• ফুটবল, অন্যান্য
  • " />

     

    ওজিলের পর উইঘুর মুসলিমদের সমর্থনে প্রতিবাদের ডাক দিলেন ডেম্বা বা

    ওজিলের পর উইঘুর মুসলিমদের সমর্থনে প্রতিবাদের ডাক দিলেন ডেম্বা বা    

    চীনের উইঘুর মুসলিমদের জন্য আওয়াজ তুলতে ফুটবল বিশ্বের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সাবেক চেলসি ফরোয়ার্ড ডেম্বা বা। আর্থিক ক্ষতি সয়ে হলেও উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে ফুটবল বিশ্বকে এক হয়ে প্রতিবাদ জানাতে আহবান করেছেন তিনি।

    বিবিসি স্পোর্টের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের মতো উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীনের নির্যাতনের বিরুদ্ধেও আন্দোলন হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন বা, “ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলন মজবুত হয়েছে যখন কৃষ্ণাঙ্গরা ছাড়া অন্যরাও এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে। তেমনিভাবে মুসলিমদের জন্য বিশ্ব কবে প্রতিবাদের আওয়াজ তুলবে?”

    চীনে দীর্ঘদিন ধরে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি উইঘুর মুসলিমকে তাদের বিশ্বাস এবং জাতিগত কারণে বিনা বিচারে বিভিন্ন ক্যাম্পে আটকে রেখেছে দেশটির সরকার। শুরুতে ক্যাম্পগুলোর অস্তিত্ব অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের জন্য ক্যাম্পগুলো তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চীন। সেখানে স্বেচ্ছায় পুনঃশিক্ষা দেওয়া হয় বলেও উল্লেখ করেছিল দেশটি। তবে বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদতে সেই ক্যাম্পগুলোতে সন্তানদের মা-বাবা থেকে পৃথক করে নেওয়া হয়, উইঘুর মুসলিমদের নিশ্চিহ্ন করতে নারীদের নির্বীজিত করা হয়।

    বা-ই প্রথম নন, তার আগে আর্সেনালের মেসুট ওজিলও টুইট করে উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তবে চীনে আর্সেনালের বিশাল ফ্যানবেজ, কমার্শিয়াল অফিস এবং রেস্টুরেন্ট রয়েছে। আর সেসব ব্যবসায়িক কারণে ক্লাবটি দ্রুতই ওজিলের মন্তব্য থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নেয়। চাইনিজ সামাজিক মাধ্যমে ওয়েইবো-তে নিজেদের ‘অরাজনৈতিক’ বলে পরিচিতি দিয়ে পোস্ট করে আর্সেনাল।

    তবে সাবেক সেনেগাল ফরোয়ার্ড বা নিজেই উইঘুর মুসলিমদের জন্য ফুটবল বিশ্বে সমর্থন আদায়ের মিশনে নেমেছেন, “আমাকে চেষ্টা করে কিছু একটা করতে হবে, যাতে ফুটবল খেলোয়াড়রা এক হয়ে এই বিষয়ে নিজেদের মত রাখতে পারেন, কারণ অনেকেই এই বিষয়ে কথা বলতে চায়। মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান অথবা অন্যান্য বিশ্বাসের ফুটবলাররা ন্যায়ের জন্য লড়তে চায়। খেলার জগতের মানুষ হিসেবে আমাদের ক্ষমতা আছে, তবে হয়ত আমরা সেটা জানি না। আমরা যদি এক হয়ে কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলি, তাতে পরিবর্তন আসবে। আমরা দাঁড়ালেই মানুষও আমাদের পাশে এসে দাঁড়াবে।”