• কোপা আমেরিকা ২০২১
  • " />

     

    কোভিডময় কোপা: আবার ব্রাজিল, মেসির শেষ সুযোগ নাকি অন্য চমক?

    কোভিডময় কোপা: আবার ব্রাজিল, মেসির শেষ সুযোগ নাকি অন্য চমক?    

    কোপা আমেরিকার ইতিহাসে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। একটা সময় ব্রাজিল নেক দিন অংশ নেয়ন, যুদ্ধ থেকে শুরু করে আরও নানা রাজনৈতিক কারণে কোপার ওপর আঘাত এসেছে। তবে আজ যে পরিস্থিতিতে কোপা শুরু হচ্ছে, সেটা আগে হয়েছে কিনা সন্দেহ। করোনা ভাইরাসের মহামারীর মধ্যে খোদ ব্রাজিলেই তুমুল বিরোধিতার মধ্যে মাঠে গড়াচ্ছে খেলা। খেলার চেয়ে এখন খেলার বাইরের বিষয় নিয়েই বেশি মাতামাতি। 

    টুর্নামেন্ট শুরুর এক দিন আগে কাল খবর এসেছে, ভেনেজুয়েলার ১২ জন করোনা পজিটিভ। এর মধ্যে খেলোয়াড়সহ অন্যান্য স্টাফও আছে। তড়িঘড়ি করে এখন ভেনেঞ্জুয়েলার স্থানীয় লিগ থেকে খেলোয়াড় খোঁজা হচ্ছে। অথচ আজ ব্রাজিলের সাথে তাদের নামার কথা মাঠে। বলিভিয়ারও চার জনের করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর এসেছে।



    কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে এখন পর্যন্ত। ব্রাজিল সরকার কোপা আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর। কাসেমিরোর নেতৃত্বে ব্রাজিলের খেলোয়াড়েরা একটা সময় বয়কট করার কথা ভাবলেও পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। ব্রাজিলে আদালত হস্তক্ষেপ করার কথা থাকলেও সেটা আর করেনি। স্পন্সররা নাম সরিয়ে নিলেও তাই কোপা মাঠে গড়াচ্ছেই। অথচ ব্রাজিলে মৃতের সংখ্যা ৫০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে এর মধ্যেই। 

    এবারের টুর্নামেন্ট আসলে ব্রাজিলে হওয়ারই কথা ছিল না। ২০১৯ সালে এই ব্রাজিলেই হয়েছিল, সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্বাগতিকেরা। এবার আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়া ছিল যৌথ আয়োজক। কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরুর আগে রাজনোইতিক কারণে কলম্বিয়া বাদ হয়ে যায়। শেষ মুহূর্তে কোভিড পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় আর্জেন্টিনাও সরিয়ে নেয়। অনেক দোটানার পর ব্রাজিল সরকার ঠিক করে, তারাই আয়োজন করবে। 

    অবশ্য ব্রাজিলের হাতেই কাপ দেখছেন অনেকে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বলে শুধু নয়, ব্রাজিলের ফর্মও সে কথা বলছে। দক্ষিণ আমেরিকা বাছাইপর্বে তারা সবার ওপরে এখন পর্যন, ছয় ম্যাচে ছয় জয় নিয়ে বাকিদের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে। নেইমার আগের বার দেশের মাটিতে কোপা মিস করার হতাশা নিশভয় ভুলতে চাইবেন এবার। ব্রাজিলের ডিফেন্সটা তাদের এগিয়ে রাখবে বাকিদের চেয়ে। 

    লিওনেল মেসির জন্য সম্ভবত এবারের কোপাই বড় কিছু জেতার বড় ও শেষ সুযোগ। লিওনেল স্কালনির দল কিছুটা গুছিয়ে এনেছেন, ২০১৯ সালের পরআর হারনেই এখনো। তবে ফর্ম এখনো বেশ অধারাবাহিক। আর্জেন্টিনার জন্য ভালো ব্যাপার, মেসির সাথে একদল তরুণ ধীরে ধীরে প্রস্তুত হচ্ছেন একাদশে। রদ্রিগো দিল পল, পারেদেসরা মধ্যমাঠে এখন ভরসা, রক্ষণে আশা জোগাচ্ছেন ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোরা। 

    এর বাইরে বাকি দলগুলোর অবস্থাও ভালো নয় খুব একটা। চিলির অ্যালেক্সিস সানচেজ ছিটকে গেছেন চোটের জন্য। উরুগুয়ের এডিনসন কাভানি, লুইস সুয়ারেজরা এখনো আছেন, তবে আগের সেই ফর্ম নেই তাদের। ইকুয়েডর বাছাইপর্বের শুরুটা ভালো করেছিল, এরপর গত দুই ম্যাচে আবার হোঁচট খেয়েছে। কলম্বিয়া ও প্যারাগুয়ে ঠিক শিরোপা জেতার মতো দল নয়। তবে টুর্নামেন্টের ফরম্যাট এমন, নকআউটে তিনটা ম্যাচ জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। তাই হতে পারে যে কোনো কিছুই।,