নিজেকে এখনও শুধু 'টেস্ট স্পেশালিস্ট' ভাবেন না মুমিনুল
আয়ারল্যান্ড ত্রিদেশীয় সিরিজ ও বিশ্বকাপের পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দীর্ঘ সংস্করণে ফিরছে বাংলাদেশ। প্রস্তুত হচ্ছেন তাই মুমিনুল হকও। এশিয়া কাপে শেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন তিনি। না চাইলেও আপাতত তাই তার গায়ে ‘স্পেশালিস্ট টেস্ট ক্রিকেটার’-এর তকমা। নিজেকে শুধুই এক ফরম্যাটের স্পেশালিস্ট হিসেবে মেনে না নিলেও মুমিনুল বলছেন, সেটা একদিক দিয়ে ভালই হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য।
২০১২ সালে ওয়ানডে অভিষেক হওয়া মুমিনুল এ ফরম্যাটে মূলত অনিয়মিত হয়ে পড়েন ২০১৪ সালের পরই। গত বছর এশিয়া কাপের আগে প্রায় তিন বছরেরও বেশি সময় ওয়ানডে খেলেননি তিনি। ৩৫টি টেস্ট খেললেও তাই এখন পর্যন্ত ওয়ানডে খেলেছেন ২৮টি। ‘টেস্ট স্পেশালিস্ট’ হিসেবে আপাতত আক্ষেপ নেই তার, “আমি (স্পেশালিস্ট) টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে (নিজেকে) মেনে নিইনি এখনও। (অবশ্য) আমার কাছে মনে হয়, এটা হওয়াতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ভাল হয়েছে। এ ফরম্যাটে সেভাবে ফোকাস করা হয় না, সেদিক থেকে ভাবলে ভাল হয়েছে।”
শুধুই টেস্ট খেলেন বলে ম্যাচ প্রস্তুতিটা অন ইয় ফরম্যাটের ক্রিকেটারদের মতো নিয়মিত হয় না তার। মুমিনুল ভরসা রাখতে চান অনুশীলনের ওপরই, “টেস্টের জন্য সবসময় বসে থাকলে হয় না। অনুশীলন করি। টেস্টে গড় ভাল হলে, ভালভাবে গেলে সুযোগ তৈরি হবে।
“আগেও বরাবরই বলেছি, মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে। খেলার মধ্যে থাকলে ব্যাপারটা সহজ। জিনিসটা কঠিন মনে করলে কঠিন। আর যদি মনে করি যে ‘ইটস ওকে’, তাহলে ‘ওকে’।”
“(দলের অবস্থা) ম্যাচ খেললে একরকম থাকে। না খেললে আরেক রকম। নিয়মিত খেললে সেটার প্রভাব থাকে। র্যাঙ্কিং বাড়ানোর সুযোগ থাকে।”
ম্যাচ অনুশীলনের সুযোগ অবশ্য মুমিনুল এর মাঝে পেয়েছেন কর্ণাটকে বিসিবি একাদশের হয়ে টুর্নামেন্ট খেলে এসে। ভারতের মাটিতে সিরিজের আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টটিকে ভাল একটা সুযোগ হিসেবেই দেখছেন তিনি, “টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগে আফগানিস্তান টেস্ট ভাল সুযোগ। আফগানিস্তানের স্পিন আক্রমণ সমৃদ্ধ দল, ভারত টেস্টের আগে সেটা ভাল হবে।”