• বাংলাদেশ-আফগানিস্তান-জিম্বাবুয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ
  • " />

     

    সুযোগ পেলে নিজেদের প্রমাণ করতে চান জহুরুল-ফরহাদ

    সুযোগ পেলে নিজেদের প্রমাণ করতে চান জহুরুল-ফরহাদ    

    দুজনেই দীর্ঘদিন ধরে দলের বাইরে। একজন জাতীয় দলের বাইরে আছেন পাঁচ বছর ধরে, আরেকজন সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমেছেন ছয় বছর ধরে। জহুরুল ইসলাম অমি এবং ফরহাদ রেজা দুজনেই আছেন আফগানিস্তান টেস্ট ও ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য প্রাথমিক ক্যাম্পে। দুজনেই বললেন, ফিটনেস ও ফর্ম ঠিক থাকলে জাতীয় দলে খেলতে বয়স কোনো ব্যাপার নয়। দুজনেই সুযোগ পেলে নিজেদের আবার প্রমাণ করতে চান জাতীয় দলে।

    ফরহাদ রেজার জন্য ব্যাপারটা একদিক দিয়ে একটু বেশিই অপেক্ষার। ঘরোয়া সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্মার অনেক দিন ধরেই। গত মৌসুমে আলো ছড়িয়েছেন বিপিএলেও। এবার বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজে ডাক পেয়েছিলেন, কিন্তু মাঠে নামার সুযোগ পাননি। শ্রীলংকা সিরিজের ওয়ানডে দলেও ছিলেন। কিন্তু এবারও একাদশের ভাগ্যে শিকে ছেড়েনি। ত্রিদেশীয় সিরিজের দলে হয়তো ডাক পাবেন, কিন্তু খেলতে কি পারবেন? ফরহাদ ধৈর্য হারাচ্ছেন না, ‘আমি আগেও বলেছি যে আমার কাজগুলো ঠিকভাবে করার চেষ্টা করেছি। যেহেতু আমার কাজ ভালো কিছু করার। যখনই সুযোগ আসবে আমি যেন কাজে লাগাতে পারি সেই কারণে প্রস্তুতি নিচ্ছি। এটা তো আসলে আমার হাতে না।’

    ফিটনেস নিয়েই কথা হলো বেশি। কাল জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে ঠিক খুশি হতে পারেননি ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়েন। ফরহাদ অবশ্য বললেন, নিজের ফিটনেস নিয়ে গত চার পাঁচ বছর ধরেই কাজ করছেন নিয়মিত, ‘দেখুন আমার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, আমার শেষ চার পাঁচ বছর ধরে তুষারদা, জয়  (ফিটনেস ট্রেনার) দুজন কাজ করছে। ফিজিও এবং ট্রেইনার। যার ফলে আমি চার পাঁচ বছর ধরে ফিটনেসটি এভাবে রেখেছি। শুধু আমার না, খুব একটা খারাপ আমি বলবো না। ১০ (বিপ টেস্টে) এর ওপরে সবাই ছিল। ১১, সাড়ে ১১ এর কাছাকাছি বেশিরভাগ ছিল। আমার হিসেবে সবাই মোটামুটি ভালোই করেছে, তবে আরেকটু ভালো হতে পারতো। ’

    ফিটনেসের গুরুত্ব স্বীকার করে নিলেন জহুরুল ইসলাম অমিও, ‘অবশ্যই, আপনি দেখেন যদি ক্রিকেটের ৩০ বছরের বেশি হয় তাহলে ভালো বুঝা যায়। কিন্তু আমাদের ঘাটতি হলো আমরা ফিটনেস নিয়ে খুব বেশি কাজ করি না। এই কারণে আমাদের পারফর্মেন্সটিও ভালো হয়না। আর পারফর্মেন্স ভালো হলে এই লেভেলে আসলে ফিটনেস অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। সেটা হয়তো আমরা ধরে রাখতে পারি না। আমি আশা করবো যে ৩০ প্লাস হলে না, ৪০ হলেও যেন এমন ফিটনেস থাকে যেন খেলোয়াড়রা খেলতে পারে। ’   

    কিন্তু এতদিন পর সুযোগ পেলে কতটা কী করতে পারবেন? ফরহাদ রেজার উত্তর থেকেই জিদের আভাস পাওয়া গেল, ‘আল্টিমেটলি ক্রিকেটে তো খেলছি তাই না? জাতীয় দলে না হোক, আমি তো ঘরোয়া ক্রিকেট এবং বিপিএল সবজায়গাতেই খেলছি। বিপিএলে অনেক টপ খেলোয়াড়রাই খেলছে। আসলে আমাকে তো সুযোগ দিতে হবে। নাহলে আপনি কিভাবে বুঝবেন যে আমি পারবো। আমি যদি সুযোগই না পাই তাহলে আর কি হবে? আপনি কখনো জানেন না.....ভালো কিছুও হতে পারে। যদি সুযোগ......এই যে আপনি শেষ চার-পাঁচ বছর বলছেন, আমাকে সুযোগ না দিলে তো আমি বলতে পারবো না। আপনি কীভাবে বলবেন যে আমি পারবো কি পারবো না।’