• ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  • " />

     

    কমলার ঝাঁঝ টের পেল দক্ষিণ আফ্রিকা, বাদ সেমিফাইনাল থেকে

    কমলার ঝাঁঝ টের পেল দক্ষিণ আফ্রিকা, বাদ সেমিফাইনাল থেকে    

    অবিশ্বাস্যশব্দটা এত বেশি ব্যবহার হয়, তারপরও দক্ষিণ আফ্রিকা-নেদারল্যান্ডসের ম্যাচের জন্য সেটা ব্যবহার করাই যায়। বিশ্বকাপের আগে কে ভেবেছিল, বাংলাদেশ-পাকিস্তান নেদারল্যান্ডসের কাছ থেকে এত বড় একটা সাহায্য পাবে? কে ভেবেছিল, দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দেবে নেদারল্যান্ডস? তাও প্রথম তিন ম্যাচে উড়তে থাকা এমন আফ্রিকাকে? এবং সেই দল, যাদের টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই? 

    ভোরে যারা ম্যাচটা দেখেছেন, তারা জানেন এই ম্যাচের ফল কতটা অভাবিত ছিল। ১৬০ রানের লক্ষ্যটা এমন বেশি কিছু নয়, আফ্রিকার শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। ১৩ বলে ১৩ রান করে তৃতীয় ওভারে ফিরে যান ডি কক। বাভুমা রান পেতে সংগ্রাম করছিলেন কিছুটা, শেষ পর্যন্ত পাওয়ারপ্লের আগের ওভারে আউট হয়ে যান ২০ বলে ২০ রান করে। রাইলি রুশো ভাল্পি খেলছিলেন, কিন্তু ১৯ বলে ২৫ রান করে তার আউটের পর বড় ধাক্কা খায় আফ্রিকা।

    তবে এরপরও তারা ম্যাচে ছিল। মার্করাম ছিলেন, তিনি আউট হয়ে গেলে আরেকটু বিপদ বাড়ে। তবে টার্নিং পয়েন্টটা সম্ভবত এনে দেন ব্রেন্ডন গ্লোভার। ডেভিড মিলার হতে পারতেন সবচেয়ে বিউপজ্জনক। গ্লোভারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ভ্যান ডার মারওয়ের অসাধারণ এক ক্যাচে ফেরেন। ম্যাচটা সম্ভবত ঘুরে যায় ওখানেই। 

    ১৫৯ রানের লক্ষ্যটা এরপর হয়ে ওঠে অনেক বড়। ক্লাসেন চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তার ১৮ বলে ২১ রানের ইনিংস শেষের পরেই আফ্রিকার আশা প্রায় শেষ। শেষদিকে মহারাজ-রাবাদারা মিলে শুধু হারের ব্যবধানই কমিয়েছেন।

    নেদারল্যান্ডসকে ১৫৯ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব প্রথম চার ব্যাটসম্যানের। মাইবার্গ-ও ডুড ৫৮ রানের ভালো একটা শুরু এনে দিয়েছিলেন। যেটার ওপরে ভর করে শেষ ২ ওভারে ৩০ রান দিয়েছেন টম কুপার ও ম্যাচসেরা কলিন অ্যাকারম্যান।কুপার ১৯ বলে ৩৫ রান করে আউট হলেও অ্যাকারম্যাণ অপরাজিত ছিলেন ২৬ বলে ৪১ রান করে।