• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    বেতন কেটে সেই অর্থ খরচ কীভাবে হবে, জানতে চান ওজিল

    বেতন কেটে সেই অর্থ খরচ কীভাবে হবে, জানতে চান ওজিল    

    করোনাভাইরাসের কারণে আর্থিক ক্ষতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ইউরোপের ক্লাবগুলো। এমন অবস্থায় খেলোয়াড়দের বেতন কমানোর মাধ্যমে ক্ষতি কিছুটা প্রশমনের চেষ্টা করছে তারা। গত সোমবার খেলোয়াড় এবং স্টাফদের সাথে আলোচনা করে প্রথম প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব হিসেবে বেতন কর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আর্সেনাল। আগামী ১ বছর খেলোয়াড় এবং স্টাফদের সাড়ে ১২ ভাগ বেতন কেটে রাখার ঘোষণা দেয় তারা। তবে ক্লাবের সবচেয়ে বেশি বেতনভোগী ফুটবলার মেসুত ওজিলসহ আরও দুজন খেলোয়াড় বেতন ছাড় দেওয়ার বিষয়ে একমত হননি।

    ওজিল অবশ্য মঙ্গলবার বিষয়টিতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে জানিয়েছেন যে, ব্যক্তিগত আর্থিক কারণে নয়, বরং বেতন কর্তনের পর সেই অর্থ ব্যবহারে ক্লাবের পরিকল্পনা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকাতেই তিনি বেতনের একটি অংশ ছেড়ে দিতে প্রাথমিকভাবে রাজি হননি। তবে যদি এই ধোঁয়াশা কেটে যায়, তাহলে বেতনের নির্দিষ্ট অংশের চেয়ে আরও বড় অংশও ছেড়ে দিতে রাজি তিনি।


    খেলোয়াড় এবং স্টাফদের বেতনের একটি অংশ কেটে নিলেও যদি ক্লাব আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে উত্তীর্ণ হতে পারে, তাহলে কেটে নেওয়া অংশের পুরোটা খেলোয়াড়দের বুঝিয়ে দেবে বলে জানিয়েছে আর্সেনাল। এমনকি ইউরোপা লিগে সুযোগ পেলেও কেটে নেওয়া বেতনের বড় একটি অংশ ফিরিয়ে দেবে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। 

    এদিকে আংশিক বেতন ছেড়ে দিতে ওজিল আপত্তি জানালেও দাতব্য কাজে অংশগ্রহণের জন্য নাম-ডাক আছে জার্মান ফুটবলারের। বছরে প্রায় ২মিলিয়ন পাউন্ড দাতব্য কাজে ব্যয় করেন ওজিল, সঙ্গে বিশ্বজুড়ে প্রায় ১ হাজার শিশুর জরুরী চিকিৎসার ব্যয়ও বহন করেন তিনি। তুরস্কে তার পৈতৃক নিবাস জঙ্গুলদাক অঞ্চলে প্রতিভাবান শিশু-কিশোর ক্রীড়াবিদদের জন্য অনুশীলনের ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন ওজিল।

    তবে আর্সেনালের সাম্প্রতিক এই বেতন কর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে নিজের সংকোচের বিষয়টি নিয়ে বলতে দ্বিধা করেননি ওজিল। সিদ্ধান্তটি তড়িঘড়ি করে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন ওজিল, সঙ্গে ক্রীড়া আইনজীবী এবং চুক্তি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আরও আলোচনার প্রয়োজন ছিল।

    আর্সেনালের এই বেতন কর্তনের প্রস্তাবের ওপর দুবার ভোটাভুটি হয়েছে। প্রথমবার ভোটে ক্লাবের ১৫ জন খেলোয়াড় বেতনের একটি অংশ ছাড়ের বিপক্ষে ভোট দেন। তবে পরবর্তীতে ক্লাব ম্যানেজার মিকেল আর্টেটা ক্লাবের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে খেলোয়াড়দের ঐকমত্যে আসতে অনুরোধ করেন। এরপরই ওজিল সহ আরও দুই খেলোয়াড় বাদে বাকি সবাই বেতন কর্তনের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলেন।