'স্লিপ ফিল্ডিং এক বা দুজনের ব্যাপার নয়'
সমস্যাটা বাংলাদেশের অনেক পুরনো। স্লিপ ফিল্ডিং সবসময় বাংলাদেশের জন্য বড় একটা মাথাব্যথা, বিশেষ করে টেস্টে। সামনে আবার আফগানিস্তানের সাথে টেস্ট সিরিজ শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের, সেখানে স্লিপে আবার ঘুমিয়ে পড়বে না তো বাংলাদেশ? ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক আজ বলেছেন, স্লিপে ফিল্ডিং করার জন্য অল্প বয়স থেকেই অভ্যাস তৈরি করা উচিত।
প্রতি বছর টেস্ট সিরিজের আগেই অবধারিতভাবে এই প্রশ্ন ওঠে। গত বছর সিলেটে তখনকার হেড কোচ স্টিভ রোডসের কাছেও প্রশ্ন করা হয়েছিল এ নিয়ে। বলেছিলে, দেশের বাইরে গেলে বাংলাদেশ উন্নতির ছাপ দেখাতে পারবে বলে মনে করেন। এরপর বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড সিরিজে অবশ্য সেভাবে সুযোগই তৈরি করতে পারেনি।
গত টেস্ট মৌসুমে সৌম্য, মিঠুন, লিটন, মিরাজ, ইমরুলদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে স্লিপে দাঁড় করানো হয়েছিল। কিন্তু খেলোয়াড়রাও সবাই ঠিক স্লিপে দাঁড়াতে স্বচ্ছন্দ নন বলে জানা গেছে একাধিক সূত্রে। ফিল্ডিং কোচ কুকও মানছেন, এটা আসলে অভ্যাসের ব্যাপার, ‘টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আসার আগে এই ব্যাপারটা আমার বেশ গুরুত্ব দিচ্ছি। বিশেষ করে যখন ঘরের বাইরে আমরা খেলছি। আমরা এখন শর্ট ক্যাচ অনুশীলন করছি অনেক। আসলে এটা সংস্কৃতি থেকে আসে, কত অল্প বয়স থেকে এটা আপনি করতে পারবেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় একটা অনূর্ধ্ব ১২ ম্যাচেও চার বা পাঁচজন ফিল্ডার স্লিপে দাঁড়ালে তাতে অবাক হওয়ার মতো কিছু থাকে না। বয়স হলে তাদের আরও অভিজ্ঞতা হবে, সেটাই স্বাভাবিক।’
কুক মানছেন, বাংলাদেশের উইকেটে সেই সংস্কৃতি তৈরি করা কঠিন, ‘বাংলাদেশের মন্থর আর নিচু হয়ে আসা উইকেটে লম্বা সময় ধরে আপনি হয়তো কাউকে স্লিপে দাঁড়াতে দেখবেন না। ওয়ানডের আগে গত বেশ কিছু মাস ধরে এটা আমরা করে আসছি। এবং যখন আমরা বের করতে পারব ওখানে কারা দাঁড়াতে পারবে তখন কাজটা সহজ হয়ে যায়।’ কুক জোর দিয়ে বললেন, স্লিপ ফিল্ডিং এক বা দুজনের ব্যাপার নয়। এটা আসলে অনেকজন খেলোয়াড়ের ওই একই পজিশনে দাঁড়িয়ে ক্যাচ নেওয়ার ব্যাপার। এবং আপনি ক্রিকেটে দেখুন, স্লিপে যারা সবচেয়ে ভালো তাদের অনেক বছর ধরে স্লিপে দাঁড় করানোর মতো বেশ কজন খেলোয়াড় আছে। যারা নিয়মিত ক্যাচ ধরতে পারে তাদের ওপর আমাদের ভরসা করতে হবে। যারা এই পজিশনে সেরা তাদের আমাদের কাজে লাগাতে হবে। সেক্ষেত্রে বড় একটা পার্থক্য হলেও হতে পারে।’