জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অবসরে যাচ্ছেন না মাশরাফি
বিসিবি সভাপতির কোচ ঘোষণা কথা করার কথা ছিল বেলা একটায়। এর মধ্যেই দেখা গেল বিসিবি কার্যালয়ে ঢুকছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। খানিক পরেই আবার বেরিয়ে এলেন, মুখটা যেন খানিকটা গম্ভীর। পরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নিশ্চিত করলেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলে এখনই অবসর নিচ্ছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। বোর্ডের কাছ থেকে অবসর নিয়ে ভাবার জন্য আরও দুই মাস সময় চেয়েছেন তিনি।
মাশরাফি অবসর নেবেন, বেশ কিছুদিন ধরেই সেই ভাবনাটা ভেসে বেড়াচ্ছিল বাতাসে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানকেও এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল একাধিকবার। তিনি মাশরাফির হাতেই ছেড়ে দিয়েছিলেন ব্যাপারটা। এমনকি বিশ্বকাপের শেষে পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচের আগেও উঠেছিল গুঞ্জন। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা খেলেছিলেন মাশরাফি, অবসরের কোনো ইঙ্গিতও দেননি।
দেশে ফেরার পর শ্রীলংকা সফরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তখনও অবসরের কোনো আভাস দেননি। সেই সিরিজে শেষ পর্যন্ত যাওয়া হয়নি মাশরাফির, শেষ মুহূর্তে ছিটকে গিয়েছিলেন চোটে। এই ছয় মাসে বাংলাদেশের কোনো ওয়ানডে নেই, মাশরাফি কতদিন খেলা চালিয়ে যাবেন সেই প্রশ্ন তাই উঠছিল। এর মধ্যেই বিসিবির একাধিক পরিচালক জানালেন, মাশরাফি চাইলে জিম্বাবুয়েকে রাজি করিয়ে একটি ওয়ানডে ম্যাচ আয়োজন করার জন্য তারা ভেবে দেখবেন। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানও বলেছিলেন, মাশরাফিকে তারা এ ব্যাপারে কিছু বলতে চান না। নিজ থেকে কিছু বললেই কেবল বোর্ড এ ব্যাপারে ভাববেন।
এর মধ্যে আজ যখন বিসিবি কার্যালয়ে ঢুকলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। বিসিবি সভাপতির কাছে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠল, বোর্ডের সঙ্গে এ ব্যাপারে কোনো কথা হয়েছে কি না। নাজমুল হাসান অবশ্য বললেন, নতুন কোচ নিয়ে আলাপ করার জন্য ডেকেছিলেন মাশরাফিকে, ‘মাশরাফি এসেছিল দুই কারণে। সাকিবের সঙ্গে আমাদের পরশু দিনের আগের দিন, আমার সঙ্গে ও বসেছিল। ওর সঙ্গে আমি কোচ নিয়ে আলাপ করেছি। যেহেতু সে একজন অধিনায়ক। মাশরাফিও একজন অধিনায়ক তাকেও তাই জানানো হলো।’ তবে অবসর নিয়ে এই মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি বোর্ডকে, সেজন্য দুই মাস সময় চেয়েছেন।
পরে মাশরাফির কাছেও জানতে চাওয়া হয়েছিল এ নিয়ে। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।