• বাংলাদেশ-আফগানিস্তান-জিম্বাবুয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ
  • " />

     

    প্রথম টি-টোয়েন্টি শিরোপার অপেক্ষা ফুরোল বৃষ্টি-হতাশাতেই!

    প্রথম টি-টোয়েন্টি শিরোপার অপেক্ষা ফুরোল বৃষ্টি-হতাশাতেই!    

    দেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি ফাইনাল, এই বছর ঘরের মাঠে নেই কোনো ম্যাচও। মিরপুরে সকাল থেকেই কান পাতলে শোনা যাচ্ছিল টিকিটের জন্য হাহাকার। কিন্তু অনেক কষ্ট করে, এমনকি সাত-আট গুণ দামে টিকিট কেনার পরেও সেই হাহাকার আরও বেড়ে গেল। বেরসিক বৃষ্টি যে পণ্ড করে দিয়েছে সবকিছু! বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো কোনো টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতল বটে, কিন্তু সেটা ভাগাভাগি করতে হলো আফগানিস্তানের সঙ্গে। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় দুই দলই যে যৌথ চ্যাম্পিয়ন।

    টিকিটের জন্য আক্ষেপ ছাড়া আজকের দিনে মিরপুরে আর কোনো ঘটনাও নেই। সেই দুপুর থেকে স্টেডিয়ামের প্রবেশপথে লম্বা সারি। তখনও আকাশ গোমড়া হয়ে এসেছে, তবে বৃষ্টি চোখ রাঙাচ্ছিল। বিকেল পাঁচটা নাগাদ সেই আশংকা সত্যি প্রমাণ হওয়া শুরু হয়েছে। এরপর কখনো ঝিরিঝিরি, আবার কখনো মিহি দানার মতো ঝরেছে বৃষ্টি। খেলা একবার শুরু হয়ে গেলে যা বন্ধ করার মতো না, কিন্তু পুরোপুরি না থামলে খেলা শুরুও তো সম্ভব নয়। দর্শকদের অনেকে খানিকটা ভিজেই গ্যালারিতে অপেক্ষা করছিলেন। সাতটার কিছু পর আফগানিস্তান দলের কয়েকজন মাঠে একপাক হেঁটেও নিলেন। এরপর বাংলাদেশ দল নেমে কিছুক্ষণ ফুটবল অনুশীলন করল, ফুটবলই খেলা হলো আসলে। দুই আম্পায়ার এসে মাঠ দেখলেন, এরপরেই এলো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। রাত নয়টার একটু পরেই ম্যাচের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি টেনে দিলেন দুই আম্পায়ার। 

     

     

    দেশের মাঠে এর আগে ২০১৬ এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে ফাইনালে উঠে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার আফগানদের হারিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট জয়ের হাতছানি ছিল। কাগজে কলমে সেটা অবশ্য লেখা থাকবে, তবে এমন ট্রফি জয়ে দুই দলের কারোরই খুব একটা খুশি হওয়ার কথা নয়। রিজার্ভ ডে না থাকায় দর্শকদেরও শেষ পর্যন্ত হাপিত্যেশই করতে হলো।