পুরস্কারের জায়গাটা ফাঁকাই থাকতো। নিজের দেশটা ইউরোপের ফুটবলে নেহায়েত মধ্যবিত্ত বলে অনেকের সর্বকালের সেরাদের তালিকায় হয়তো পেতার চেকের নাম আসে না, কিন্তু ইংলিশ ফুটবলের আধুনিক যুগে গোলবারের নিচে ওমন অতন্দ্র প্রহরীই বা হতে পেরেছেনই বা ক’জন?
 
  • পেতার চেকের মা-বাবা দু’জনেই ছিলেন অ্যাথলেট। জিনগত বিশেষ সুবিধা পাওয়ার কারণে খেলার মাঠে আর দশটা ছেলের মাঝে পেতারকে আলাদা করে চেনা যেত। তবে মাঠে নয়, শৈশবে চেকের তারকাখ্যাতির উৎসটা বিনোদনের ঝলমলে দুনিয়ায়। মাত্র ন’ বছর বয়সে চেক ভাষার বিখ্যাত টিভি ধারাবাহিক “টেরিটরি অফ দ্য হোয়াইট ডীয়ার” – এ দারুণ অভিনয় করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলো “বিস্ময়বালক” পেতার। তবে ফুটবলের সবুজ ঘাসের অমোঘ আকর্ষণটা কি খুব বেশিদিন উপেক্ষা করে থাকা যায়? দেশের অন্যতম নামকরা ফুটবল ক্লাব ভিক্তোরিয়া পল্‌যেনের একাডেমিতে ফুটবলের প্রথম পাঠ নেয়া শুরু হলো চেকের। গায়েগতরে বেশ বেড়ে ওঠায় শুরুতে অবশ্য স্ট্রাইকার খেলতেন, উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে কার্যকরী এক “টার্গেটম্যান” হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলছিলেন। কিন্তু দশ বছর বয়সে পা ভেঙ্গে যাওয়ার পর নতুন বাঁক নিলো পেতারের ছোট্ট ক্যারিয়ার। সেরে ওঠার সময়টাতে গোলবারের নিচে দাঁড়িয়ে ঠেকা কাজ চালিয়ে নিতে লাগলেন, কিন্তু সেই পার্ট-টাইম গোলকিপিংটাই একসময় মূল ভালোবাসা হয়ে দাঁড়ালো। তবে পেশাদার ফুটবলে পথচলাটা অবশ্য চামেল ব্লিসানি ক্লাবের হয়ে। কৈশোর পেরোনোর আগেই চেককে নিয়ে বেশ হৈচৈ পড়ে গিয়েছিল তাঁর দেশে। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ২০০১ সালে চেক প্রজাতন্ত্র তো বটেই মধ্য ইউরোপের সবচেয়ে সফল ক্লাব স্পার্তা প্রাগ সাড়ে পাঁচ বছরের চুক্তিতে দলে ভেড়ায় চেককে। প্রথম মৌসুমেই সবচেয়ে বেশি মিনিট গোল না খাওয়ার রেকর্ড গড়লেও সেবার লিগ জেতা হয়নি চেকের। ইউরোপের নামীদামী ক্লাবগুলো অবশ্য ততদিনে বেশ নড়চড়ে বসেছে। আর্সেনালে যোগ দেয়াটা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেলেও কর্ম অনুমোদনের জটিলতায় সেবার লন্ডনে পাড়ি জমানো হলো না চেকের।
5464492_
 
