• জাতীয় ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    অলরাউন্ডার রানায় ভর করে চট্টগ্রাম, শহিদুলে জয় ঢাকা মেট্রোর

    অলরাউন্ডার রানায় ভর করে চট্টগ্রাম, শহিদুলে জয় ঢাকা মেট্রোর    

    ২য় স্তর, বরিশাল (টস- বরিশাল/ব্যাটিং) 
    বরিশাল ২৪১ (আশরাফুল ৪৮, আবু সায়েম ৪৬, আবু হায়দার ৩/৩৪, রাকিবুল ৩/৭৬) ও ২০৮ (মইনুল ৬৩, সালমান ৪৪, আবু হায়দার ৩/৪২, শহিদুল ২/৪৩)
    ঢাকা মেট্রো ৪১৩ (আইয়ুব ১১২, শহিদুল ১০৬, জাহিদুজ্জামান ৬০, রাব্বি ২/৪৯, তানভির ২/৮৪) ও ৩৭/২
    ঢাকা মেট্রো ৮ উইকেটে জয়ী 


    ২৪১ রানে নিজেরা প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয়ে যাওয়ার পর ঢাকা মেট্রোকে একসময় ২৬৪ রানে ৭ উইকেটে পরিণত করেছিল বরিশাল। তবে আটে নামা শহিদুল ইসলামের সেঞ্চুরি, ৮ম উইকেটে আবু হায়দার রনির সঙ্গে তার ১৪০ রানের জুটি মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে বরিশালকে। শহিদুলের আগে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের ২১তম সেঞ্চুরি পেয়েছেন মার্শাল আইয়ুব। এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় মুমিনুলকে ছুঁয়েছেন আইয়ুব, তার ওপরে আছেন এখন তুষার ইমরান, নাঈম ইসলাম ও এনামুল হক বিজয়। 

    দ্বিতীয় ইনিংসেও বরিশাল গুটিয়ে গেছে দ্রুতই, ওপেনিংয়ে মইনুল ইসলাম করেছেন শুধু ফিফটি। ব্যাটিংয়ে ঢাকা মেট্রোর শেষদিকের নায়ক শহিদুল-আবু হায়দার বোলিংয়েও উজ্জ্বল ছিলেন, এই পেস বোলিং জুটি মিলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। বরিশালের দেওয়া ৩৭ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে যেতে এরপর খুব একটা সময় লাগেনি ঢাকা মেট্রোর। 

    অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের কারণে ম্যাচসেরা হয়েছেন শহিদুল। 


    ২য় স্তর, রাজশাহী (টস- চট্টগ্রাম/ব্যাটিং) 
    চট্টগ্রাম ২৮৭ (দিপু ১০৮, রানা ৫৫, রেজা ৪/৪৪, তাইজুল ২/৬৩) ও ১৪৭ (শুক্কুর ৬৫, জয় ৩৯, তৌহিদ হৃদয় ৩/১৯, রেজা ৩/৩৭, তাইজুল ৩/৪৮)
    রাজশাহী ১৫২ (রেজা ২৭*, নোমান ৪/৪৭, রানা ৩/২২) ও ১৯৪ (রানা ৪/৩৫, ইরফান ৩/৪০)  
    চট্টগ্রাম ৮৮ রানে জয়ী


    বরিশালে যা করেছেন শহিদুল ইসলাম, রাজশাহীতে মেহেদি হাসান রানার পারফরম্যান্সও ছিল তেমনই। প্রথম ইনিংসে আটে নেমে করেছেন ৫৫ রান, দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছেন ৭ উইকেট-- নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী থেকে ৮.২৬ পয়েন্ট নিয়ে ফেরা। 

    প্রথম ইনিংসে ১৪১ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল চট্টগ্রাম, শাহাদাত হোসেন দিপুর সঙ্গে রানা এরপর ৭ম উইকেটে যোগ করেছিলেন ১১৩ রান। ২৫৬ বলে ১১ চার ও ২ ছয়ে ১০৮ রান করেছেন দিপু, আউট হয়েছেন শেষ বপ্যাটসম্যান হিসেবে। 

    জবাবে নোমান চৌধুরি ও রানার তোপে ১৫২ রানেই গুটিয়ে গেছে রাজশাহী। ১৩৫ রানের বড় লিড পাওয়া চট্টগ্রাম এরপর ৬০ রানে হারিয়ে ফেলেছিল ৬ উইকেট, তবে আটে নামা ইরফান শুক্কুরের ৮০ বলে ৬৫ রানের ইনিংসের পর রাজশাহীকে ২৮৩ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছিল চট্টগ্রাম। 

    ইরফান হোসেন ও রানা এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিয়ে গেছেন। তিনে নেমে শেষ পর্যন্ত ১৬৩ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত ছিলেন অভিজ্ঞ জুনাইদ সিদ্দিক, তবে রাজশাহীকে পার করাতে পারেননি তিনি।