সিডনিতে 'ফিলিপস-বোল্ট' শোতে কুপোকাত শ্রীলংকা
সুপার ১২, সিডনি (নিউজিল্যান্ড-শ্রীলংকা)
টস- নিউজিল্যান্ড/ব্যাটিং
নিউজিল্যান্ড, ১৬৭-৭, ২০ ওভার (ফিলিপস ১০৪, মিচেল ২২, রাজিথা ২/২৩)
শ্রীলংকা- ১০২ , ১৯.২ ওভার (ভানুকা ৩৪, শানাকা ৩৫, বোল্ট ৪/১৩, স্যান্টনার ২/২১)
নিউজিল্যান্ড ৬৫ রানে জয়ী
ব্যাটিং কিংবা বোলিং; নিউজিল্যান্ডের কাছে কোনো বিভাগেই পাত্তা পেল না শ্রীলংকা। ১২ রানে জীবন পাওয়া গ্লেন ফিলিপসের বিধ্বংসী সেঞ্চুরির পর ট্রেন্ট বোল্টের আগুনে বোলিং স্পেলে উড়ে গেল লংকানরা। সিডনিতে দাপুটে জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রইল কিউইরা।
দাসুন শানাকাদের সামনের জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল ১৬৮ রানের। প্রথম ওভারেই লংকান শিবিরে আঘাত হানেন টিম সাউদি। রানের খাতা খোলার আগেই ড্রেসিংরুমে ফেরেন পাথুম নিসাংকা। এরপরের গল্পটা কেবলই বোল্টের আগুনের গোলার। কুশাল মেন্ডিসের কাছে চার খেয়ে আজ বোলিং শুরু করলেও এক বল পরেই তাকে ফেরান বোল্ট। এরপর একে একে বোল্টের তোপের শিকার হয়েছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও চারিথ আসালাংকা। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট নিয়ে নিশ্চিত করেছেন দেশের হয়ে টি টোয়েন্টিতে তার সেরা বোলিং। স্পিনার মিচেল স্যান্টনারও নেন দুই উইকেট।
ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে লড়াই যা একটু করেছেন ভানুকা রাজাপাক্ষে। ২২ বলে ৩৪ রান করেছেন বাহাতি এই ব্যাটার। অধিনায়ক শানাকা করেছেন ৩৫ রান।
এর আগে মাহিশ থিকশানা, কাসুন রাজিথা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভার আঘাতে ১৫ রানেই তিন উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। মুখ থুবড়ে পড়ে টপ অর্ডার। ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা ড্যারিল মিচেলকে নিয়ে সেই ৮৪ রানের জুটিতে সেই ধাক্কা সামাল দেন ফিলিপস। জুটির বেশিরভাগই রানই এসেছিল বাঁহাতি ফিলিপসের ব্যাট থেকে। হাসারাঙ্গার বলে মিচেল বোল্ড হয়ে ফিরলেও আরেক প্রান্তে দাঁড়িয়ে ব্যাটিং ঝড় অব্যাহত রাখেন ফিলিপস। ১২ রানের মাথায় জীবন পেয়ে ৬৪ বলে ১০ চার ও ৪টি ছক্কায় মাঠ ছেড়েছেন ১০৪ রান করে।