তারপরও সংবাদ সম্মেলনের অনেকটা জুড়েই রশিদ খান!
প্রায় পাঁচ বছর পর আফগানিস্তান হেরে গেছে বাংলাদেশের কাছে, রশিদ খানের নিজেরও ম্যাচটা গেছে ভুলে যাওয়ার মতো। তার এক ওভার থেকে ১৮ রানই আসলে আফগানদের জয়ের আশা শেষ করে ফেলেছে। তারপরও সংবাদ সম্মেলনের অনেকটা জুড়ে থাকলেন রশিদ খান। প্রথমে আফগান পেসার নাভিন উল হক ও পরে মোসাদ্দেক হোসেন, দুজনকেই উত্তর দিতে হলো রশিদকে নিয়ে।
সেটার বড় কারণ অবশ্যই রশিদের চোট। বাংলাদেশের ইনিংসের অষ্টম ওভারের সময়েই হয়েছে ঘটনাটা। মুশফিকের একটা শটের সময় বল তাড়া করতে টান লেগেছে, বাঁ উরু চেপে শুয়ে পড়েছেন মাঠে। যেভাবে যন্ত্রণাকাতর অবস্থায় মাঠ ছেড়েছেন, পরে আর ফিরতে পারবেন কি না তা নিয়েই ছিল সংশয়। তবে ওভার চারেক পর আবার ফিরেছেন মাঠে, বলও করেছেন। প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে নিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ ও আফিফের উইকেট, মনে হচ্ছিল খোঁড়া অবস্থায় আরও একবার মোড় ঘুরিয়ে দেবেন ম্যাচের। কিন্তু তৃতীয় ওভারে গিয়েই হয়ে গেল্গড়বড়।
সেবারও প্রায় হাফ ফিট অবস্থায় শর্ট রানে বল করছিলেন। সাকিব-মোসাদ্দেক সেই ওভার থেকে নিয়েছেন ১৮ রান। ম্যাচ শেষে আফগান দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা নাভিন ও ম্যানেজারের কাছে জানতে চাওয়া হলো এ নিয়ে। দুজনেরই অভিন্ন সুর, ফিজিও কাল রাকে দেখে বলতে পারবেন কী অবস্থায় আছেন। আপাতত চোট গুরুতর নয় বলে মনে করছেন। ফাইনালের আগেও তাকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। রশিদ ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে বলেছেন, হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যা হয়েছিল তার। ৫০-৬০ ভাগ ফিট মনে করছিলেন নিজেকে। সেজন্যই পরে নেমেছেন মাঠে।
তবে প্রশ্ন উঠতেই পারে, ফুল ফিট রশিদের এক ওভার থেকে কী সাকিব-মোসাদ্দেক ১৮ রান নিতে পারতেন? মোসাদ্দেক অবশ্য সেই পথে হাঁটলেন না, বরং বললেন, রশিদ ফিট কি আনফিট সেটা আসলে তারা দেখেননি। ম্যাচের ওই অবস্থায় একটা বড় ওভার দরকার ছিল, তারা শুধু পরিস্থিতির দাবিটা মেটাতে চেয়েছেন। মনে করিয়ে দিয়েছেন, রশিদ চোট নিয়েই আবার দুইটি উইকেট নিয়েছেন।
তবে সবকিছুর পরেও রশিদকে ওভাবে খেলাটা বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিতে পারে দলকে। রশিদ জুজুটা কি একটু কমল? মোসাদ্দেক অবশ্য মানতেই চাইলেন না, এরকম কিছু ছিল, ‘আসলে আমি কখনোই বলি নাই, রশিদ খানকে নিয়ে আমরা ভয়ে ছিলাম। আমি কখনোই বলি নাই, এখানে ভয়ের কিছু আছে।’