বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি রেকর্ড আশা দেখাচ্ছে মাসাকাদজাকে
হ্যামিল্টন মাসাকাদজার জন্য বাংলাদেশ একরকম আরেকটি ঘরই। জাতীয় দলের হয়ে তো বটেই, ফ্র্যাঞ্চাইজি, ক্লাব ক্রিকেট খেলতে অনেকবারই এসেছেন। তবে এবারের সফরটা একটু অন্যরকম, এই সিরিজ শেষেই যে বিদায় বলতে যাচ্ছেন ক্রিকেটকে। ত্রিদেশীয় শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে তাই আগের স্মৃতিও ভিড় করে এলো। তবে এর মধ্যেই মনে করিয়ে দিলেন, বাংলাদেশে নিজেদের টি-টোয়েন্টি রেকর্ডের কারণেই বেশ আশাবাদী তারা।
মাসাকাদজা যখন প্রথম বাংলাদেশে এসেছিলেন, মিরপুর তখনও হোম অব ক্রিকেট হয়নি। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হতো খেলা। মাসাকাদজার মনে আছে, একদম ফ্ল্যাট উইকেটে খেলেছিলেন। তার মতো, অমন ফ্ল্যাট আর ব্যাটিং সহায়ক উইকেট কমই দেখেছেন।
অবশ্য সেই অবস্থা বদলে গেছে ধীরে ধীরে। জিম্বাবুয়েও ধীরে ধীরে ধার হারিয়েছে, দুই দলের লড়াইটা অনেকটা একতরফাই হয়ে গেছে। গত বছর টেস্ট সিরিজ ড্র করলেও তিন ম্যাচের ওয়ানডেতে দাঁড়াতেই পারেনি জিম্বাবুয়ে। এবার সিরিজটা দ্বিপাক্ষিক নয়, আছে আফগানিস্তান। শক্তির বিচারে স্বাগতিক বাংলাদেশের সঙ্গে তাদেরকেই ফাইনালে দেখছেন হয়তো অনেকে। তবে এখানে নিজেদের টি-টোয়েন্টি সাফল্য মনে আছে মাসাকাদজার।
বাংলাদেশে তিন বছর আগে যে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে, তাতে প্রথম দুইটি ম্যাচ হারার পর শেষ দুইটি ম্যাচ জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। মাসাকাদজা তাই বললেন, ‘অবশ্যই অন্য দুই দল অনেক শক্তিশালী। আফগানিস্তান বেশ কিছুদিন ধরে টি-টোয়েন্টিতে ভালো করছে, আর বাংলাদেশ খেলছে নিজেদের মাঠে। তবে এখানে আমরা টি-টোয়েন্টিতে বেশ সাফল্য পেয়েছি। আমার মনে হয়, আমরা এখানে এই ফরম্যাটে বেশ ভালোই করেছি। আর এখানে খেলতে আমরা অভ্যস্ত, কন্ডিশনটা ভালোই চেনা আছে আমাদের। আমার মনে হয় না, এখানে আমরা খুব একটা পিছিয়ে আছি। ’
বাংলাদেশে প্রস্তুতিও খারাপ হয়নি, বিসিবি একাদশের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয়ে ভালো অনুশীলন হয়েছে ব্যাটসম্যান-বোলারদের। সেখান থেকেও তারা খানিকটা প্রেরণা দেবে।
মাসাকাদজা অবশ্য মনে করছেন, টি-টোয়েন্টির ধরনের কারণেই কাউকে খুব একটা পিছিয়ে রাখার উপায় নেই, ‘সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বলে এখানে দলগুলো একটু কাছাকাছি। এখানে একজনই অনেক কিছু করতে পারে, যেখানে টেস্ট বা ওয়ানডেতে দুই থেকে তিনজনকে দরকার হয়।’
জিম্বাবুয়ে অবশ্য নিজেরাও অবশ্য কম সংকটের মধ্য দিয়ে যায়নি এই সময়ে। আইসিসি থেকে নিষেধাজ্ঞা এসেছে, সেটা মাথায় নেই খেলতে এসেছে বাংলাদেশে। সিকান্দার রাজাও নেই শৃঙ্খলাজনিত কারণে। মাসাকাদজা যদিও এসব একপাশে রেখেই এগিয়ে যেতে সামনে।
কাল বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচে তাহলে জোর লড়াই-ই দেখা যাবে?