• সাকিবের নিষেধাজ্ঞা
  • " />

     

    দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ সাকিব, তবে খেলতে পারবেন এক বছর পরেই

    দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ সাকিব, তবে খেলতে পারবেন এক বছর পরেই    

    শেষ পর্যন্ত আইসিসি থেকে এলো আনুষ্ঠানিক বার্তা। জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব পেয়ে সেটি আইসিসিকে না জানানোর জন্য দুই বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হচ্ছেন সাকিব আল হাসান। এর মধ্যে এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা, যার মানে আপাতত এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হচ্ছেন সাকিব। এর পর আইসিসি বিধিনিষেধ মেনে না চললে আরও এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে হবে তাকে। 

    আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশন ইউনিটের পক্ষ থেকে তিন ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে সাকিবের বিরুদ্ধে।

    আর্টিকেল ২.৪.৪: বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে ২০১৮ ত্রিদেশীয় সিরিজ  বা আইপিএলে সাকিবের কাছে আসা অনৈতিক বা দুর্নীতির প্রস্তাব আকসুকে না জানানো

    আর্টিকেল ২.৪.৪: সেই ত্রিদেশীয় সিরিজেই দ্বিতীয় দফায় অনৈতিক বা দুর্নীতির প্রস্তাব পাওয়ার পর আকসুকে না জানানো

    আর্টিকেল ২.৪.৪: ২০১৮ আইপিএলে সানরাইজার্স-পাঞ্জাবের একটা ম্যাচে তৃতীয় দফায় অনৈতিক বা দুর্নীতির প্রস্তাব পেয়ে সেটা আকসুকে না জানানো।  

    তিন ক্ষেত্রেই সাকিব তার অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন। আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নিতে হয়েছে তাকে। আপাতত সামনের বছরের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ থাকছেন তিনি। এর পর আবার ফিরতে পারবেন মাঠে। তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের তথ্য গোপন করা বা আইসিসির নিয়মের বিরুদ্ধে কিছু করলে আরও এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে হবে তাকে।

    আইসিসিকে সাকিব বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ তিনি মেনে নিয়েছেন, ‘যে খেলাটা ভালোবাসি সেখান থেকে নিষেধাজ্ঞা পেয়ে আমি খুবই ব্যথিত, কিন্তু ঠিকমতো তথ্য না জানানোয় আমি নিজের ভুল পুরোপুরি স্বীকার করে নিচ্ছি। আইসিসি আকসু দুর্নীতি দমনে কাজ করে যাচ্ছে বরাবরই। সেখানে আমি নিজের কর্তব্য ঠিকমতো পালন করতে পারিনি।’  

    ‘বিশ্বের আর সব সমর্থক ও খেলোয়াড়ের মতো আমিও একটি দুর্নীতিমুক্ত খেলার জগত চাই। আমি আশা করছি, সামনে আকসুর শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানে আমি সাহায্য করব এবং নিশ্চিত করার চেষ্টা করব তরুণদের কেউ যাতে আমার মতো ভুল না করে।’

    আইসিসির স্বচ্ছতা বিভাগের ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শালও বলেছেন, সাকিব একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। অনেক বার তিনি শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন, তরুণদের সাথে কাজ করেছেন। তার মতো একজন খেলোয়াড়ের তথ্যগুলো জানানো উচিত ছিল। সাকিব তার ভুল মেনে নিয়েছে ও তরুণদের সাথে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

    যার মানে, সাকিব এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করছেন না।