• আইপিএল ২০২১
  • " />

     

    বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে শীর্ষস্থানে উঠলো চেন্নাই

    বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে শীর্ষস্থানে উঠলো চেন্নাই    

    গ্রুপ পর্ব, শারজাহ (টস- চেন্নাই/ বোলিং)
    রয়্যাল চ্যালেঞ্জারস বেঙ্গালুরু ১৫৬/৬, ২০ ওভার (পাডিকাল ৭০, কোহলি ৫৩, ডি ভিলিয়ার্স ১২, ব্রাভো ৩/২৪, শার্দুল ২/২৯, চাহার ১/৩৫)
    চেন্নাই সুপারকিংস ১৫৭/৪, ১৮.১ ওভার (গায়কোয়াড় ৩৮, রায়ুডু ৩২, ডু প্লেসি ৩১, হারশাল ২/২৫, চেগেল ১/২৬)
    চেন্নাই সুপারকিংস ৬ উইকেটে জয়ী
     

     

    পয়েন্ট তালিকার দুই ও তিনের লড়াইয়ে সহজ পেয়েছে চেন্নাই সুপারকিংস। ১১১ রানের ওপেনিং জুটির পরে ডোয়াইন ব্রাভোর ৩ উইকেটে ১৫৬ রানে রয়্যাল চ্যালেঞ্জারস বেঙ্গালুরু আটকে গেলে  রুতুরাজ গায়কোয়াড়, ফাফ ডু প্লেসি ও আম্বাতি রায়ুডুর ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংসে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই।

    টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামতে হলেও বেঙ্গালুরুর শুরুটা এদিন হয়েছিল দারুণ। দীপক চাহারের করা প্রথম ওভারেই তিন চারে ১৩ রান নেয় ভিরাট কোহলি ও দেবদূত পাডিকাল। পেসারদের দারুণভাবে সামলে পাওয়ারপ্লেতে ৫৬ রান তোলে এই ওপেনিং জুটি। এমনকি প্রথম ১০ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে তারা তোলেন ৯০ রান।

    চাহারের বলে চার মেরে ৩৫ বলে নিজের ফিফটি পূর্ণ করেন পাডিকাল। কিছুক্ষণ পরেই জাদেজার বলে চার মেরে ৩৬ বলে ফিফটি পান কোহলিও। পরের ওভারেই অবশ্য ব্রাভোর বলে ডিপ মিডউইকেটে জাদেজার কাছে ক্যাচ দিয়ে ৪১ বলে ৫৩ রানে থামেন কোহলি।

    ১১১ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙার পরেই দৃশ্যপটে আসে অভাবনীয় পরিবর্তন। এদিন তিনে এবি ডি ভিলিয়ার্স নামলেও নিজের চিরচেনা রূপে ছিলেন না তিনি। উইকেট পতনের পর পাডিকালেরও লাগাম টেনে ধরেছিল চেন্নাই বোলাররা।

    ১৭ তম ওভারে শার্দুলকে ছয় মেরে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিচ্ছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। তবে এক বল পরেই ঠিকঠাক সংযোগ করতে না পেরে আকাশে বল তুলে দিয়ে ১১ বলে মাত্র ১২ রান করে ফেরেন তিনি। পরের বলেই স্কুপ করতে গিয়ে রায়ডুর কাছে ক্যাচ দিয়ে ৭০ রানে ফিরে যান পাডিকালও। দুই থিতু ব্যাটসম্যান ফিরতেই আরও বিপদে পরে বেঙ্গালুরু। শেষ দুই ওভারে উইকেটে নবাগতদের ওপর চেপে বসে চাহার ও ব্রাভো কাটার ও স্লোয়ারের সুনিপুণ ব্যবহারে দেন মাত্র ছয় রান, বিনিময়ে তারা ফেরান ম্যাক্সওয়েল, অভিষিক্ত টিম ডেভিড ও হারশালকে। দারুণ শুরুর পরেও তাই শেষ ৪ ওভারে মাত্র ২৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়েও বেঙ্গালুরু থামে ১৫৬ রানে।    

    দারুণ ডেথ বোলিংয়ে বেঙ্গালুরুর লাগাম টেনে ধরার পরে রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ফাফ ডু প্লেসির ওপেনিং জুটির শুরুটাও হয় দারুণ। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে নাভদিপ সাইনিকে এক ছয় দুই চার মেরে ডু প্লেসি নেন ১৬ রান। পাওয়ারপ্লেতে বিনা উইকেটে ৫৯ রান হয়ে যায় চেন্নাইয়ের।

    নবম ওভারে গিয়ে ব্রেকথ্রু পায় বেঙ্গালুরু। ভাসানো বলে বোকা বানিয়ে গায়কোয়াড়কে ফেরান চেহেল। কোহলি ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়ে ২৬ বলে ৩৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরান গায়কোয়াড়কে। পরের ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ফেরান আরেক ওপেনার ডু প্লেসিকেও।

    দুই স্পিনারকে অবশ্য এরপর বেশ ভালোভাবেই সামলান মঈন আলি ও আম্বাতি রায়ডু। স্পিনারদের ওপর চড়াও হওয়া মঈন থামেন হারশাল পাটেলের স্লোয়ারে, কোহলির হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে তিনি করেন ২৩ রান। জয়ের কাছাকাছি এসে দারুণ খেলতে থাকা রায়ুডুও ফেরেন ঐ হারশালের কাছে, নিরীহ একটি বল সরাসরি এবি ডি ভিলিয়ার্সের হাতে তুলে দিয়ে ফেরার আগে করেন ২২ বলে ৩২। এরপর আর বিপদ হতে দেননি সুরেশ রায়না ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। অনায়াসেই ১১ বল হাতে রেখে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।