মুশফিকের কিপিং নিয়ে খুশি কোচ ডমিঙ্গো
ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের দুইটি ভূমিকা এখন বাংলাদেশ দলে। ব্যাটসম্যান হিসেবে এবং উইকেটকিপার হিসেবে। প্রথমটিতে তার সামর্থ্য এবং ক্ষমতা প্রশ্নাতীত হলেও দ্বিতীয় ভূমিকার জন্য বার বার দাঁড়াতে হয়েছে কাঠগড়ায়। বিশেষ করে বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে সেই অমার্জনীয় ভুলের পর মুশফিককে গ্লাভস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে জোরেশোরেই। রাসেল ডমিঙ্গো নতুন এসেছেন কোচ হিসেবে, কিন্তু তার আসার পরও ত্রিদেশীয় সিরিজে আগের ভুলের পুনরাবৃত্তি মুশফিক আবার করেছেন। তবে ডমিঙ্গো তাতে কোনো সমস্যা দেখছেন না, মুশফিকের কিপিং নিয়েও তিনিসহ টিম ম্যানেজমেন্ট সন্তুষ্ট। আপাতত তাই লিটনের হাতে গ্লাভস দেখার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করেন।
মুশফিকের নিজের জন্যও ভুলটা বিব্রতকর হয়ে উঠছে বার বার। বিশ্বকাপে উইকেটের সামনে এসে বল লাগাতে দিয়ে তার ভুলে বেঁচে গিয়েছিলেন উইলিয়ামসন। শেষ পর্যন্ত সেই ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে দলকে কড়ায় গণ্ডায়। ত্রিদেশীয় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি ক্যাচ মিস করেছেন, আরও অন্তত গোটাদুয়েকবার বল ধরতে না পারায় বাই হয়ে গেছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচে আবারও উইকেটের সামনে চলে এসেছিলেন, যদিও এবার ভুল করেননি। কিন্তু দলে লিটনের মতো একজন স্পেশালিস্ট কিপার থাকার পরেও মুশফিককে কিপিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে কেন?
ডমিঙ্গো অবশ্য এই মুহূর্তে লিটনের গ্লাভস নেওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখলেন না, ‘এই মুহূর্তে সম্ভাবনা নেই। লিটন মাঠে যেভাবে নিজেকে মেলে ধরে, আমরা তাতে সন্তুষ্ট। সে দারুণ ফিল্ডার, মুশির চেয়ে ভালো ফিল্ডার। আমার মতে, যতজন ভালো ফিল্ডারকে আমরা পাই, তত দলের জন্য ভালো। লিটন-আফিফ-শান্তর মতো ফিল্ডাররা যে ৫-৬ রান বাঁচায় মাঠে, সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি কারণ। সে ভালো ফিল্ডার। মুশি সম্প্রতি দুয়েকটি বল মিস করেছে বটে। তবে মুশি যেভাবে কিপিং করে, তাতে এমনিতে আমরা খুশি।’
মুশফিকের আরেকটি ভূমিকার কথাও অবশ্য ভোলেননি ডমিঙ্গো। টিভিতে যারা দেখেছেন, তারা সেটা কমবেশি জানেনও। ডমিঙ্গো সেই ভূমিকারও প্রয়োজন দেখছেন দলে, ‘স্টাম্পের পেছনে সে দারুণ প্রাণবন্ত, অনেক অভিজ্ঞ, স্টাম্পের পেছন থেকে খুব ভালো দেখতে পারে বলে অধিনায়ককে কার্যকর কিছু পরামর্শ দিতে পারে সে। সে কিপিং করলে অনেক সুবিধা পাই আমরা।’
আরও বেশ কিছুদিন মুশফিককে উইকেটের পেছনে দেখার জন্য আপনি প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারেন।