• বাংলাদেশ-আফগানিস্তান-জিম্বাবুয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ
  • " />

     

    বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে চায় চাপে থাকা জিম্বাবুয়ে

    বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে চায় চাপে থাকা জিম্বাবুয়ে    

    চাপে আছে দুই দলই, তবে সেটা বেশি বোধহয়  জিম্বাবুয়ের ওপরই। বাংলাদেশের পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরেছে তারা, আবার যখন চট্টগ্রামে তারা বাংলাদেশের মুখোমুখি, সে ম্যাচ মোটামুটি তাদের জন্য বাঁচা-মরার লড়াইয়ে রূপ নিয়েছে। তবে বাংলাদেশকেই চাপে রেখে জিম্বাবুয়ে বের হয়ে আসতে চাচ্ছে চাপের বৃত্ত থেকে। 

    নিজেদের ওপর চাপটা অবশ্য টের পাচ্ছেন অলরাউন্ডার শন উইলিয়ামস, “অবশ্যই এই ম্যাচ আমাদের জিততেই হবে। আসলে দুটি ম্যাচই আমাদের আবশ্যিক জয়ের ম্যাচ। আমরা যদি মৌলিক দিকগুলো ঠিকঠাক করতে পারি- যেমন ফিল্ডিং, কিছু সূক্ষ্ম ব্যাপার আছে, সেগুলো যদি ঠিকঠাক করতে পারি, দুটি ম্যাচ জয়েরই ভালো সম্ভাবনা আছে আমাদের।

    “আগের দুটি ম্যাচেই আমরা উভয় দলকে কঠিন সময় দিয়েছি, শেষ ওভার পর্যন্ত টেনে নিয়েছি। সামনে যদি মাঠে সময়মতো ভালো সিদ্ধান্ত আরও নিয়মিতভাবে নিতে পারি, আমাদের এগিয়ে যাওয়ার ভালো সম্ভাবনা আছে।”

     

     

    বাংলাদেশের ওপর চাপ তৈরির একটা উপায় হিসেবে তিনি দেখছেন বাউন্ডারি-শূন্যতা তৈরি, “অবশ্যই ওদের দলে বড় কিছু নাম আছে। তবে বোলিংয়ের সময় কোনো নামকে বোলিং করি না আমরা, নিজের পরিকল্পনা অনুসরণ করে সেটিকে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করি। অবশ্যই বাউন্ডারি না দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। ওদের মতো ক্রিকেটারের বিপক্ষে ফিল্ডিং দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। ওদেরকে যদি বাউন্ডারি থেকে বিরত রাখা যায়, তাহলে চাপ সৃষ্টি হয়। আমি জানি ওরা শট খেলতে পছন্দ করে, জানি ওরা আমাদের আগ্রাসী খেলতে চেষ্টা করতে। চ্যালেঞ্জটি তাই হবে দুর্দান্ত।”

    “আমরা যদি নিজেদের কাজ মন দিয়ে করতে পারি, বাকি সব এমনিতেই ঠিক হবে। তারা চাপে আছে, আমরা সেটা জানি। কিন্তু আমাদের মৌলিক দিকগুলো ঠিকঠাক করতে হবে।”

    বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে অবশ্য ফিল্ডিং বেশ ভুগিয়েছে জিম্বাবুয়েকে। বাংলাদেশের অভিজ্ঞতাকে সমীহ করেই উইলিয়ামস বলছেন, সূক্ষ্ণ ব্যাপারগুলিই গড়ে দেবে পার্থক্য, “বাংলাদেশ খুব ভালো অলরাউন্ড দল। তাদের অবকাঠামো খুব ভালো, যেটি ছড়িয়ে ক্লাব পর্যায় পর্যন্ত। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যে কোনো কিছুই হতে পারে। আগেই বলেছি, সূক্ষ্ম ব্যাপারগুলো পার্থক্য গড়ে দেয়। 

    “ওদের দারুণ কিছু ক্রিকেটার আছে, অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে। সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, মুশি (মুশফিক)… ওরা সবাই খুব ভালো ক্রিকেটার। সেটিকে আমরা সমীহ করি। কোনো ম্যাচই আমরা হালকাভাবে নেব না। আমরা নিজেদের কাজে মনোযোগ দিতে চাই, নিজেদের কাজগুলি করতে চাই নিজেদের জন্য।”