বাড়তি পেসার রাখার ভাবনা ডমিঙ্গোর, উইকেট নিয়ে ভাবছেন না রশিদ
মিরপুর থেকে চট্টগ্রামের পর আবারও মিরপুরে ফিরছে ত্রিদেশীয় সিরিজ, এবার ফাইনালের জন্য। ভেন্যুর সঙ্গে তাই বদলাবে উইকেটের ধরনও। উইকেট দেখে স্পিন বেশি ধরবে বলে মনে হলেও ১২ জনের স্কোয়াডে একজন বাড়তি পেসার রাখার ভাবনা আছে বাংলাদেশ হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর। আর আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান বলছেন, উইকেট নিয়ে ভাবছেন না তারা।
অবশ্য স্পিন বেশি আধিপত্য বিস্তার করতে পারলে সুবিধাটা আফগানিস্তানই বেশি পাবে বলে মনে করছেন ডমিঙ্গো, “চট্টগ্রামের উইকেটে বরাবরই স্পিন বেশি ধরে না। ঢাকার উইকেটে স্পিনারদের সহায়তা একটু বেশি থাকবে। এটি অবশ্যই আফগানিস্তানকে সুবিধা দেবে। তবে আমাদেরও সুবিধা দেবে। আমাদের দলেও বেশ কজন ভালো স্পিনার আছে। আমাদের মনে হচ্ছে, এখানকার উইকেটে স্পিনারদের জন্য একটু বেশি সহায়তা থাকবে।”
সেক্ষেত্রে মুজিব-রশিদ-নবিরা হয়ে উঠবেন আরও ভয়ঙ্কর। তবে রাতারাতি তাদের বিপক্ষে খেলার মন্ত্রটা বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের ধরিয়ে দিতে পারবেন না তিনি, “ওদের স্পিনারদের বিপক্ষে অনেক ব্যাটসম্যানই ধুঁকে থাকে। মুজিব ও রশিদ খান এখন স্পিনে অনেক বড় নাম। শুধু আমাদের ব্যাটসম্যানরা নয়, এমনিতেই সবারই বিশ্বমানের এই দুই স্পিনারের বিপক্ষে ভোগান্তি হয়। আমরা নেটে চেষ্টা করছি ওদের খেলার উপায় বের করতে। মানসিকতা নিয়ে, পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। এসব নিয়ে আসলে কাজ চলছে। রাতারাতি আয়ত্ত করা সম্ভব নয়।”
“সম্ভবত একজন বাড়তি পেসার নিয়ে আমরা ১২ জনের দল গড়ব আজ, কালকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে উইকেট দেখে। অবশ্যই এই জায়গাটি আমরা কাজে লাগাতে পারি। আজকে উইকেটে খানিকটা ঘাস আছে, বাউন্স মিলতে পারে। চার পেসার তাই ভালো বিকল্প হতে পারে। তবে কালকে উইকেট-কন্ডিশন দেখে সিদ্ধান্ত হবে।”
বাড়তি পেসার রাখার ভাবনাটা পরের বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখেই, “আমি জানি, এটি ঠিক বাংলাদেশের ধরন নয়। আমাদের ভাবনায় সবসময় থাকে আমরা বিশ্বকাপ কোথায় খেলব। অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ খেলব আমরা, সেখানে ১-২ জন পেসার খেলানোর সম্ভাবনা দেখি না। অন্তত তিনজন তো বটেই, চার পেসারও খেলানো হতে পারে সেখানে। এখন জেতাটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবশ্যই, পাশাপাশি ভবিষ্যতের পথচলা নিয়েও ভাবতে হবে আমাদের। খুব সূ্ক্ষ্ম ভাবে সমন্বয় করতে হবে এটি। দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে আমি সবসময়ই ৪ পেসার খেলাতে পছন্দ করি। তবে আমি এখানকার সংস্কৃতি বুঝি। এই দলের শক্তি যে স্পিনে, সেটি জানি। কোচ হিসেবে তাই দুটির সমন্বয়ের চেষ্টা করছি।”
ডমিঙ্গোর চেয়ে অবশ্য উইকেট নিয়ে ভাবনাটা রশিদের বলতে গেলে নেই, “আমরা যেকোন ধরনের উইকেটে খেলতে প্রস্তুত। এটা টার্নিং হোক কিংবা ফ্ল্যাট। আমরা গত দুই ম্যাচ ফ্ল্যাট উইকেটে খেলেছি। সবচেয়ে জরুরী বিষয় হচ্ছে আমরা কিভাবে নিজেদের মানিয়ে নিয়ে পারফর্ম করতে পারছি। আর এ বিষয়টার দিকেই আমরা মনযোগ দিচ্ছি।”