• ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  • " />

     

    আগুনে আফ্রিদির পর হারিসে হতভম্ব বাংলাদেশকে বিদায় দিয়ে সেমি-ফাইনালে পাকিস্তান

    আগুনে আফ্রিদির পর হারিসে হতভম্ব বাংলাদেশকে বিদায় দিয়ে সেমি-ফাইনালে পাকিস্তান    

    সুপার ১২, অ্যাডিলেইড (টস-বাংলাদেশ/ব্যাটিং)
    বাংলাদেশ-১২৭/৮, ২০ ওভার (শান্ত ৫৪, আফিফ ২৪*, সৌম্য ২০, আফ্রিদি ৪/২২, শাদাব ২/৩০, হারিস ১/২১)
    পাকিস্তান- ১২৮/৫, ১৮১ ওভার (রিজওয়ান ৩২, হারিস ৩১, বাবর ২৫, নাসুম  ১/১৪, মোস্তাফিজুর ১/২১, এবাদত ১/২৫)
    ফলাফল: পাকিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী

     

    বাংলাদেশের আশা চূর্ণ করে সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নিল পাকিস্তান। আসরে নাজমুল হোসেন শান্তর দ্বিতীয় ফিফটির পর শাহীন শাহ আফ্রিদির অগ্নিঝরা স্পেলে কাবু বাংলাদেশ শেষদিকে লড়াইয়ের কিঞ্চিৎ রসদ জোগাড় করে আফিফ হোসেনের ২৪* রানে। বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ান জুটির সাবধানী শুরুর পর বাংলাদেশ চেষ্টা চালিয়ে গেলেও মোহাম্মদ হারিসের ৩১ রানের প্রতি-আক্রমণে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করে পাকিস্তান। পাকিস্তানের শেষ দেখা ফেলা অধিকাংশকেই হতবাক করে দিয়ে শেষ দল হিসেবেই সেই কাজটা করে দেখাল পাকিস্তান।  

    ১২৮ রানের লক্ষ্যে প্রথম ওভারেই রিজওয়ানকে ফেরানোর সুযোগ করে দিয়েছিলেন তাসকিন। মামুলি এক ক্যাচ নুরুল হাসান ফিরে দিলে এরপর পাওয়ারপ্লেতে রয়েসয়ে খেলে ৩৫ রান তোলে বাবর-রিজওয়ান। তবে ব্যাটে-বলে এদিন একেবারেই হচ্ছিল না পাকিস্তান অধিনায়কের। ১১তম ওভারে নাসুম এসে ৩৩ বলে ২৫ রান করা বাবরকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের আশা জাগিয়ে তোলেন। সেই সাথে নিজের কোটা পূর্ণ করে মোটে ১৪ রান দেন আসরে প্রথমবার নামা নাসুম। পরের ওভারেই এবাদত এসে ৩২ বলে ৩২ রান করে ফিরলে বাংলাদেশ ম্যাচে ফেরার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। লিটনের দারুণ সরাসরি থ্রোতে ১১ বলে ৪ রান করে মোহাম্মদ নাওয়াজও ফিরলে সেই আশার পালে লাগে জোর হাওয়া।

    তবে বাংলাদেশের আশা পন্ড করে দিয়ে প্রতি-আক্রমণ শুরু করেন মোহাম্মদ হারিস। নিয়মিত বাউন্ডারি তুলে নিয়ে জয় থেকে হাত ছোঁয়া দূরত্বে থেকে সাকিবের আঘাতে থামেন তিনি। তবে হারিসের ১৮ বলে ৩১ রানের ইনিংসটাই বাংলাদেশকে আর ম্যাচে ফিরতে দেয়নি। জয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে মোস্তাফিজের আঘাতে ইফতিখার ফিরলেও ১৪ বলে ২৪* রান করে শান মাসুদ পাকিস্তানকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে।

    এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মনমতই হয়েছিল বাংলাদেশের। আফ্রিদিকে দারুণ এক ছয় মেরে শুরু করা লিটন পরে ১০ রানে ফিরে গিয়েছিলেন তাকেই কাট করতে গিয়ে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়ে। তবে সৌম্যকে নিয়ে পাওয়ারপ্লেটা এরপর কোনও বিপদ ছাড়াই পার করে দিয়েছিলেন শান্ত। পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশ ৪০ রান তুলে ফেললে এরপর রানের চাকা সচল করাটাই ছিল কাম্ম। তবে শান্ত-সৌম্য জুটি তাদের নামের প্রতি সুবিচার করেই রয়েসয়ে খেলতে থাকেন। তবে প্রান্ত বদল করে ১০ ওভার শেষ বাংলাদেশ পৌঁছে গিয়েছিল ৭০ রান।

    বিপদের শুরু সেই ১১তম ওভার থেকেই। ১৭ বলে ২০ রান করা সৌম্য সিদ্ধান্ত নেন শাদাবকে রিভার্স সুইপ করার। তাতেই ক্যাচ অনুশীলনের সুযোগ করে দিয়ে তিনি ফিরলে ঠিক পরের বলেই আম্পায়ারের অদ্ভুত এক সিদ্ধান্তে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে ফেরেন সাকিব। রানের খাতা খলার আগেই এমন সিদ্ধান্তে হতবাক সাকিব মাঠ ছাড়তেই চাচ্ছিলেন না। সেখান থেকে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস যেন একেবারেই চূর্ণ হয়ে যায়। সেটারই সুযোগ নিয়ে আফ্রিদি ফিরে এসে একে একে ফেরান মোসাদ্দেক, নুরুল ও তাসকিনকে। শেষ ওভারে এক চারের পর নাসুম ৭ রানে ফিরলে অন্য প্রান্তে ২০ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন আফিফ; দলকে নিয়ে যান ১২৭ রানে।