• লা লিগা
  • " />

     

    ফ্রি-কিকে মেসির সফলতার 'রহস্য'

    ফ্রি-কিকে মেসির সফলতার 'রহস্য'    

    বক্সের একটু বাইরে বার্সেলোনার কাউকে ফাউল করল প্রতিপক্ষ, রেফারি বাজালেন ফ্রি-কিকের বাঁশি। এরপর লিওনেল মেসির বাঁ পায়ের বাঁকানো শট গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে জালে ঢুকল। গত কয়েক মৌসুমে বার্সেলোনার ম্যাচে এ যেন খুব পরিচিত এক দৃশ্য। সময়ের সাথে সাথে ফ্রি-কিকে মেসি যেন হয়ে উঠছেন রীতিমত অপ্রতিরোধ্য। তাঁর এই ‘ফ্রি-কিক ম্যাজিকের’ রহস্যটা আসলে কী?

    বার্সেলোনার হয়ে অভিষেকের প্রথম চার বছরে ফ্রি-কিকে কোনো গোল পাননি মেসি। প্রথম দুই মৌসুমে অবশ্য সরাসরি গোলপোস্টের দিকে কোনো ফ্রি-কিকই নেননি তিনি। পরের দুই মৌসুমে নিয়েছেন মাত্র ছয়টি ফ্রি-কিক, গোল আসেনি একটিতেও।

    ফ্রি-কিকে বার্সার হয়ে মেসির প্রথম গোল আসে ২০০৮-০৯ মৌসুমে। সেই শুরু, এরপর টানা এগারো মৌসুম ধরেই ফ্রি-কিকে গোল করে আসছেন মেসি। এখন পর্যন্ত ৪০৭ ফ্রি-কিকে মেসির গোল ৩২ টি। গত মৌসুমে ৭২টি ফ্রি-কিক নিয়ে মেসির গোল ছিল ৭টি, যা এক মৌসুমে তাঁর সর্বোচ্চ। এই মৌসুমে এরই মাঝে ফ্রি-কিকে মেসি পেয়েছেন ৪টি গোল। এস্পানিওলের বিপক্ষে লা লিগায় এক ম্যাচে প্রথমবারের মতো ফ্রি-কিকে জোড়া গোল পেয়েছেন তিনি।

     

     

    গত কয়েক মৌসুম ধরেই ফ্রি-কিকে মেসির গোলের সংখ্যা শুধু বাড়ছেই। এর পেছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ। প্রথমত, এখন রেফারিরা ফ্রি-কিকের সময় বল থেকে ৯.১৫ মিটার দূরে দেয়াল হয়ে দাঁড়ানো ফুটবলারদের অবস্থান নিতে বলেন। নতুন এই নিয়মে বেশ সুবিধা পাচ্ছেন মেসি। দেয়াল খানিকটা দূরে হওয়ায় শটটা নির্দিষ্ট দিকে বাকিয়ে নেওয়াটা সহজ হয় তাঁর জন্য। অনুশীলনে একই দূরত্বে প্লাস্টিকের পুতুল ও গোলপোস্টের সামনে 'ডামি গোলরক্ষক' দাঁড় করিয়ে নিয়মিত অনুশীলন করেন এই আর্জেন্টাইন।

    মেসি বদলে ফেলেছেন ফ্রি-কিকে শট নেওয়ার ধরনও। ক্যারিয়ারের প্রথমদিকে নিজের ডান পায়েই সব ভর দিতেন তিনি। এখন সেই ভর কিছুটা সরে এসেছে বাঁ পায়েও। শট নেওয়ার মুহূর্তে দুই পায়ের বুটই মাটির সাথে লাগিয়ে রাখেন মেসি।

    এছাড়াও আগে শট নেওয়ার সময় ও পরে মেসির কাঁধ ও বুক অনেকটাই বেঁকে যেত। এখন সেই বেঁকে যাওয়াটা অনেক কমেছে। ফ্রি-কিক নেওয়ার সময় মেসি আগের চেয়ে অনেক বেশি সোজা অবস্থায় থাকেন। এতেই হয়ত খুব কম ফ্রি-কিকই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। 

    কৌশল বদলেছে, বাড়ছে গোলের সংখ্যাও। ‘বদলে যাওয়া’ মেসির ফ্রি-কিক নেওয়া মানেই যেন প্রতিপক্ষের জন্য বাড়তি দুশ্চিন্তা।

    সূত্র-মার্কা