• ফুটবল, অন্যান্য
  • " />

     

    দিবালা-হিগুয়াইনে বড় জয় জুভেন্টাসের, এমবাপ্পে-নেইমার জেতালেন পিএসজিকে

    দিবালা-হিগুয়াইনে বড় জয় জুভেন্টাসের, এমবাপ্পে-নেইমার জেতালেন পিএসজিকে    

    সাইনাস জনিত সমস্যার কারণে ২০১৯-২০ কোপা ইতালিয়ার শেষ ষোলতে উদিনেসের বিপক্ষে জুভেন্টাসের স্কোয়াডে ছিলেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কিন্তু ‘সিআর৭’-এর অনুপস্থিতি বুঝতে দেননি দলের অন্যান্য ফরোয়ার্ডরা। পাউলো দিবালা, গঞ্জালো হিগুয়াইন এবং ডগলাস কস্তার জ্বলে ওঠার দিনে উদিনেসেকে ৪-০ গোলে হারিয়ে ইতালিয়ান কাপের শেষ আটে উঠে গেছে মরিজিও সারির দল।

    জুভেন্টাসের মত বড় জয় পেয়েছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইও। কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া গোলে এএস মোনাকোকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা, গোল পেয়েছেন নেইমারও। আর ইংল্যান্ডে  ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও উলভসকে ১-০ গোলে হারিয়ে এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডে উঠে গেছে।

    লিওনার্দো বনুচ্চি এবং রোনালদোর অনুপস্থিতিতে উদিনেসের বিপক্ষে জুভেন্টাসের অধিনায়ক ছিলেন দিবালা। নেতৃত্ব ভারে ভড়কে যাননি তিনি, উল্টো আবারও জানান দিয়েছেন নিজের সামর্থ্যর। ১৮ মিনিটে হিগুয়াইনের সঙ্গে দিয়াবালার দারুণ বোঝাপড়া গোল পাইয়ে দেয় জুভেন্টাসকে। বক্সের ঠিক বাইরে হিগুয়াইনের সঙ্গে কয়েক বার ওয়ান টু করার পর দিবালার পাস থেকেই গোল করেন হিগুয়াইন। 

    কিছুক্ষণ বাদে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দিবালা নিজেই। ডিবক্সে ফেদেরিকো বের্নার্দেস্কিকে ফেলে দেন উদিনেসে গোলরক্ষক নিকোলাস। ১২ গজ থেকে গোল করেন ‘লা জোয়া’। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়েই নিশ্চিত হয়ে যায় ফলাফল। বাকিটা সময় চেষ্টা করেও ফিরতে পারেনি উদিনেসে। আর গা বাঁচিয়ে খেলেও আরও দুই গোল পেয়ে যায় সারির দল।

     

     

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ডিবক্সে মাথিয়াস ডি লিখটের শট ফিরিয়ে দেন নিকোলাস, ফিরতি বল জালে পাঠান হিগুয়াইন। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায়, অফসাইডে ছিলেন তিনি; বাতিল হয় গোল। মিনিট তিনেক পরই ব্যবধান ৩-০ করেন দিবালা। হিগুয়াইনের পাসে ডানপ্রান্ত থেকে দুর্দান্ত বাঁকানো শটে জাল খুঁজে পান জুভেন্টাস অধিনায়ক।

    উদিনেসের কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকে দেন কস্তা। আবারও পেনাল্টি পায় জুভেন্টাস। হিগুয়াইনের শট নিওটিঙ্কের হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি দেন রেফারি। হ্যাটট্রিকের সুযোগ থাকলেও কস্তার জন্য পেনাল্টি ছেড়ে দেন দিবালা। নিঃস্বার্থ দিবালার আস্থার প্রতিদান দেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। অবশেষে ৪-০ গোলের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে জুভেন্টাস।

