• অস্ট্রেলিয়ার নিউজিল্যান্ড সফর ২০১৬
  • " />

     

    কিউইদের অন্য লড়াই!

    কিউইদের অন্য লড়াই!    

    তাসমান সাগরেরই দুই পাড়ের দুই দেশ। অনেক ‘সাধারণ’ এর মাঝে ক্রিকেটও একটা দুই দেশের মাঝে। ক্রিকেটের লড়াইটা যখন এ দুই দেশের মাঝেই, বাড়তি একটা ঝাঁঝ তো পাওয়াই যায়! তবে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া দুই প্রতিবেশীর ক্রিকেটীয় লড়াইয়ে আভাস মিলছে অন্যরকম এক লড়াইয়েরও! কথার লড়াই। যেখানে মূল ভূমিকাটা পালন করতে পারে নিউজিল্যান্ডের দর্শকরাই!

     

    ভারতের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়ার পুরো ওয়ানডে স্কোয়াড একসঙ্গে যায়নি নিউজিল্যান্ডে, তবে যাঁরা গেছেন, ইতোমধ্যেই ‘স্বাদ’ পেয়েছেন কিউই দর্শকদের ‘তিক্ত’ বাক্যবাণের! অন্তত অকল্যান্ডে নিজের দ্বাদশ ওয়ানডে খেলতে যাওয়া কেন রিচার্ডসন বলছেন এমনই, ‘নেটে আধাঘন্টার মাঝেই আমরা যেসব সহ্য করেছি, (আশা করি), আরও করতে হবে। আবার বলছি, যারা এখনও আসেনি, তোমাদেরও সহ্য করতে হবে!’

     

    নিউজিল্যান্ড আসার আগে কোচ ড্যারেন লেম্যানও বলে দিয়েছেন, কিউই দর্শকদের ‘আতিথেয়তা’ সম্পর্কে। ওয়েলিংটনে একবার বুফের (লেম্যানের ডাকনাম) দিকে নাকি মাছ ছুঁড়ে মেরেছিলেন দর্শকরা! এমনিতে অস্ট্রেলিয়ান দর্শকদের ‘সুনাম’ আছে, সফরকারীদের নাজেহাল করার ব্যাপারে। সেই অস্ট্রেলীয়দেরই যদি এমন কিছুর সম্মুখীন হতে হয়, ব্যাপারটা আসলে কেমন? রিচার্ডসনের কাছে ব্যাপারটা বরং ‘অভিজ্ঞতা বাড়াতে সহায়ক’!

     

    শেষ পাকিস্তান সিরিজেও কিউই দর্শকদের এমন ‘ব্যবহার’ এসেছে আলোচনায়। বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করা মোহাম্মদ আমীরকে টাকা ছুঁড়ে মেরেছিলেন কয়েকজন, আমীরের স্পট-ফিক্সিংয়ের সংশ্লিষ্টতার কথা মনে করিয়ে দিতেই! তার আগে স্বয়ং টিম সাউদিও ইডেন পার্কের দর্শকদের এমন আচরণের শিকার হয়েছিলেন।

     

    সোমবার সেই ইডেন পার্কেই রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ায় অনুশীলন করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে স্কোয়াডের নয়জন। বাকিদের যোগ দেওয়ার কথা ওইদিনই, দিনের শেষভাগে। তবে সিরিজ শুরু হলে ইডেন পার্ক বোধহয় অন্যভাবেই ধরা দেবে অস্ট্রেলীয়দের কাছে।

     

    প্রতিবেশীদের দর্শকরা যে অপেক্ষা করে আছেন ‘কথার ঝাঁপি’ নিয়েই!