মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন স্মিথ!
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ৭৭তম ওভারটিতে বল করছিলেন কিউই পেসার নিল ওয়াগনার। স্টিভ স্মিথকে তিন নম্বর বলে বাউন্সার মেরেছিলেন। ওয়াগনারের সেই বাউন্সার এসে লাগে স্টিভ স্মিথের মাথার পিছন দিকে। তিনি মূলত বলটা ‘ডাক’ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, ওয়াগনারের বাউন্সটি নিচু হয়ে এসে লাগে বাঁ কানের পিছনে আঘাত করে। এরপরই মাটির দিকে উপুড় হয়ে পড়ে যান তিনি। ঠিক ২৫ নভেম্বর, ২০১৪ এর মত... যেভাবে পড়ে গিয়েছিলেন ফিল হিউজ। না, এইবার আর অতীতের পুনরাবৃত্তি ঘটে নি। একটু পরেই নিজেকে সামলে নিয়েছেন স্টিভ।
তবে স্মিথের ওরকম পড়ে যাওয়া দেখে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল ক্রিকেট ওভালে উপস্থিত সকলেই। ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন বোলার ওয়াগনারও।এই বুঝি ঘটে গেল আরেকটি অঘটন! অজি অধিনায়ক মাটিতে লুটিয়ে পড়ার সাথে সাথেই তাঁর কাছে ছুটে যান ওয়াগনার। পরে স্বীকার করেছেন, বেশ ভয় পেয়েছিলেন, “ তাঁর দিকে ছুটে যাওয়ার পরেই দেখি, সে একটু একটু করে চোখ খুলছিল। শুরুতে খুব ভয় পেয়েছিলাম। স্মিথ জানালো যে সে ঠিক আছে। আমরাও তাঁকে যতটুকু সময় দরকার সেটা নিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করতে বললাম। সেও সেটাই করলো এবং এরপর তাঁকে ভালোই মনে হচ্ছিল। এটা মোটেই ভালো কোন অভিজ্ঞতা নয়। কিছুটা ভয়ঙ্কর অনুভূতি। কারোরই ইচ্ছা থাকে না কাউকে মাথায় আঘাত করে এভাবে মাটিতে ফেলে দেয়ার। এমন কিছুর পর আবারো উঠে দাঁড়ানো এবং অসাধারণ ব্যাটিং করে যাওয়া... কৃতিত্বটা তাঁকেই দিতে হবে। এটাই তাঁর বৈশিষ্ট্য দেখিয়ে দেয়।”
ওয়াগনারের বাউন্সারে লুটিয়ে পড়লেও থেমে যান নি স্মিথ। ওয়াগনারের শর্টবলটি স্কয়ারে ঠেলে দিয়ে নিজের আত্মবিশ্বাস দেখিয়ে দিয়েছেন । মাটি থেকে উঠে দাঁড়িয়ে নিজের ১৪তম সেঞ্চুরিটা পূর্ণ করেন অজি অধিনায়ক। আউট হয়েছেন ১৩৮ রানে। স্মিথের আঘাত পাওয়ার সময় ক্রিজের ওপ্রান্তে ছিলেন ৩য় উইকেট জুটিতে রেকর্ড গড়ার সঙ্গী জো বার্নস। ভয় পেয়েছিলেন এই অজি ওপেনারও, “কাউকে মাথায় আঘাত পেতে দেখা নিশ্চয়ই ভয় পাওয়ার ব্যাপার। বিষয়টা আতংকের ছিল। ভাগ্য ভালো মেডিক্যাল স্টাফরা খুব দ্রুত তাঁর কাছে ছুটে গিয়েছিল এবং প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা করেছে। চা বিরতিটা খুব কাছে হওয়ায় কপাল ভালো ছিল। এটা তাঁকে ২০ মিনিট বসে ভয়টা কাটানোর সুযোগ করে দিয়েছে।”