• ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  • " />

     

    ফিঞ্চের রানে ফেরার দিনে দাপুটে পারফর্ম্যান্সে অস্ট্রেলিয়ার সেমি-ফাইনালের আশা জোরদার

    ফিঞ্চের রানে ফেরার দিনে দাপুটে পারফর্ম্যান্সে অস্ট্রেলিয়ার সেমি-ফাইনালের আশা জোরদার    

    সুপার ১২, ব্রিসবেন (টস-আয়ারল্যান্ড/বোলিং)
    অস্ট্রেলিয়া- ১৭৯/৫, ২০ ওভার (ফিঞ্চ ৬৩, স্টয়নিস ৩৫, মার্শ ২৮, ম্যাকার্থি ৩/২৯, লিটল ২/২১)
    আয়ারল্যান্ড-১৩৭, ১৮১ ওভার (টাকার ৭১*, ডেলেনি ১৪, অ্যাডেয়ার ১১, জাম্পা ২/১৯, ম্যাক্সওয়েল ২/১৪, কামিন্স ২/২৮
    ফলাফল: অস্ট্রেলিয়া ৪২ রানে জয়ী

     

    আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য ছিল রান রেট বাড়িয়ে নেওয়া। তবে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে আসা আয়ারল্যান্ড যে সেই লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ার জন্য বড় প্রতিবন্ধকতা হবে সেটাও ছিল অনুমিত। অস্ট্রেলিয়া পচা শামুকে পা কাটেনি ঠিকই, তবে আয়ারল্যান্ড জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়াকে খাটিয়ে মেরেছে। অ্যারন ফিঞ্চের ফিফটির সাথে মার্কাস স্টয়নিসের দ্রুতগতির ইনিংসে আয়ারল্যান্ডের সামনে ১৮০ রানের লক্ষ্য বেঁধে দেওয়ার পর আগুনে মিচেল স্টার্ক ও উদ্দীপিত গ্লেন ম্যাক্সওয়েলে দারুণ শুরু করার পর লরকান টাকারের লড়াকু ইনিংসে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে সেই চিন্তা ঝেড়ে ৪২ রানের জয় দিয়ে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাকমত করেছে অস্ট্রেলিয়া।

    পাওয়ারপ্লেতেই স্টার্ক তার অগ্নিঝরা ইয়র্কারের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন; সাথে ম্যাক্সওয়েল বল করছিলেন আঁটসাঁট লাইনে। জশ হেজলউড, প্যাট কামিন্সরাও সেই মিছিলে যোগ দিলে পাওয়ারপ্লেতেই ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে আয়ারল্যান্ড। তবে পাওয়ারপ্লের পর গ্যারেথ ডেলেনি ও মার্ক অ্যাডেয়ারের সাথে জুটি বেঁধে একাই লড়ে যান টাকার। ম্যাচের কোনও অবস্থাতেই যদিও মনে হয়নি আইরিশরা এই ম্যাচ বের করতে পারবে। অস্ট্রেলিয়ার চিন্তা ছিল রান রেট নিয়ে, সেটার সুযোগ নিয়ে টাকারও পিঞ্চ হিটিং করেছেন দারুণভাবে। তবে অন্য প্রান্তে জাম্পা-স্টয়নিস জুটি বেঁধে উইকেট তুলে নিতে থাকলে টাকারকে হার মানতে হয় ৪৮ বলে ৭১* রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেও পরাজিতের দলে নাম লিখিয়ে।

    এর আগে আইরিশরা অস্ট্রেলিয়ার শিরদাঁড়ায় কাপন ধরিয়েছিল। মাত্র ৩ রানে ডেভিড ওয়ার্নারকে ফেরানোর পর ২৮ রানে মিচেল মার্শকেও ফেরান বেনি ম্যাকার্থি।। জশুয়া লিটলের শিকার হিয়ে ১৩ রানে ম্যাক্সওয়েলও ফিরলে বড় সংগ্রহ পাওয়াটা অস্ট্রেলিয়ার জন্য দুষ্কর হয়ে উঠছিল। অন্য প্রান্তে ধুঁকতে থাকা ফিঞ্চের সাথে যোগ দিয়ে সেই কাজটা সহজ করে তোলেন স্টয়নিস। দারুণ প্রতি-আক্রমণে আইরিশদের ব্যতিব্যস্ত করে রাখায় ফিঞ্চও অন্য প্রান্তে তুলে নেন ফিফটি। তবে ৪৪ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলে নিজেকে পুনরুদ্ধার করা ফিঞ্চ ম্যাকার্থির তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরার পর ২৫ বলে ৩৫ রান করে লিটলের শিকার হয়ে ফেরেন স্টয়নিস। লিটল-ম্যাকার্থির দারুণ স্পেল সামলে শেষের দিকে টিম ডেভিড-ম্যাথিউ ওয়েড ৮ বলে ১৯* রান করে অস্ট্রেলিয়াকে এনে দেন জয়ের জন্য যথেষ্ট পুঁজি।