• বাংলাদেশ-আফগানিস্তান-জিম্বাবুয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ
  • " />

     

    'তাইজুলের নো-বল ও অতিরিক্ত রানই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে'

    'তাইজুলের নো-বল ও অতিরিক্ত রানই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে'    

    আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের জন্য অসময়ে নো-বল ও সব মিলিয়ে অতিরিক্ত রান দেওয়াকে দুষছেন সাকিব আল হাসান। দিনশেষে এদিন দুই দলের যা পার্থক্য, তার পেছনে তাইজুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ওই দুটি নো-বল ও অতিরিক্ত রানের অবদান আছে বলে মত তার। 

    ৪০ রানে ৪ উইকেট চলে যাওয়ার পর চাপে পড়ে যাওয়া আফগানিস্তানকে টেনে তুলছিলেন আসগর আফগান ও মোহাম্মদ নবি। সে জুটি ফিফটি পেরুনোর ঠিক পরই তাইজুল ইসলামের বলে ক্যাচ তুলেছিলেন আসগর, তবে বেঁচে গেছেন তাইজুল ওভারস্টেপিংয়ে নো-বল করায়। সে ওভারে এরপর সব মিলিয়ে উঠেছে ১৬ রান। ১৯তম ওভারে সাইফউদ্দিন করেছেন আরেকটি নো, অবশ্য সে ফ্রি-হিটে উঠেছিল ২ রান। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ দিয়েছে ১৮টি অতিরিক্ত রান, যার ২টি নো, ৬টি ওয়াইড। 

    আফগানিস্তানকে চেপে ধরেও ধরতে না পারার পেছনে এসব কারণকেই দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, “আমার মনে হয় না আমরা খুব বাজে বোলিং করেছি। অতিরিক্ত রানগুলি যদি বাদ দেন, বিশেষ করে নো-বল দুটি। টি-টোয়েন্টিতে নো বল ‘ক্রাইম’। সেটাতে যদি আবার উইকেট মিস হয়ে যায়। এই ভুলগুলি অগ্রহণযোগ্য। এই ভুলগুলি না করলে বোলিংয়ের কোনও দোষই থাকত না। ২৫-৩০টা রান আমরা নিজেদের যে ভুলের কারণেই দিয়েছি, এগুলোই আসলে হারের বড় কারণ।”

    এ কারণেই শেষ ১০ ওভারে আফগানিস্তান উড়ান দিতে পেরেছে বলে ধারণা সাকিবের, “(আফগানিস্তানের সঙ্গে) পাওয়ার-হিটিংয়ে ভুগব, আমরা জানি। শেষ ১০ ওভারে ১০৬ রান উঠেছে, সেটা হতাশাজনক। মানে প্রায় দশের ওপরে করে রান করেছে। ৪০ রানে ৪ উইকেট ছিল। চাপটা সামলে নিয়েছে, এর কৃতিত্ব ওদের। আমাদের দোষ আছে। ভাল নিয়ন্ত্রণে ছিল ম্যাচটা। (তবে) নো-বলটা ভুগিয়েছে। ১৫-১৬ রান অতিরিক্ত ছিল। তাইজুলের ওই ওভারে যে রান গেল, শেষ পর্যন্ত ১৭ (১৬) রান হলো। ৫-৬ রান হতে পারতো, উইকেটসহ। এসবই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। এগুলোই টার্নিং পয়েন্ট। এসবে উন্নতি করা জরুরী।”

     

     

    আফগানিস্তানকে এমনিতে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের ওপরের দল হিসেবেই দেখছেন সাকিব, বলছেন র‍্যাঙ্কিংয়ের কথা। আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে আফগানিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে ৩ ধাপ এগিয়ে সাতে।  তবে এ ম্যাচে দুই দলের খুব বেশি পার্থক্য দেখছেন না তিনি, “আমার মনে হয় না, আমরা খুব পিছিয়ে আছি। মাত্র ২৫ রানে হেরেছি। যদিও ২৫ রান অনেক বেশি, তবে এই ভুলগুলো না হলে ব্যবধান কমে আসবে। জেতার সুযোগ বেশি তৈরি হবে। ইনিংসের মাঝ পর্যায়ে যে অবস্থায় ছিল, মনে হয়নি ১৩০-৩৫ এর বেশি করতে পারবে। ওদের খুব বেশি ব্যাটসম্যান ছিল না, (শেষ স্বীকৃত) দুইটাই ব্যাটিং করছিল। সে সময় আমরা উইকেট নিতে ব্যর্থ হয়েছি, তাদেরকে সুযোগ করে দিয়েছি ম্যাচে ফেরার।”