  • তবে ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ঠিকই ভিনদেশে রওনা হতে হলো তরুণ পেতারকে। লন্ডন থেকে প্রায় অর্ধসহস্র মাইল দূরের এক ক্লাবে যোগ দিলেন চেক ফুটবলের উঠতি তারকা – ফ্রান্সের ক্লাব রেনে। রেনেতে একবছর কাটানোটা সম্ভবত চেকের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন সময়গুলোর একটি, অবনমনের চোখরাঙ্গানিতে সদা তটস্থ এক ক্লাবের হয়ে খেলতে নেমে ফুটবল দুনিয়ার নির্মম বাস্তবতার মুদ্রার ওপিঠও দেখা হয়ে গেলো তাঁর। মে মাস পর্যন্ত পয়েন্ট টেবিলের একদম তলানিতে থাকা দলটি অবশ্য অলৌকিকভাবে অবনমন এড়িয়ে গেলো রেনে। এবার ভাগ্যদেবীও মুখ তুলে তাকালেন চেকের দিকে। শেষমেশ লন্ডনে ফুটবল খেলার অনুমতি পাওয়া গেলো, তবে উত্তর লন্ডনের ক্লাব আর্সেনালের হয়ে নয়, দক্ষিণ-পশ্চিমের দল চেলসিতে। সাত মিলিয়ন পাউন্ড হয়তো বর্তমান দলবদলের বাজারে খুচরো পয়সা মনে হতে পারে, কিন্তু সেই সময়ে কোনো গোলরক্ষকের পেছনে এমন অঙ্ক ঢালাটা অনেকের কাছে বেশ বোকামিই মনে হয়েছিল। রোমান আব্রামোভিচ তখন ইংলিশ ফুটবলে নতুন সাম্রাজ্য গড়ে তুলছিলেন, আর সেই নবযুগের কাণ্ডারি জোসে মরিনহো তাই চেককে দলে নিতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি। যদিও চেক স্ট্যামফোর্ড এসেছিলেন ক্লদিও রানিয়েরি আমলের একেবারে শেষভাগে। চেলসিতে তখন গোলবারের নিচে প্রথম পছন্দ ছিলেন ইতালিয়ান শটস্টপার কার্লো কুদিচিনি। কিন্তু প্রাক-মৌসুমে কুদিচিনির চোটের “সর্বনাশে” চেকের “পৌষমাস” এলো। দলে জায়গা পাকা করার সুযোগটা লুফে নিলেন বললে ভুল হবে, বিশ্বস্ত গ্লাভসজোড়া দিয়ে যেন সর্বশক্তিতে আঁকড়ে ধরলেন। প্রথম ম্যাচেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ক্লিনশিট রাখলেন, লিগের ৩৮ ম্যাচে আরো ২০ বার সাদা খাতায় দাগ পড়তে দেননি – সে রেকর্ড এখনো কেউ ছুঁতে পারেনি। লিগে টানা ১,০২৫ মিনিটে গোলবার অক্ষত রেখেছিলেন, লিগে মাত্র ১৫ গোল খাওয়ার রেকর্ডটা ভাঙ্গতে পারেনি লিগের অন্য কোনো গোলপ্রহরীই। পরের মৌসুমেও লিগ শিরোপা ধরে রাখলো মরিনহোর শিষ্যরা, চেকের জালে বল ঢুকলো মাত্র ২২ বার। সেবারই প্রথমবারের মতো চেক প্রজাতন্ত্রের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হলেন এই ঊর্ধকায় গোলরক্ষক।
 
  • ২০০৬-৭ মৌসুমে হান্টের সেই চ্যালেঞ্জে ফুটবল তো বটেই দুনিয়াকেই বিদায় বলে দিতে হচ্ছিল। প্রাথমিকভাবে আঘাত কতোটা গুরুতর সেটা বোঝা না গেলেও ডাক্তার পরে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন তাৎক্ষণিক অস্ত্রোপচার না করলে চেকের জীবন নিয়েই টানাটানি পড়ে যেত। ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়েছিলেন ফুটবল খেলাকে ভুলে যেতে, কারণ একই স্থানে আবার আঘাত পেলে জীবননাশের আশঙ্কা প্রবল। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে মাত্র তিনমাসের মাথায়ই মাঠে ফিরে এলেন পেতার চেক। এবার অবশ্য মাথায় শোভা পেলো রাগবি হেলমেট। ক্যারিয়ারের পরবর্তী অংশটাতে সেই “আইকনিক” রাগবি হেলমেট ছাড়া ভুল করেও মাঠে নামেননি তিনি। ২০০৭-৮ মৌসুমটা হয়তো চেলসি ফুটবল ক্লাবের জন্য এক দুঃসহ অভিজ্ঞতা ছিল, চেকের জন্যও। লিগ কাপের ফাইনালে তাঁর ভুলেই জোনাথন উডগেট টটেনহামকে শিরোপা জেতাতে পেরেছিলেন। এপ্রিলে ভবিষ্যৎ সতীর্থ তাল বেন হাইমের সাথে সংঘর্ষের ফলে চেকের মুখ-চিবুকে পড়লো পঞ্চাশটা সেলাই। মস্কোর একবুক দীর্ঘশ্বাসের রাতটাতে শ্যুট-আউটে চেলসিকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এগিয়েছিলেন এই চেকই। মৌসুমে ৪২ গোল করা সেই সময়ের সেরা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর স্পটকিকটা ডানে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন, টেরি ও আনেলকার ব্যর্থতায় ইউরোপিয়ান কাপের স্বপ্নটা বাস্তবতার জমিন ছুঁতে পারেনি।
5613024448_ec602bca81_b
 
  • পেতার চেকের কথা বলতে গেলে ২০১২ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের কথা অবধারিতভাবেই চলে আসবে। খলনায়ক থেকে নায়কের চিত্রনাট্যে দ্রগবা মূল চরিত্র হলেও চেকের অবদান কোনো অংশেই কম নয়। বায়ার্ন মিউনিখের আঙ্গিনায় বুক চিতিয়ে একের পর এক শট ঠেকিয়ে গেছেন, তাই ৮৩ মিনিটে টমাস মুলারের হেড যখন গোলের ড্রপ খেয়ে চেকের মাথার ওপর দিয়ে জালে ঢুকে গেলো – মনে হচ্ছিল চেলসি সমর্থকদের অপেক্ষটা বুঝি কখনো শেষ হবে না। দ্রগবা গোল করে নায়ক হলেন, আবার অতিরিক্ত সময়ে রিবেরিকে বক্সের মধ্যে ফাউল করে বায়ার্ন মিউনিকের কাপটা বোধহয় তুলেই দিলেন। চেক অবশ্য তখনো লড়ে যাচ্ছেন, সাবেক সতীর্থ রবেনের পেনাল্টি রুখে দিয়ে ম্যাচটাকে শ্যুট-আউটের নার্ভের খেলায় নিয়ে গেলেন। চেলসির প্রথম শট ঠেকিয়ে দিলেন নয়্যার, বায়ার্নের প্রথম তিন শট ঠিকই জালে জড়ালো। চর্তুথ শটে অলিচকে রুখে দিলেন চেক। অ্যাশলি কোলের দারুণ নিশানাভেদে প্রথমবারের মতো সমতা আনতে পারলো চেলসি। পঞ্চম শট নিতে এলেন জার্মান কিংবদন্তি বাস্তিয়ান শোয়াইনশটাইগার। আলতো করে প্লেস করতে চেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু চেকের বাঁ হাতের আঙ্গুল ছুঁয়ে ডানদিকের পোস্টে লেগে ফিরে এলো বল। এই বুঝি সেই মুহূর্ত! নাকি চার বছর আগের সেই স্বপ্নভঙ্গটা পুনঃমঞ্চস্থ হবে। শর্ট রান-আপ নিয়ে দ্রগবা ১২ গজের খেলায় নয়্যারকে পরাস্ত করতেই গ্যালারির ছোট্ট নীল সমুদ্রটাতে উথাল-পাথাল ঢেউ জাগলো। দ্রগবা