• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    আগুয়েরো-ডি ব্রুইনে শেফিল্ডকে হারিয়ে গার্দিওলার 'সেঞ্চুরি'

    আগুয়েরো-ডি ব্রুইনে শেফিল্ডকে হারিয়ে গার্দিওলার 'সেঞ্চুরি'    

    ফুল-টাইম

    ম্যানচেস্টার সিটি ২-০ শেফিল্ড ইউনাইটেড


    ইনজুরির কারণে প্রায় মাসখানেক ম্যানচেস্টার সিটি একাদশের বাইরে ছিলেন সার্জিও আগুয়েরো। এই এক মাসে শিরোপাদৌড় থেকে ছিটকে গেছে সিটি। উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের সাথে জাল খুঁজে না পেলেও শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিপক্ষে স্বরূপে ফিরলেন 'কুন'। আগুয়েরোর গোলে ফেরার দিনে জাল খুঁজে পেয়েছেন কেভিন ডি ব্রুইনও। আগুয়েরো-ডি ব্রুইনে এবার প্রিমিয়ার লিগে নতুন আসা শেফিল্ডকে ২-০ গোলে হারিয়েছে পেপ গার্দিওলার দল। 'ব্লেইডস'দের হারিয়ে রেকর্ডও গড়েছেন পেপ। প্রিমিয়ার লিগের ম্যানেজারদের মধ্যে দ্রুততম সময়ে জয়ের 'সেঞ্চুরি' এখন তারই। ২০ ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন-এ থাকল সিটি।

    স্কোরলাইন দেখে সিটির সহজ জয় অনুমান করে থাকলে ভুল করবেন। 'ব্লেইডস'দের হারাতে বেশ কাঠখড়ই পোড়াতে হয়েছে আগুয়েরোদের। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে প্রথম সুযোগটা পেয়েছিল ক্রিস ওয়াইল্ডারের দলই। ৮ মিনিটে রবিনসনের ক্রসে ডিবক্সে মার্কার ওলেগজান্ডার জিনচেঙ্কোকে ফাঁকি দিয়েও হেড গোলে রাখতে পারেননি লাইস মুসেট। তবে প্রথমার্ধে সিটি জালে বল পাঠিয়েছিলেন তিনিই, কিন্তু 'ভিএআর'-এ বাতিল হয় গোল। জন ফ্লেকের লম্বা পাস দুর্দান্তভাবে নিয়ন্ত্রণে এনে সিটি গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভোকে একা পেয়ে যান মুসেট। ডানপায়ের শটে চিলিয়ান গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও রিপ্লেতে দেখা যায়, পাস নিয়ন্ত্রণে আনার সময় অফসাইডে ছিলেন শেফিল্ড স্ট্রাইকার।

     

     

    ইতিহাদে গোল না পেলেও প্রথমার্ধে সিটিকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল শেফিল্ড। প্রথমার্ধে গোলের আরও তিনটি সুযোগ পেয়েছিল তারা, কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ভুলে আর গোল পাওয়া হয়নি। ৭৫ভাগ পজেশন রেখেও ওয়াইল্ডারের দলকে বিপদে ফেলতে পারেনি সিটি। নিজেদের মাঠে আরও এক নখদন্তহীন প্রথমার্ধের পর উলভস ম্যাচের মত আবারও পয়েন্ট হারানোর আশঙ্কাই হয়তো করছিলেন সিটি সমর্থকরা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তাদের সেসব আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেন আগুয়েরো। ৫২ মিনিটে দুর্দান্ত এক পাসে শেফিল্ড ডিবক্সে আগুয়েরোকে খুঁজে নেন ডি ব্রুইন। ডানপায়ের জোরাল শটে দলকে লিড এনে দেন আগুয়েরো। পাস নিয়ন্ত্রণের সময় হাতের ব্যবহারের বিতর্ক উঠলেও 'ভিএআর'-এর সিদ্ধান্ত যায় আগুয়েরোর পক্ষেই। প্রিমিয়ার লিগে খেলা ৩২ প্রতিপক্ষের প্রত্যেকের বিপক্ষেই গোল করলেন 'কুন'।

    গোল খাওয়ার পর ম্যাচে ফিরতে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় শেফিল্ড। প্রতি-আক্রমণে সুযোগ পেতে থাকেন মাহরেজ-স্টার্লিংরা। কিন্তু গোলমুখে তাদের ফিনিশিংয়ের কারণে ব্যবধান দ্বিগুণ করা হয়নি সিটির। ম্যাচের শেষ ১০ মিনিটেও মাত্র এক গোলের লিডের কারণে কিছুটা অস্বস্তিতেই ছিল ইতিহাদ। সমর্থকদের এবং গার্দিওলার সে আশঙ্কা দূর করে দেন ডি ব্রুইন নিজেই। ৮২ মিনিটে মাহরেজের পাস থেকে ডানপায়ের জোরাল শটে শেফিল্ড জালে বল পাঠান বেলজিয়ান মিডফিল্ডার। শেষ পর্যন্ত সহজ জয়ে উলভস হারের ক্ষত কিছুটা হলেও হয়তো শুকাল সিটির।