নিয়ন্ত্রিত বোলিং, তামিমের অভিষেক ফিফটিতে জয়ে শুরু বাংলাদেশের
১ম টি-টোয়েন্টি, বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে (টস-বাংলাদেশ/বোলিং)
জিম্বাবুয়ে - ১২৪, ২০ ওভার (মাদান্দে ৪৩, মাসাকাদজা ৩৪, গাম্বি ১৭, তাসকিন ৩/১৪, সাইফউদ্দিন ৩/১৫, মাহেদী ২/১৬)
বাংলাদেশ - ১২৬/২, ১৫.২ ওভার (তামিম ৬৭*, হৃদয় ৩৩*, শান্ত ২১, জংওয়ে ১/১৪)
ফলাফল - বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী
অনুমিতভাবেই জয় দিয়েই শুরু করল বাংলাদেশ। দারুণ বোলিং পারফরম্যান্সে প্রথম ইনিংসেই ম্যাচের ভাগ্য প্রায় লিখে ফেললেও পরে বৃষ্টি বাগড়া দিলে জেগেছিল কিছুটা শংকা। তবে তিন বার জীবন পেলেও অভিষেকেই তানজিদ হাসান তামিম ম্যাচ জয়ী ফিফটিতে বরং সহজেই সেই লক্ষ্য উৎরিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন।
১২৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে শুরুতেই অফ ফর্মে থাকা লিটন দাস স্টাম্প খুইয়ে ফিরেছিলেন ব্লেসিং মুজারাবানির শিকার হয়ে। উইকেটে এসে এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত মন্থর গতিতে খেলতে থাকলে রানে কিছুটা ভাটা পড়ে। বৃষ্টি দুবার বাধ সাধলে দ্বিতীয়বারে মাঠের বড় পর্দায় যেই সমীকরণ দেখাচ্ছিল তাতে বাংলাদেশ হেরে যেতে পারত সেখানেই। তবে পরে সমীকরণ হিসেব করে জানা যায় ৭.২ ওভারে ১ উইকেট হারালে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৪৬ রান নয়, বরং ৩৯ রান; বাংলাদেশের সে সময় রান ছিল ৪৪। সেখান থেকেই যেন সব চিন্তা ঝেড়ে ফেলতে নড়েচড়ে বসেন তামিম। শান্ত অবশ্য এরপরও গিয়ার পাল্টাতে না পেরে লুক জংওয়ের শিকার হয়ে থামেন ২৪ বলে ২১ রানে।
উইকেটে এসে হৃদয়ও তামিমের সাথে তাল মিলিয়ে খেলতে শুরু করলে আর খুব একটা বেগ পেতে হয়নি বাংলাদেশকে। ওই ওভারেই টানা দুই চারে তিনি হাত খোলার ইঙ্গিত দেন। এর আগে জীবন পেয়ে সেটাকে কাজে লাগাতেই যেন বদ্ধপরিকর ছিলেন তিনি। পরের ওভারে রাজাকে টানা দুই চার মেরে পরে ৩৬ বলে পেয়ে যান অভিষেক ফিফটি। এনদোভুর ওভারে এরপর হৃদয় দুই চার, এক ছয়ে ম্যাচের ভাগ্যটাও লিখে ফেলেন। ২৮ বল হাতে রেখেই তাই তামিমের ৪৭ বলে ৬৭* রান ও হৃদয়ের ১৮ বলে ৩৩* রানে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।