কী করবেন ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলেন না, তাই চেককে জড়িয়ে ধরাটাই হয়তো কর্তব্য মনে করলেন সর্বকালের সেরা আইভরিয়ান। মাথার ওপরে বিরাট কানওয়ালা কাপটা তুলে ধরার সময়ে কি পেতার চেকের স্মৃতিপটে কি রেডিংয়ের সেই দুর্বিষহ দিনটার কথা একটিবারের জন্যও ভেসে উঠেছিল? উত্তরটা ‘না”বোধক, কারণ সেদিনটা নাকি চেকের স্মৃতি থেকেই মুছে গেছে। শত শত দারুণ সব সেভের ভিড়ে সেরাটা বেছে নিতে হলে হয়তো অনেকেই এই ইউরোপিয়ান বীরত্বগাথার দু’সপ্তাহ আগের আরেকটা ফাইনালে ফিরে যাবেন। এফএ কাপের ফাইনালে ২-১ গোলে এগিয়ে থাকা চেলসির জন্য সেই সেভটা মহাগুরত্বপূর্ণ ছিল। বদলি হিসেবে নামা লিভারপুলের অ্যান্ডি ক্যারল ইতোমধ্যেই একবার চেককে পরাস্ত করেছিলেন, কিন্তু ৮১ মিনিটের দারুণ জোরালো হেডটা যেভাবে থাবা মেরে ফিরে দিয়েছিলেন চেক, সেটার জন্য “অবিশ্বাস্য” বিশেষণটাও হয়তো কম হয়ে যাবে।

960

 
থিবো কর্তোয়া আসার পর খেলার সুযোগ কমে যাওয়ায় ১১ বছরের বন্ধন ছিন্ন করে আর্সেনালে পাড়ি জমিয়েছিলেন “চেকের প্রাচীর”। প্রথম মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের “গোল্ডেন গ্লাভ” জিতলেও এরপরে পারফর্মেন্সের গ্রাফটা নিচের দিকেই নামছিল। ভাগ্যের পরিহাসে সেই চেলসির বিপক্ষেই ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলেছেন, একের পর এক সেভ করেও আজারবাইজানে ইউরোপা লিগের ফাইনালে ৪-১ গোলে আর্সেনালের অসহায় আত্মসমর্পণ বিদায়ের আয়োজনে জল ঢেলে দিয়েছিল। তবে চেককে ফুটবল বিশ্ব বিজয়ী হিসেবেই মনে রাখবে। গোলরক্ষকেরা লম্ফঝম্ফ করে গোল ঠেকালেই হয়তো সাধারণ দর্শকের নজর কাড়েন। তবে ওয়ান অন ওয়ানে হোক, ক্লোজ রেঞ্জ কিংবা লং শটে – চেককে পরাস্ত করতে বিশেষ কিছু করতেই হতো। পজিশনিং সেন্স ছিল দারুণ, পা দিয়ে দক্ষতার সাথে শট ঠেকিয়ে দিতে পারতেন, শট ঠেকাতে উচ্চতার পূর্ণ ফায়দা নিতেন। রেকর্ড ন’বার চেক প্রজাতন্ত্রের বর্ষসেরা ফুটবলার কি পাভেল নেদভিয়েদের চেয়ে ভালো ফুটবলার ছিলেন? ইউরোপ ফুটবলের কুলীন কোনো দেশে জন্মালে কি সাধারণ ফুটবল সমর্থকদের চোখে কাসিয়াস-বুফন-নয়্যারদের সাথে এক কাতারে দাঁড়াতে পারতেন। বিতর্কটা না হয় তোলাই থাক। তবে পরিচিত কোনো চেলসি ভক্তকে জিজ্ঞেস করলে অবশ্য গথবাঁধা উত্তরই পারেন। হ্যাঁ, পেতার চেকরা একশ বছরে একবারই জন্মান। ২০১২ সালের মিউনিখের সেই রাতে এই সত্যটাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। চেক প্রজাতন্ত্রের চেক ফুটবল মাঠে কিন্তু রাজাই ছিলেন!