• ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  • " />

     

    জালংয়ে লো-স্কোরিং থ্রিলারে স্নায়ু ধরে রেখে নেদারল্যান্ডসের জয়

    জালংয়ে লো-স্কোরিং থ্রিলারে স্নায়ু ধরে রেখে নেদারল্যান্ডসের জয়    

    গ্রুপ পর্ব, জালং(টস-আরব আমিরাত/ব্যাটিং)
    আরব আমিরাত-১১১/৮, ২০ ওভার (ওয়াসিম ৪১, অরবিন্দ ১৮, দাউদ ১৫, ডি লিড ৩/১৯, ক্লাসেন ২/১৩, প্রিংগল ১/১৩)
    নেদারল্যান্ডস-১১২/৭, ১৯.৫ ওভার (ও’ডাউড ২৩, এডওয়ার্ডস ১৬*, প্রিঙ্গল ১৫, জুনাইদ ৩/২৪, জাহুর ১/১১, আয়ান ১/১৫)
    ফলাফল: নেদারল্যান্ডস ৩ উইকেটে জয়ী

     

    জালংয়ে প্রথম ম্যাচেই শ্রীলঙ্কা কুপোকাত হওয়ার পড়ে দ্বিতীয় ম্যাচেও দেখা মিল লো-স্কোরিং থ্রিলারের। মুহাম্মাদ ওয়াসিমের ৪১ রানের পর নেদারল্যান্ডসের দুর্দান্ত ডেথ বোলিংয়ে আরব আমিরাত তুলতে পেরেছিল মোটে ১১১ রান। সেই পুঁজি নিয়েই ৩ উইকেট নিয়ে ডাচদের চেপে ধরেছিলেন জুনাইদ সিদ্দিকী। স্কট এডওয়ার্ডস ও টিম প্রিঙ্গলের ধৈর্যশীল জুটিতে শেষ ওভারে গড়ানো ম্যাচে জয়ের হাসি নিয়েই ফিরেছে নেদারল্যান্ডস।

    মাত্র ১১২ রানের লক্ষ্যে যে এভাবে ডাচদের হিমশিম খেতে হবে সেটা আঁচ করা যায়নি। পাওয়ারপ্লেতে ২ উইকেট খুইয়ে বসলেও তারা তুলে ফেলেছিল ৪২ রান। জুনাইদের আঘাতে যদিও ১৮ বলে ২৩ রান করে পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে ফিরেছিলেন তাদের সেরা ব্যাটার ম্যাক্স ও’ডাউড। তবে ৯ম ওভারে যখন রিজওয়ানের দুর্দান্ত ক্যাচে ডি লিড ১৪ রানে ফিরলেন মিয়াপ্পানের শিকার হয়ে তখনই ডাচদের টনক নড়ে।

    সেখান থেকেই সুযোগের দেখা পেয়ে আরব আমিরাতও চেপে বসে ডাচদের ওপর। ১৪তম ওভারে জুনাইদ আক্রমণে এসে ফেরালেন কুপার ও মারওয়াকে; ফেরাতে পারতেন প্রিঙ্গলকেও। তবে অধিনায়ক রিজওয়ান সেই সুযোগটা নিতে পারেননি। সুযোগ এরপর ঠিকই নিয়েছেন প্রিঙ্গল। এডওয়ার্ডসের সাথে জুটি গড়ে শুধু প্রান্ত বদল করে গিয়েছেন। ১৯তম ওভারে ১৬ বলে ১৫ রান করে প্রিঙ্গল যখন ফিরলেন তখন ৯ বলে ডাচদের প্রয়োজন ১০ রান। সেখান থেকে এক বল হাতে রেখে তাদের জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন এডওয়ার্ডস। ৭.৩ ওভারের পর একটিও বাউন্ডারি না মেরেও ধীরেসুস্থে জয় তুলে নেয় নেদারল্যান্ডস।

    টসে জিতে এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালই করেছিল আরব আমিরাত। রয়েসয়ে খেলে পাওয়ারপ্লেতে ৩১ রান তুললেও হারায়নি কোনও উইকেট। পাওয়ারপ্লের ঠিক পরের ওভারেই অবশ্য রোলফ ভ্যান ডার মারওয়া আক্রমণে এসেই ফেরান ১২ রানে থাকা চিরাগ সুরিকে। ওয়াসিমকে এরপর যোগ্য সঙ্গ দিলেও প্রিঙ্গলের শিকার হয়ে ১৫ রানে ফেরেন কাশিফ দাউদ।

    দাউদ ফিরলে বৃত্ত অরবিন্দকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ওয়াসিম। ১৫ ওভারে ২ উইকেট খুইয়ে ৮৫ রান তুলে গিয়ার পাল্টানোর সুযোগ খুজছিলেন এই দুজন। সেটার সুযোগ নিয়েই আরব আমিরাতের ভীত নড়বড় করে দেয় ডাচরা। পরের ওভারেই ক্লাসেনের বল ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দিয়ে শেষ হয় ওয়াসিমের ৪৭ বলে ৪১ রানের ইনিংস। ১৮তম ওভারে যাওয়ার ফারিদ রান আউট হলে চাপে পড়ে পরের ওভারে তিন উইকেট হারায় আরব আমিরাত। বাস ডি লিডের দুর্দান্ত বোলিংয়ে একে একে ফেরেন ১৮ রানে থাকা অরবিন্দ, বাসিল ও রিজওয়ান। শেষ ওভারে আয়ানও ক্লাসেনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরলে শেষ ৫ ওভারে আরব আমিরাত ৬ উইকেট খুইয়ে তুলতে পারে মতে ২৬ রান।