• ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  • " />

     

    হোবার্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাড়িয়ে ফিরল বৃষ্টি ভূত

    হোবার্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাড়িয়ে ফিরল বৃষ্টি ভূত    

    সুপার ১২, হোবার্ট (টস-জিম্বাবুয়ে/ব্যাটিং)
    জিম্বাবুয়ে- ৭৯/৫, ৯(৯) ওভার (মাধেভেরে ৩৫*, শুম্বা ১৮, চাকাবভা ৮, এনগিডি ২/২০, পারনেল ১/৬, নরকিয়া ১/১০)
    দক্ষিণ আফ্রিকা-৫১/০, ৩(৭) ওভার, লক্ষ্য: ৬৪ (ডি কক ৪৭*,বাভুমা ২*, রাজা ০/১১)
    ফলাফল: ম্যাচ পরিত্যক্ত

     

    বৃষ্টির সাথে দক্ষিণ আফ্রিকার সম্পর্কটা তিক্ত বললেও কম বলা হবে হয়ত। সেমি-ফাইনালে কপাল পুড়েছে, গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েছে নিজেদের দেশেই; ইতিহাসের পরিক্রমায় সেই বৃষ্টিতে এবার প্রোটিয়াদের কপাল পুড়ল এবারের আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই। মুষল ধারে বৃষ্টি হওয়ার পরেও ৯ ওভারের জন্য খেলা গড়িয়েছিল মাঠে। জিম্বাবুয়ে নির্ধারিত ওভারের পুরোটাই খেলতে পারলেও বৃষ্টি বারবার বাঁধ সাধায় দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল ৭ ওভারে ৬৪ রান। বৃষ্টির হস্তক্ষেপে সেই লক্ষ্য থেকে ১৩ রান দূরে থাকতে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে আর কপাল পুড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার।

    বৃষ্টি যে আবারও তাদের জয়ের আশা ভেস্তে দিতে পারে সেটা বুঝেই শুরুটা করেছিলেন কুইন্টন ডি কক। ৯ ওভারে ৮০ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেললেও যেকোনো সময়েই ম্যাচের পরিধি আবার কমে আসতে পেরে ঠাহর করেই টেন্ডাই চাতারার করা প্রথম ওভারে ৪টি চার ও ১ ছয়ে নিলেন ২৩ রান। দ্বিতীয় ওভারের এক বল হওয়ার পর আবার খেলা বন্ধ হলে লক্ষ্য যখন আরও কমে এল ডি কক তার খুনে মেজাজ ধরে রাখলেন। রিচার্ড এনগারাভার ওভার থেকে নিলেন ১৭ রান। তবে রাজার করা পরের ওভারে একটি ফ্রি হিট পেয়েও ১১ রান তুলতে পারায় ডি কক পৌঁছে যান ১৮ বলে ৪৭* রানে। লক্ষ্য থেকে হাত ছোঁয়া দূরত্বে থেকে বৃষ্টির নিষ্ঠুরতায় সেখানেই থামতে হয় তাকে।

    এর আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে জিম্বাবুয়ের শুরুটা হয়েছিল ভয়াবহ। দ্বিতীয় ওভারে ওয়েইন পারনেল ২ রান দিয়ে ফিরিয়েছিলেন ক্রেইগ আরভিনকে। পরের ওভারে লুঙ্গি এনগিডি জোড়া আঘাত হানেন রেজিস চাকাবভা ও সিকান্দার রাজাকে ফিরিয়ে।  পরের ওভারে শন উইলিয়ামস রান আউট হলে ৪ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ে তোলে মতে ১৯ রান। সেখান থেকে একবার জীবন পেয়ে ঝড় তোলেন ওয়েসলি মাধেভেরে। মিল্টন শুম্বার সাথে জুটি গড়ে শেষ দুই ওভারে তোলেন ৩২ রান। ২০ বলে ১৮ রানে মিল্টন শুম্বা শেষ বলে নরকিয়ার শিকার হলেও ১৮ বলে ৩৫* রানে অপরাজিত থাকেন মাধেভেরে; দিনশেষে ম্যাচ ভেস্তে যাওয়াতে অবশ্য যাতে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই থাকতে হয়েছে দুই দলকে।