• বাংলাদেশ-আফগানিস্তান-জিম্বাবুয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ
  • " />

     

    নেট সেশন : টি-টোয়েন্টির চক্রে বাংলাদেশের সামনে জিম্বাবুয়ে

    নেট সেশন : টি-টোয়েন্টির চক্রে বাংলাদেশের সামনে জিম্বাবুয়ে    

    ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ, ১ম ম্যাচ
    বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে

    কবে, কখন
    ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ 
    বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৩০ (১৮৩০)


    খুলনায় ২০০৬ সালে নিজেদের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়েছিল জিম্বাবুয়ের। সে ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন শাহরিয়ার নাফীস। জিম্বাবুয়ের হয়ে চারে ব্যাটিং করেছিলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। নাফীস আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ টেস্টে টেলিভিশন ধারাভাষ্য দিয়েছেন, মাসাকাদজা এদিন করে গেলেন ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলন। এ সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের দীর্ঘ ক্যারিয়ারকে বিদায় বলছেন মাসাকাদজা। 

    এ দশ বছরে দুই দেশের ক্রিকেটে কম পরিবর্তন হয়নি। মিরপুরে ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথম ম্যাচে যখন মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল, জিম্বাবুয়ের সামনে তখন অনিশ্চিত ভবিষ্যত। বাংলাদেশ ব্যস্ত আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট হারের ধকলটা কাটিয়ে উঠতে। 

     

     

    আইসিসি তাদের পূর্ণ সদস্যপদ থেকে জিম্বাবুয়েকে বহিষ্কার করার পর এ সিরিজে শুরুতে আসতে চায়নি জিম্বাবুয়ে, পরে অবশ্য সিদ্ধান্ত বদলেছে তারা। এ সিরিজের অন্য দুই দলের চেয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ে জিম্বাবুয়ে পিছিয়ে বেশ, ১৪ নম্বরে। আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ যথাক্রমে ৭ ও ৯ নম্বরে। তবে একটা দিক দিয়ে জিম্বাবুয়ে এগিয়ে আফগানিস্তানের চেয়ে- বাংলাদেশের কন্ডিশনে। 

    জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের কন্ডিশনে খেলে বলতে গেলে প্রায় নিয়মিতই। মাসাকাদজা যেমন এদিন জানালেন, বাংলাদেশের প্রথম স্মৃতি বলতে বললে তার মনে পড়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলার কথা। এ ত্রিদেশীয় সিরিজেও জিম্বাবুয়ে কাজে লাগাতে চায় সে অভিজ্ঞতাই। 

    সে অভিজ্ঞতা পারবে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের এই অদ্ভুত আঁধারে একটু আলো জ্বালতে? অন্তত তাদের আশা তো তেমনই। জিম্বাবুয়ে এ সিরিজের স্কোয়াডে ফিরিয়েছে কিছু পুরোনো মুখ, নতুন মুখ একজনই। শৃঙ্খলাজনিত কারণে নেই অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা। বাংলাদেশ নিয়েছে একটি করে টি-টোয়েন্টি খেলা দুজনকে, দুজন আছেন টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকের অপেক্ষায়। 

    এ সিরিজ শুরুর আগে ভাবনায় থাকার কথা ২০২০ সালে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আপাতত অবশ্য জিম্বাবুয়ের সে ভাবনা নেই, আইসিসির বৈশ্বিক কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা হচ্ছে না তাদের। 

    রঙ্গমঞ্চ
    শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুর 

    গত বছরটা বেশ ব্যস্ত গিয়েছিল এ মাঠের, এরপর একটা লম্বা বিরতি। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের পর আবার মিরপুরে ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। ফ্লাডলাইটের আলোয় হবে ম্যাচ, এদিন দুপুরের পর থেকে টানা বৃষ্টিতে অবশ্য উইকেট থাকলো ঢাকা। কোচ ডমিঙ্গোও বলে গেলেন, উইকেট দেখার সুযোগ পাননি তিনি। বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে ম্যাচের দিনও। 

    যাদের ওপর চোখ

    মোস্তাফিজুর রহমান

    টেস্টে খেলেননি, টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের অন্যতম বড় অস্ত্র হওয়ার কথা মোস্তাফিজেরই। বিশ্বকাপে চোখ রেখে বাংলাদেশ যে স্কোয়াড দিয়েছে, তাতে তিনি বাদ দিয়ে আর দুই পেসার সাইফউদ্দিন ও ইয়াসিন আরাফাত। কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ বলে পেসারদের অবশ্যই বাজিয়ে দেখা হবে। মোস্তাফিজের কাঁধে তাই থাকবে বড় একটা ভার। 

    ব্রেন্ডন টেইলর 

    বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে করেছিলেন জোড়া সেঞ্চুরি। টেইলরের কাছে বাংলাদেশ বরাবরই প্রিয় এক প্রতিপক্ষের নাম। নিজেদের শেষ টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেইলর ওপেনিংয়ে করেছিলেন ২০ বলে ৩৯ রান, এরপর বাংলাদেশে এসে প্রস্তুতি ম্যাচেও করেছেন ফিফটি। 

    সম্ভাব্য একাদশ

    বাংলাদেশ 

    লিটন দাস, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, আফিফ হোসেন, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদি হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, ইয়াসিন আরাফাত 

    জিম্বাবুয়ে 

    হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, ব্রেন্ডন টেইলর, ক্রেইগ এরভিন, শেন উইলিয়ামস, টিমাইসেন মারুমা, রায়ান বার্ল, টিনো মুতমবোদজি, নেভিল মাদজিভা, কাইল জারভিস, এইনলে নদলভু, টেনডাই চাতারা 

    সংখ্যার খেলা 

    • ৫৩- বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ৭ ইনিংসে টি-টোয়েন্টিতে গড়, তিনি ব্যাটিং করেন ১৩৮.২৬ স্ট্রাইক রেটে। দুই দলের লড়াইয়ে সর্বোচ্চ ৩৫৮ রান মাসাকাদজারই। 
    • ১২- দুই দলের লড়াইয়ে সর্বোচ্চ উইকেট সাকিবের। সঙ্গে ১৮৫ রানও আছে তার ৭ ম্যাচে। 


    তারা বলেন 

    সাদা বলের ক্রিকেট বলে বাংলাদেশ নিজেদের দিনে যে কাউকেই হারাতে পারে। শুধু অভিজ্ঞতার দিকে তাকান। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অভিজ্ঞ দল লছিল। সুতরাং কোয়ালিটিতে অভাব নেই, অভিজ্ঞতার অভাব নেই। যদি আমরা সামর্থ্য অনুযায়ী খেলি, তাহলে আমাদেরকে হারানো বেশ শক্ত হবে।

    রাসেল ডমিঙ্গো, বাংলাদেশ হেড কোচ 

    সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বলে এখানে দলগুলো একটু কাছাকাছি। এখানে একজনই অনেক কিছু করতে পারে, যেখানে টেস্ট বা ওয়ানডেতে দুই থেকে তিনজনকে দরকার হয়।

    হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক