স্নায়ুর পরীক্ষায় পাস করে টানা দ্বিতীয় জয়ে গ্রুপ 'এ'-এর হিসেব জমিয়ে তুলল নেদারল্যান্ডস
গ্রুপ পর্ব, জালং (টস-নামিবিয়া/ব্যাটিং)
নামিবিয়া-১২১/৬, ২০ ওভার (ফ্রাইলিঙ্ক ৪৩, ভ্যান লিঙ্গেন ২০, বার্ড ১৯, ডি লিড ২/১৮, ভ্যান ডার মারওয়া ১/৬, প্রিঙ্গল ১/১৫)
নেদারল্যান্ডস-১২২/৫, ১৯.৩ ওভার (বিক্রমজিত ৩৯, ও’ডাউড ৩৫, ডি লিড ৩০, স্মিট ২/২৪, ফ্রাইলিঙ্ক ১/১৬, শোলজ ১/২১)
ফলাফল: নেদারল্যান্ডস ৫ উইকেটে জয়ী
শ্রীলঙ্কাকে চমকে দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করা নামিবিয়াকেই অনেকে গ্রুপের ফেভারিট মনে করতে থাকলেও সকল হিসাব নিকাশ বদলে তাদের থামিয়ে দিল নেদারল্যান্ডস। নেদারল্যান্ডসের বোলারদের মিতব্যয়ীতায় পায়ের ঘাম মাথায় ফেলে নামিবিয়া পায় মামুলি সংগ্রহ। দুই ওপেনারের উড়ন্ত সুচনার পর মাঝে খেই হারিয়ে বসলেও টানটান উত্তেজনার ম্যাচে স্নায়ু ধরে রেখে সেই লক্ষ্য পেরিয়ে গ্রুপ ‘এ’-এর শীর্ষে চলে গিয়েছে নেদারল্যান্ডস।
১২২ রানের লক্ষ্যে নেদারলান্দসের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। আগের ম্যাচে ডাবল উইকেট মেইডেন দিয়ে শুরু করা বেন শিকঙ্গো এদিন ৪র্থ ওভারে বল হাতে নিলে বিক্রমজিত সিং তাকে মারেন টানা দুই ছয়; ওভারে আসে ১৮ রান। পাওয়ারপ্লেতে কোনও উইকেট না হারিয়ে ম্যাক্স ও’ডাউড-বিক্রমজিত জুটি তুলে ফেলে ৫১ রান। পাওয়ারপ্লের পরের তিন ওভারে মাত্র ৭ রান এলে চাপে পড়ে যান দুই ওপেনার। সেটার সদ্ব্যবহার করে ৩১ বলে ৩৯ রান করে নেদারল্যান্ডসকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেওয়া বিক্রমজিতকে ফেরান বার্নার্ড শোলজ। রানের গতি সেখানেই কমলে এরপর রয়েসয়েই ডি লিডকে নিয়ে এগুতে থাকেন ও’ডাউড।
১৪তম ওভারে এসে নামিবিয়া অধিনায়ক এরাসমাসের ক্ষিপ্রতায় রান আউটের শিকার হয়ে ৩৫ বলে ৩৫ রান করে ফিরে যান ও’ডাউড। ১৬তম ওভারে জেজে স্মিট এসে কুপার ও অ্যাকারম্যানকে ফেরালে পরের ওভারে এডওয়ার্ডসকে ফিরিয়ে ফ্রাইলিঙ্ক নেন উইকেট মেইডেন! মুহূর্তেই ম্যাচের রং পালটে গেলেও উইকেট তখনও ছিলেন ডি লিড। বল হাতে আগুন ঝরানোর পর ব্যাট হাতেও শেষ ওভারে ৬ রান প্রয়োজন হলে সেই ডি লিড ৩০ বলে ৩০* রানে থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
এর আগে দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার লা কককে ফিরিয়ে নামিবিয়াকে বিপদে ফেলে দেন টিম প্রিঙ্গল। টানা দুই ওভারে ভ্যান লিঙ্গেন ও লফটি-ইটন শিকার হন অ্যাকারম্যান ও ভ্যান মিকেরেনের। পাওয়ারপ্লের মাঝেই ৩ উইকেট হারিয়ে নামিবিয়া তাই তুলতে পারে মোটে ৩৩ রান। পাওয়ারপ্লের পর বার্ড-ফ্রাইলিঙ্ক জুটি ইন্নগস মেরামতের চেষ্টা করলে রানের গতি কমে আসে। ১২তম ওভারে তাই রানের চাকা সচল করতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে ভ্যান ডার মারওয়ার শিকার হয়ে ২২ বলে ১৯ রান করে ফেরেন বার্ড।
অধিনায়ক এরাসমাসকে নিয়ে এরপর ধীর গতিতে ফ্রাইলিঙ্ক এগিয়ে চললেও গিয়ার পালটানো হয়ে উঠেছিল সময়ের দাবী। ভ্যান মিকেরেন-ক্লাসেন জুটির দারুণ বোলিংয়ে হাঁসফাঁস করতে থাকা নামিবিয়া ভ্যান ডার গুগটেনের করা ১৮তম ওভারে ১২ রান নিয়ে শেষ দিকে ঝড় তোলার আভাস দেন। আর সেটারই সুযোগ নিয়ে ১৯তম ওভারে তিন বলের মধ্যেই বাস ডি লিড ফেরান ৪৮ বলে ৪৩ রান করা ফ্রাইলিঙ্ক ও ১৮ বলে ১৬ রান করা এরাসমাসকে। ডেভিড ভিসার কল্যাণে শেষ ওভারে ১২ রান এলেও নামিবিয়া তাই পৌঁছাতে পারে ১২১ রান পর্যন্ত।