    গত সপ্তাহে নিজেদের মাঠে দু;বার লিড নিয়েও শেষ পর্যন্ত মোনাকোর বিপক্ষে জিততে পারেনি পিএসজি। এবার মোনাকোর মাঠেই সেই ঝাল মিটিয়েছে থমাস তুখলের দল। এমবাপ্পে জোড়া গোল করেছেন, গোল পেয়েছেন নেইমারও। কিন্তু মোনাকোর মাঠে এসব ছাপিয়ে উঠে এসেছে ‘ভিএআর’ বিতর্ক। ম্যাচের ২৪ মিনিটে আনহেল ডি মারিয়ার দুর্দান্ত থ্রু পাসে মোনাকো গোলরক্ষক বেনজামিন লেকন্তেকে পরাস্ত করেন এমবাপ্পে। কিন্তু গোলের বিল্ড আপে মোনাকোর কেইটা বালদেকে ফাউল করেছিলেন ইদ্রিসা গেয়ে। কিন্তু ‘ভিএআর’-এও বদলায়নি সিদ্ধান্ত। মিনিটখানেক পরই সমতায় ফিরতে পারত মোনাকো, কিন্তু জেলসন মার্টিন্সকে দুর্দান্ত সেভে ফিরিয়ে দেন কেইলর নাভাস। কিছুক্ষণ বাদে আবারও মোনাকোর জালে বল পাঠিয়েছিল পিএসজি, কিন্তু কলিন ড্যাগবাকে পাস বাড়ানোর সময় অফসাইডে ছিলেন ডি মারিয়া, বাতিল হয় গোল।

     

     

    প্রথমার্ধের শেষদিকে অবশ্য ব্যবধান দ্বিগুণ করেছিল পিএসজি, কিন্তু এই গোলেও আছে বিতর্ক। ডিবক্সে কামিল গ্লিকের আলতো টাচে পড়ে যান পিএসজি লেফটব্যাক লেভিন কুরযাওয়া। পেনাল্টির বাঁশি দেন রেফারি, গোলা করেন নেইমার। এই সিদ্ধান্তের পর ডাগআউটে মেজাজ হারান মোনাকো ম্যানেজার রবার্তো মরেনো, তাকে সতর্ক করে দেন রেফারি। এই গোলের পর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি মোনাকো। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান ৩-০ করেন পাবলো সারাবিয়া। ম্যাচের শেষদিকে এক গোল শোধ করেছিলেন তিয়েমুয়ে বাকায়োকো, কিন্তু যোগ করা সময়ে আবারও গোল করেন এমবাপ্পে। ২০ ম্যাচ শেষে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পিএসজি, দুইয়ে থাকা  মার্শেইয়ের চেয়ে ৮ পয়েন্টে এগিয়ে তুখলের দল।

    উলভসের মাঠে এফএ কাপ তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ গোলশূন্য ড্র করেছিল ইউনাইটেড। রিপ্লেতে দু’দলের দেখা হয়েছে ওল্ড ট্রাফোর্ডে। প্রথমার্ধে আক্রমণে এগিয়ে ছিল সোলশারের দলই, কিন্তু গোলটাই আর পাওয়া হচ্ছিল না তাদের। ১০ মিনিটে ইউনাইটেডের জালে বল পাঠিয়েছিল উলভস, কিন্তু শট নেওয়ার আগে বল হাতে লাগায় বাতিল হয় পেদ্রো নেটোর গোল। আগামী সপ্তাহে লিভারপুলের মাঠে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ থাকায় উলভসের বিপক্ষে রাশফোর্ডকে বিশ্রামে রেখেছিলেন সোলশার, দ্বিতীয়ার্ধে নেমেছিলেন তিনি। কিন্তু পিঠের ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। রাশফোর্ড মাঠ ছাড়ার মিনিট তিনেক পরই অবশ্য লিড নেয় ইউনাইটেড। উলভস গোলরক্ষক জন হ্রাদীকে একা পেয়ে দারুণ চিপে ইউনাইটেডের জয় নিশ্চিত করেন হুয়ান মাতা।