• ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  • " />

     

    নামিবিয়াকে হারিয়ে সবার আগে সেমিতে পাকিস্তান

    নামিবিয়াকে হারিয়ে সবার আগে সেমিতে পাকিস্তান    

    সুপার ১২, আবু ধাবি (টস- পাকিস্তান/ ব্যাটিং)
    পাকিস্তান ১৮৯/২, ২০ ওভার (রিজওয়ান ৭৯*, বাবর ৭০, হাফিজ ৩২*, ভিসা ১/৩০, ফ্রাইলিঙ্ক ১/৩১)
    নামিবিয়া ১৪৪/৫, ২০ ওভার (ভিসা ৪৩*, উইলিয়ামস ৪০, বার্ড ২৯, ওয়াসিম ১/১৩, হাসান ১/২২, রউফ ১/২৫)

    ফলাফল: পাকিস্তান ৪৫ রানে জয়ী

     

    নামিবিয়ার বিপক্ষে ৪৫ রানের জয় দিয়ে চারে চার হল পাকিস্তানের। প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে বাব্র আজমের ৭০ রানের পর মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৭৯* রানে এবারের আসরের সর্বোচ্চ ১৮৯ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। জবাবে ক্রিএগ উইলিয়ামসের ৪০ রানের পর ডেভিড ভিসার ৪৩* রানে নামিবিয়া লড়ে গেলেও সহজ জয়ই পায় বাবর আজমের দল; প্রথম দল হিসেবে নিশ্চিত করে সেমিফাইনাল।

    ১৯০ রানের বিশাল লক্ষ্যতাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই হাসান আলির বলে স্টাম্প খুইয়ে ফিরে যান মাইকেল ভ্যান লিঙ্গেন। শুরুর ধাক্কা সামলে স্টেফান বার্ড ও ক্রেইগ উইলিয়ামস এরপর শক্ত হাতেই দলের হাল ধরেন। আর কোনও উইকেট না হারিয়ে নামিবিয়া পাওয়ারপ্লেতে তোলে ৩৪ রান।

    পাওয়ারপ্লের পর ৯ম ওভারে মোহাম্মদ হাফিজকে দারুণ ছয় মেরে হাত খোলার ইঙ্গিত দেন বার্ড। কিন্তু এক বল পরেই রান আউটের শিকার হয়ে সমানসংখ্যক বলে ২৯ রান করে থামেন তিনি। আবারও যখন একটি জুটি গড়ে উঠছিল তখনই ইমাদ ওয়াসিমের শিকার হয়ে ফিরে যান নামিবিয়া অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমাস। উইকেটে থিতু হয়ে গিয়ার পাল্টানোর সুযোগ খুঁজতে থাকা উইলিয়ামসও পরের ওভারেই শাদাব খানের শিকার হয়ে থামেন ৩৭ বলে ৪০ রান করে। দ্রুত রান তোলার চাপে এরপর হারিস রউফের শিকার হয়ে ফেরেন জেজ স্মিট।  

    টসে জিতে আসরে প্রথমবারের মত প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। শুরুটা তাই রয়েসয়েই করে বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ান জুটি। পাওয়ারপ্লেতে দুজন মিলে তোলে মোটে ২৯ রান, যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ইতিহাসেই কোনও উইকেট না হারিয়ে পাওয়ারপ্লেতে ৪র্থ সর্বনিম্ন।

    রয়েসয়ে খেলেই ৩৯ বলে নিজের ফিফটি পূর্ণ করেন। অধিনায়ক হিসেবে ১৪তম ফিফটি পূর্ণ করে ছাড়িয়ে যান ভিরাট কোহলির রেকর্ড। ঐ ওভারে এক ছয় দুই চারে দুজন মিলে ১৮ রান নিয়ে গিয়ার পাল্টানোর ইঙ্গিত দেন। ১৫তম ওভারে ডেভিড ভিসাকে চার মেরে স্বাগত জানানোর পরের বল মাঠছাড়া করতে গিয়ে ৪৯ বলে ৭০ রান করে থামেন বাবর। পরের ওভারে উইকেটকিপার জেইন গ্রিনের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরে যান ফাখার জামান।

    উইকেটে এসেই এরপর মারমুখী মেজাজে ছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ। হাফিজের বাউন্ডারি মিছিলে যোগ দিয়ে ১৯তম ওভারে বড় ছয়ে মেরেই ৪২ বলে নিজের ১০ম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফিফটি পূর্ণ করেন রিজওয়ান। আর শেষ ওভারে তো রীতিমত ঝড় তোলেন আবু ধাবিতে। জেজে স্মাটকে কচুকাটা করে তিন চার এক ছয়ে নেন ২৪ রান। মোহাম্মদ হাফিজের ১৬ বলে ৩২* রানের ক্যামিয়োর সাথে রিজওয়ান ৫০ বলে ৭৯ রানে অপরাজিত থেকে পাকিস্তানকে নিয়ে যান ১৮৯ রানে। দিনশেষে সেই লক্ষ্যকে নামিবিয়ার ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গিয়ে আরও একটি সহজ জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান।