কোভিড ফিসফিসানির ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে উড়িয়ে নিজেদের শক্তির বার্তা দিল শ্রীলংকা
ম্যাচ শুরুর আগেই জানা গেল আয়ারল্যান্ডের জর্জ ডকরেল মৃদু কোভিড উপসর্গে ভুগছেন। আইসিসির নতুন নিয়ম অনুযায়ী কোভিড পজিটিভ হয়েও এখন নামা যাবে মাঠে। ডকরেল তাই খেললেন, কিন্তু সেটা যথেষ্ট হলো না জয়ের জন্য। বরং হোবার্টে ৫ ওভার হাতে রেখেই শ্রীলংকা আয়ারল্যান্ডকে ৯ উইকেটে উড়িয়ে দারুণ শুরু করল সুপার-১২ এর। সেই সাথে বার্তা দিল, এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়নরা এবার টুর্নামেন্টের ডার্ক হর্সও হতে পারে।
নামিবিয়ার কাছে হেরে যে হোঁচট খেয়েছিল, সেটা ভুলতে বেশি সময় নেয়নি শ্রীলংকা। এই ম্যাচে জয়ের পর সেই আত্মবিশ্বাস তাদের বেড়ে যাবে অনেকটা। টসে জিতে অবশ্য ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। হোবার্টে কদিন ধরেই বৃষ্টি, উইকেটেও বল কিছুটা ধরে আসছিল। আউটফিল্ড ছিল স্লো। শ্রীলংকা তাদের গেল প্ল্যান শুরু থেকেই কাজে লাগিয়েছে বেশ। শুরুর দিকে পেস দিয়ে আক্রমণ করেছে আর পরের দিকে চেপে ধরেছেন স্পিনাররা।
দ্বিতীয় ওভারে আইরিশ অধিনায়ক বালবির্নিকে ফিরিয়ে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন লাহিরু কুমারা। আয়ারল্যান্ডের বড় ভরসা পল স্টার্লিং মন্দ খেলছিলেন না, কাট করে দারুণ একটা ছয়ও মেরেছিলেন। তবে ২৫ বলে ৩৪ রান করে আউট হয়ে যান ধনঞ্জয়া ডি সিলভার পর রাজাপাক্সের দারুণ এক ম্যাচে। আয়ারল্যান্ডের পথ হারানোর শুরুটা তখনই।
টেক্টর একদিক থেকে ধরে রেখেছিলেন, কিন্তু কেউ তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে আয়ারল্যান্ড। লংকান বোলারদের সবাই ছিলেন মিতব্য্যী, ঠিকসানা ও হাসারাঙ্গা উইকেট নিয়েছেন দুইটি করে। টেক্টর করেছেন ৪২ বলে ৪৫ রান।
এই রান তাড়া করতে নেমে শ্রীলংকার দুই ওপেনার কুশল মেন্ডিস ও ধনঞ্জয়াই ম্যাচের ভাগ্য ঠিক করে দিয়েছেন। কিছু সুযোগ পেয়েছিল আয়ারল্যান্ড। এবার এজ হওয়ার পরেও সেটা আপিল করেনি তারা, আম্পায়ারও আউট দেননি। রান আউটের বেশ কিছু সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে, ক্যাচও পড়েছে গোটাদুয়েক। তবে ৬৩ রানের উদ্বোধনী জুটির পর ম্যাচের ভাগ্য নিয়ে সংশয় ছিল না। ধনঞ্জয়া ৩১ রান করে আউট হলেও মেন্ডিস অপরাজিত ছিলেন ৪৩ বলে ৬৮ রান করে। আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান আসালংকা ২২ বলে ৩১ রান করে মাঠ ছেড়েছেন।