• ফুটবল, অন্যান্য
  • " />

     

    গোলের পর জর্জ ফ্লয়েডকে স্মরণ করলেন সানচো-হাকিমি-থুরামরা

    গোলের পর জর্জ ফ্লয়েডকে স্মরণ করলেন সানচো-হাকিমি-থুরামরা    

    বুন্দেসলিগা ফেরার পর টানা ৩ ম্যাচেই সাইডবেঞ্চে ছিলেন জেডন সানচো। একাদশে ফিরে করলেন হ্যাটট্রিক। তাতে পাডেরবর্নকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে টিমটিম করে জ্বলতে থাকা শিরোপা স্বপ্ন টিকিয়ে রেখেছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। লিগের ৫ ম্যাচ বাকি থাকতে শীর্ষে থাকা বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান আবার ৭-এ নামিয়ে এনেছে তারা। তবে বুন্দেসলিগায় রবিবার সব আলো কেড়েছে সানচো, মার্কাস থুরামদের গোল উদযাপন। জর্জ ফ্লয়েড হত্যার বিচার চেয়ে গোল উদযাপন করেছেন তারা নিজ নিজ ম্যাচে।

    ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর জর্জ ফ্লয়েড নিহত হন। শ্বেতাঙ্গ পুলিশের নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ  ফ্লয়েড নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর প্রায় পুরো দেশ জুড়েই বিক্ষোভ শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রে। সানচো, হাকিমিরাও গোল উদযাপন করে আদতে সেই প্রতিবাদেই যোগ দিয়েছেন জার্মানি থেকে। ইংলিশ ফরোয়ার্ড হলুদ কার্ড দেখালেও অবশ্য হাকিমিকে আর রেফারি একই শাস্তি দেননি।


    প্রথম গোলের পর জার্সি খুলে উদযাপন করেছেন সানচো, নিচের টি-শার্টে লেখা "জাস্টিস ফর জর্জ ফ্লয়েড"  দিয়েই বার্তা দিতে চেয়েছিলেন তিনি। সানচোর মতো গোলের পর একই কাজ করেছেন আশরাফ হাকিমিও। 

    পাডেরবর্নের মাঠে অবশ্য প্রথমার্ধটা গেছে ঢিলেঢালাভাবেই। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে চড়াও হয়েছিল ডর্টমুন্ড। তখন থরগ্যান হ্যাজার্ড (৫৪') করেছেন প্রথম গোল। এরপরই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সানচো (৫৭')। ৭২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে পাডেরবর্ন এক গোল শোধ দিয়ে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল। দুই মিনিট পর বক্সের ভেতর বাম পাশ থেকে থেকে বাম পায়ের শটে দ্বিতীয় গোল করে সানচো আবারও দুই গোলের লিড ফিরিয়ে দেন দলকে। সানচো হ্যাটট্রিক পূরণ করেছেন যোগ করা সময়ে। এর আগে হাকিমি (৮৫') আর স্মেলজার (৮৯')। 

    ইংল্যান্ড ছাড়া ইউরোপের বাকি শীর্ষ ৪ লিগে কোনো ইংলিশ ফুটবলার হ্যাটট্রিক করলেন ৩১ বছর পর। ২০ বছর বয়সী এই মৌসুমে লিগে এখন পর্যন্ত গোল করেছেন ১৭টি।

    এর আগে বুন্দেসলিগার অন্য ম্যাচে বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখ বড় জয় পেয়েছে। ইউনিয়ন বার্লিনকে ৪-১ গোলে হারানোর ম্যাচে মার্কাস থুরাম করেছেন জোড়া গোল। তিনিও গোল উদযাপন করেছেন ফ্লয়েড নিহত হওয়ার বিচার চেয়ে। গোলের পর মাঠে হাঁটু গেড়ে মার্কাস করেছেন প্রতিবাদী গোল উদযাপন।

    মার্কাসের বাবা লিলিয়ান থুরাম  ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্স দলের সদস্য। বর্ণবাদবিরোধী অ্যাক্টিভিস্ট ও ইউনিসেফের হয়ে এখন কাজ করছেন লিলিয়ান থুরাম।