কোরিয়ার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে জয়ী কুদুসের ঘানা
দক্ষিণ কোরিয়া ২:৩ ঘানা
দিনের প্রথম ম্যাচে ধুন্ধুমার ফুটবল উপহার দিয়েছিল ক্যামেরুন ও ঘানা। তা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই হয়তো মাঠে নেমেছিল ‘এইচ’ গ্রুপের দুই আন্ডারডগ দক্ষিণ কোরিয়া ও ঘানা। বাঁচামরার ম্যাচে তারাও উপহার দেয় এক বিশ্বকাপ ক্লাসিক, যার শেষে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঘানা।
প্রথমার্ধের শুরুর ২০ মিনিট কোরিয়াই ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু বলের দখল রেখেও এ সময়ে বিপজ্জনক কোনো আক্রমণ করতে সক্ষম হয়নি তারা। ২৪ মিনিটে হুট করে গোল করে বসে ঘানা। জর্ডান আইয়ুর ক্রস বক্সে কারো মাথায় না পড়লেও কোরিয়ান ডিফেন্ডাররা বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয়। আর জটলার মধ্য থেকে শট নিয়ে ঘানাকে এগিয়ে নেন সেন্টারব্যাক মোহামেদ সালিসু।
এই গোলের পর নিজেদের ছন্দ খুঁজে পায় ঘানা। একের পর এক আক্রমণে কোরিয়া রক্ষণকে চাপে ফেলে দেয় তারা৷ এবং সুফলও পায় দ্রুতই। ৩৪ মিনিটে বাঁ পাসব থেকে জর্ডান আইয়ুর নিখুঁত এক ক্রস খুঁজে নেয় বক্সে রান নেওয়া কুদুসকে। তাতে মাথা ছুঁইয়ে স্কোরলাইন ২-০ করেন এই আয়াক্স তারকা।
প্রথমার্ধের শেষদিকে কোরিয়া আবার ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে কোরিয়া দ্বিগুণ উদ্দীপনায় আক্রমণ শুরু করে। বেশ কয়েকবার কাছাকাছি এসে ৫৮ মিনিটে কোরিয়ার ডেডলক ভাঙেন নাম্বার নাইন সুয়ে সাং চো। লেফট উইং থেকে বদলি খেলোয়াড় ক্যাঙ ইন লির ক্রসে হেড করে গোল করেন চো। তিন মিনিটের মধ্যে আবার হেড থেকে গোল করেন চো৷ মুহূর্তেই ম্যাচে ফিরে আসে কোরিয়া।
কিন্তু কোরিয়ার উচ্ছ্বাস দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। সাত মিনিটের মধ্যে আবার গোল করে ঘানা। এবার উইলিয়ামসের লক্ষ্যভ্রষ্ট শট ডিফ্লেক্টেড হয়ে গিয়ে পড়ে বক্সের গোরায় দাঁড়িয়ে থাকা কুদুসের পায়ে। কুদুস সোজা শট নেন। কিন্তু কোরিয়া ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষক দুজনই বলের গতিপথ ভুল করে ডাইভ দেয়। ৩-২ গোলে এগিয়ে যায় ঘানা।
শেষ ২০ মিনিটে কোরিয়া একাধারে আক্রমণ করতে থাকে। চো-সনরা বেশ কয়েকবার সমতা ফেরানোর কাছাকাছি চলেও এসেছিলেন। কিন্তু ১০ মিনিটের যোগ করা সময়েও আর গোলের দেখা পায়নি কোরিয়া। ক্লাসিক এক বিশ্বকাপ ম্যাচ শেষে তার মাঠ ছেড়েছে ২-৩ গোলের পরাজয় নিয়ে।