বিপ্লবের খেলার সম্ভাবনা দেখছেন না কোচ, ফাইনালে অনিশ্চিত রশিদ খান
হর্ষ আর বিষাদ- অভিষেকে একই সঙ্গে দুটোরই স্বাদ পেয়েছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। অভিষেকে বোলিংয়ে আলো ছড়িয়েছিলেন, তবে সে ম্যাচেই পড়েছেন চোটে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামের সেই ম্যাচে পাওয়া আঙুলের চোটের কারণেই খেলেননি আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচটি। ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনালে তাকে পাওয়ার আশা ছিল বাংলাদেশের, তবে ফাইনালের আগের দিন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলছেন, বিপ্লবের খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। অনিশ্চয়তায় আছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খানও। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হ্যামস্ট্রিংয়ে পাওয়া চোট এখনও সারেনি তার, ফাইনাল খেলবেন কিনা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
বিপ্লব চোট পেয়েছিলেন বাঁহাতে, ফিল্ডিংয়ের সময়। সেখানে তিনটি সেলাই লেগেছে তার। ‘বোলিং-হ্যান্ড’ না হলেও তাকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চান না কোচ, “তার বাঁহাতে তিনটি সেলাই পড়েছে। যদিও তার বোলিং হাতে চোট নয়। তার পরও, কোচ হিসেবে আমি কখনোই এমন কাউকে খেলাতে চাই না, যার কোনো ধরনের চোট আছে। গুরুত্বপূর্ণ কোনো ক্যাচ তার কাছে আসতে পারে। প্রথম বলেই হয়তো ফিল্ডিং করতে গিয়ে হাতে লেগে তার সেলাই খুলে যেতে পারে। এই ব্যাপারগুলো নিয়ে ভাবার ব্যাপার আছে।”
বিপ্লবের বিকল্প বাংলাদেশের আছে বলেও মনে করিয়ে দিচ্ছেন তিনি, “আমি সবসময় চাই শতভাগ ফিট ১১ জনকে নিয়ে মাঠে নামতে। আর আমার মতে, আমিনুল বা যে কারও বিকল্প আমাদের দলে আছে। আমার মনে হয় না, হাতে সেলাই নিয়ে ফাইনালে ওকে আমরা খেলতে দেখব।”
আফগানিস্তান দলেও রশিদ খানের বিকল্প আছে বলে মনে করেন রশিদ নিজেই, “আমার মনে হয় না, আমি না খেললে দলের পরিকল্পনায় খুব বড় পরিবর্তন আসবে। আমাদের ব্যাক-আপ আছে, আমাদের মানসম্পন্ন স্পিনার আছে। মুজিব আছে, নবি আছে। শরাফ- বাঁহাতি স্পিনার আছে ব্যাক-আপ হিসেবে, ভাল অলরাউন্ডার। আমাদের ব্যাক-আপ আছে, দলে মেধা আছে।”
অবশ্য তিনি আশা করছেন ঠিক হয়ে যাবেন, “এখন কিছু বলতে পারছি না। হ্যামস্ট্রিং নিয়ে গতকাল ও আজ কাজ করেছি। আশা করি ঠিক হয়ে যাবে। আজ সেশন আছে, এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
সেদিন ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পেয়ে উঠে যাওয়ার পর আবার নেমেছিলেন রশিদ, এরপর বোলিং-ফিল্ডিং দুটিই করেছেন। রশিদ বলছেন, সেদিন সেটা করা উচিৎ হয়নি তার, “দুই ওভার বোলিংয়ের সময় ঠিকই ছিল। তবে এরপর ফিল্ডিং করে অবস্থা আরও বাজে হয়েছে। এখন ফিজিও-র ওপর, তার অনেক কিছু করতে হবে।”
অবশ্য ঝুঁকি নেওয়ার কারণটাও ব্যাখ্যার করছেন তিনি, “মূল কারণ ছিল- আমি নিশ্চিত হতে চাচ্ছিলাম, চোটটা কতখানি খারাপ, আমি বোলিং করতে পারব কিনা পরের ম্যাচে। কোচ, ফিজিও আমাকে বোলিং করতে দিতে চাচ্ছিল না। তবে আমি দেখতে চাচ্ছিলাম, চোটটা কতোখানি গুরুতর- পরের ম্যাচের আগে ঠিক করতে পারব কিনা।”
“আমার মনে হয়, বোলিং করা উচিত হয়নি। তবে দলের জন্য আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে, আমরা যে দেশ থেকে এসেছি, আমরা নিজেদের দিকে তাকাই না। দেশের প্রয়োজনে এক হাত নিয়েও আমরা এগিয়ে যাব।
“আমরা দেখেছিলাম, আগের অধিনায়ক আসগর আফগান বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে অ্যাপেনডিক্স অস্ত্রোপচারের চার দিন পরই এসেছিল। বলেছিল, ‘আমাকে দলের জন্য খেলতে হবে’। তরুণদের জন্য এটা শিক্ষা। আমার দশ শতাংশ সম্ভাবনা থাকলেও আমি খেলব, আমি দেশকে ভালবাসি। আমি দেশকে জেতাতে চাই। এবং এ ব্যাপারটা আমি নিজের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেই।”