• ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২
  • " />

     

    স্পেনের সাথে ঘাম ঝরানো ড্রয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখল জার্মানি

    স্পেনের সাথে ঘাম ঝরানো ড্রয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখল জার্মানি    

    স্পেন ১:১ জার্মানি 


    ম্যাচটি ছিল দুই স্ট্রাইকারহীন দলের। গ্রুপের পাশাপাশি নাম্বার নাইনের অভাবও এবার এক করেছে ইউরোপীয় ফুটবলের দুই পরাশক্তিকে। প্রথম ম্যাচের মতো আজও স্পেন ও জার্মানি তাদের শুরুর একাদশে কোনো স্ট্রাইকার রাখেনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে বেঞ্চ থেকে উঠে আসা দুই নাম্বার নাইন। আলভারো মোরাতা ও নিকলাস ফুলক্রগের গোলে ড্র নিয়ে শেষ করেছে স্পেন-জার্মানি। 

    আগের ম্যাচে জাপানের কাছে হেরে বসা জার্মানির জন্য এই ম্যাচ ছিল বাঁচা-মরার লড়াই। টানা দ্বিতীয়বারের মতো গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছিল তাদের সামনে। অস্তিত্ব ধরে রাখার লড়াইয়ে জার্মানি শুরুটা ভালোই করে। প্রেস, কাউন্টার প্রেস ও বল জিতে কাউন্টার অ্যাটাক করার গেমপ্ল্যান নিয়ে মাঠে নামা মুলাররা পরিকল্পনা ভালোভাবেই বাস্তবায়ন করে। মুসিয়ালা, গ্যানাব্রির মাধ্যমে স্পেনের রক্ষণে কয়েকবার ত্রাস সৃষ্টি করতেও সক্ষম হয় তারা। তবে প্রথমার্ধে বলের দখল বড় সময় স্পেনের কাছেই থাকে। পেদ্রি-গাভির নৈপুণ্যে কয়েকবার আক্রমণে উঠে তারা। দানি অলমো দূরপাল্লার একটি শট বাদে নয়্যারকে তেমন বিরক্ত করতে পারেনি স্পেন। 

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মোরাতাকে মাঠে নামান লুইস এনরিকে। এবং তার কয়েক মিনিটের মধ্যেই দলকে কাঙ্ক্ষিত গোলটি এনে দেন এই অ্যাটলেটিকো স্ট্রাইকার। বাঁ পাশ থেকে জর্ডি আলবার লো ক্রসে পা ছুঁইয়ে ৬২ মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন মোরাতা। 

    মোরাতার এই আকস্মিক এম্বুশের পর হ্যান্সি ফ্লিকেও কিছু পরিবর্তন আনেন। তিনি মাঠে নামান বায়ার্ন উইঙ্গার লিরয় সানে ও ব্রেমেন স্ট্রাইকার ফুলক্রগকে। সামনে মুসিয়ালার নৈপুণ্য ও বদলিদের সহায়তায় আক্রমণের মাত্রা বাড়ায় জার্মানি। দুবার, ৭২ ও ৭৪ মিনিটে দলকে সমতার খুব কাছাকাছি নিয়ে আসেন মুসিয়ালা। প্রথমে রাইট উইং থেকে তার করা ক্রস অল্পের জন্য ট্যাপ-ইন করতে ব্যর্থ হন ফুলক্রগ। দ্বিতীয়বার মুসিয়ালা একাই ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন, এবং গোলমুখে শট নেন। সেই শট ফিরে যায় উনাই সিমনের গায়ে লেগে। প্রায় একইরকম এক আক্রমণ থেকে কিছুক্ষণ পর সমতা ফেরায় জার্মানি। এবারও বল নিয়ে বক্সে ঢুকছিলেন মুসিয়ালা। তবে পাশে থাকা ফুলক্রগ তার কাছ থেকে কেড়ে নেন বল। নিয়ে একটু এগিয়ে শট নেন গোলমুখে। তার বুলেট-গতির শট জাল স্পর্শ করে। সঙ্গে সঙ্গেই যেন প্রাণ ফিরে পায় জার্মানি। 

    যোগ করা সময়ে জার্মানি আরেকটি দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করে। লিওন গোরেৎজকার বাড়ানো বল নিয়ে লেফট উইং দিয়ে বক্সে ঢুঁকে যান সানে, গোলকিপারকেও ফাঁকি দিয়ে সামনে চলে যান। কিন্তু তার শেষ টাচ ভারী হওয়া গোলে শট করার সুযোগ আর পান না তিনি। যে কারণে ১-১ গোলেই শেষ হয় ম্যাচ। 

    দিনের শুরুতে জাপান হারায় একটি লাইফলাইন পাওয়া জার্মানি এই ড্রতে দ্বিতীয় লাইফলাইন পেল। স্পেন যদি জাপানের কাছে না হারে, তাহলে গ্রুপের শেষ ম্যাচে কোস্টারিকাকে হারাতে পারলেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত করবে তারা। আর জার্মানি যদি কোস্টারিকার কাছে না হারে, তাহলে জাপানের সঙ্গে ড্র করলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে স্পেন।