• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    হেসুসের জোড়া গোলে আনচেলত্তিকে হারালেন গার্দিওলা

    হেসুসের জোড়া গোলে আনচেলত্তিকে হারালেন গার্দিওলা    

    ফুল-টাইম

    ম্যানচেস্টার সিটি ২-১ এভারটন


    ম্যাচের আগে পাদপদ্রীপের আলোটা ছিল দুই ম্যানেজারের ওপর। কার্লো আনচেলত্তির এভারটনের বিপক্ষে ফেবারিট ছিলেন পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে সাবেক দুই বায়ার্ন মিউনিখ ম্যানেজারের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয় হয়েছে গার্দিওলারই, তবে সেজন্য সিটিকে বেশ ঘামই ঝড়াতে হয়েছে। গ্যাব্রিয়েল হেসুসের জোড়া গোলে এভারটনকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে ‘সিটিজেন’রা। ২১ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৩-এই থাকল গার্দিওলার দল।

    ইতিহাদে ম্যাচের শুরুটা দারুণ হয়েছিল এভারটনের। প্রথম ১৫ মিনিটে নিশ্চিত গোলের অন্তত তিনটি সুযোগ পেয়েছিল আনচেলত্তির দল, কিন্তু কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় লিড আর নেওয়া হয়নি তাদের। তবে ম্যাচে প্রথমে জাল খুঁজে পেয়েছিল সিটিই। ১৮ মিনিটে হোয়াও ক্যানসেলোর পাস থেকে ‘টফিজ’ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডকে পরাস্ত করেন ফিল ফোডেন। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায়, ক্যানসেলোকে পাস বাড়ানোর সময় অফসাইডে ছিলেন রিয়াদ মাহরেজ। ‘ভিএআর’-এ বাতিল হয় গোল।

     

     

    প্রথমার্ধের বাকি সুযোগগুলো পেয়েছে গার্দিওলার দলই। ফোডেন পরাস্ত করলেও প্রথমার্ধের বাকিটা সময় পিকফোর্ড ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। ইংলিশ গোলরক্ষকের কারণেই সমতায় থেকে প্রথমার্ধ শেষ করেছিল এভারটন। প্রথমার্ধে সিটিকে আটকে দিলেও দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতেই পিকফোর্ড দুর্গের পতন ঘটান হেসুস। ইলকে গুন্ডোয়ানের পাস থেকে ডানপায়ের চমৎকার বাঁকানো শটে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার।

    পিছিয়ে পড়লেও মিনিট তিনেক পরই ম্যাচের ফেরার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল এভারটন। কিন্তু গিলফি সিগুর্ডসনের ক্রসে ডমিনিক কালভার্ট-লেউইনের হেড চলে যায় গোলের সামান্য বাইরে দিয়ে। সমতায় ফেরার সুযোগ হাতছাড়া করার চড়া মাশুলই দিতে হয়েছে ‘টফিজ’দের। ৫৮ মিনিটে ডি ব্রুইন-ফোডেন-মাহরেজ হয়ে এভারটন ডিবক্সের বাঁ-প্রান্তে বল পান হেসুস। বাঁ-পায়ের শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। দুই গোলে লিড নেওয়ার পর কিছুটা আত্মতুষ্টিতেই ভুগছিল সিটি। ফার্নান্দিনহোরা বল হারাচ্ছিলেন সহজেই।

    সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ম্যাচে ফেরার আশা জাগিয়েছিল এভারটন। ৭১ মিনিটে কালভার্ট-লেউইনের ক্রসে গোল করেন রিচার্লিসন। দ্বিতীয়ার্ধের শেষদিকে হ্যাটট্রিকেরও সুযোগ পেয়েছিলেন হেসুস। কিন্তু পিকফোর্ডকে আবারও পরাস্ত করলেও তার শট ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেজন্য ভুগতে হয়নি সিটিকে। ২-১ গোলের জয় নিয়েই ফিরেছে গার্দিওলার দল।