• ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২
  • " />

     

    টিকে থাকার যুদ্ধে সার্বিয়া-ক্যামেরুনের থ্রিলার

    টিকে থাকার যুদ্ধে সার্বিয়া-ক্যামেরুনের থ্রিলার    

    ক্যামেরুন ৩:৩ সার্বিয়া


    দুদলই তাদের প্রথম ম্যাচে হেরেছে। নকআউটের আশা টিকিয়ে রাখতে আজকের ম্যাচে তাই জয়ের বিকল্প ছিল না। বাঁচামরার লড়াইয়ে দুই দলই তাদের সামর্থ্যের পরিচয় দিয়েছে। আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ; কামব্যাক, পাল্টা কামব্যাকের পসরা সাজিয়ে উপভোগ্য এক ম্যাচ উপহার দিয়েছে সার্বিয়া ও ক্যামেরুন। ৩-৩ গোলের ড্রয়ের পথে গোল পেয়েছেন দুই দলের সব বড় তারকা।   

    আগের ম্যাচের রক্ষণশীলতা পিছনে ফেলেই আজ আল জানুব স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু করে দুই দল। প্রথম মিনিট থেকে সক্রিয় ফুটবল খেলতে শুরু করে ক্যামেরুন ও সার্বিয়া। দিনের প্রথম ব্রেকথ্রু পায় ক্যামেরুন, একটি কর্নার থেকে। ডিফেন্ডার কাস্তেলেটোর গোলে ২৯ মিনিটে এগিয়ে যায় আফ্রিকান দলটি। 

    প্রথমার্ধের শেষদিকে, যখন ক্যামেরুনের খেলোয়াড়েরা কিছুটা নেতিয়ে গেছে, তখন তাদের উপর চড়াও হয় সার্বিয়া। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে অধিনায়ক দুসান তাদিচের ফ্রিকিকে দুর্দান্ত একটি হেড করে দলকে সমতায় ফেরান সেন্টারব্যাক পাভলোভিচ। দুই মিনিটের মধ্যে ডিবক্সের বাইরে থেকে নেওয়া এক লো শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মিলিনকোভিচ স্যাভিচ। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় সার্বিয়া। 

    যোগ করা সময়ে আরও একটি দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করেন তাদিচ, যেটি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন মিট্রোভিচ। সার্বিয়ান নাম্বার নাইনকে অবশ্য বেশিক্ষণ গোলবিহীন থাকতে হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও নিজেদের আগ্রাসী ফুটবল অব্যাহত রাখা স্যাভিচ-তাদিচরা আবার মিট্রোভিচকে খুঁজে নেন বক্সের ভেতর। ডানপাশ থেকে আক্রমণে উঠা স্যাভিচের পাস থেকে ৫৩ মিনিটে নিজের প্রথম গোল করেন মিট্রোভিচ। 

    ৩-১ গোলে এগিয়ে যাওয়া সার্বিয়ার জন্য জয়টা তখন সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল। কিন্তু ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন ৫৫ মিনিটে বদলি নামা ভিনসেন্ট আবুবকর। ৬৩ মিনিটে সার্বিয়ার অফসাইড ট্র্যাপকে বিট করে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে চিপ করেন তিনি। প্রথমে লাইনসম্যান অফসাইডের ফ্ল্যাগ তুললেও ভিএআরের পরামর্শে পরে দেওয়া হয় এই গোল। ঠিক প্রথমার্ধের সার্বিয়ার মতো দুই মিনিটের মাঝে আরেকটি গোল করে ক্যামেরুন। এবারও সার্বিয়া রক্ষণের লাস্ট লাইনকে ফাঁকি দিয়ে এগিয়ে যান আবুবকর। রাইট উইং থেকে মাটি কামড়ানো ক্রসে খুঁজে নেন বক্সে থাকা এরিক ম্যক্সিম চুপো মোতিংকে। আলতো শটে দলকে সমতায় ফেরান এই বায়ার্ন মিউনিখ স্ট্রাইকার। 

    শেষ ৩০ মিনিটেও থেমে থাকেনি কোনো দল। জয়সূচক গোলটির জন্য শেষ মিনিট পর্যন্ত আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে যায় সার্বিয়া ও ক্যামেরুন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচ থামে ৩-৩ গোলেই।