ব্রুনোতে বাজিমাত করে শেষ ষোলতে জায়গা করে নিল পর্তুগাল
পর্তুগাল ২:০ উরুগুয়ে
গত বিশ্বকাপেও দেখা হয়েছিল পর্তুগাল ও উরুগুয়ের। সেবার এডিনসন কাভানির জোড়া গোলে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। এবার পাশার দান উলটে দিয়ে পর্তুগাল হাসল শেষ হাসি। কাভানির জাগায় এবার জোড়া গোল পেলেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ, সেই সাথে পর্তুগাল নিশ্চিত করল শেষ ষোল।
ম্যাচে শুরু থেকেই দুই দলের মধ্যে যেন চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পর্তুগাল বেশ কয়েকবার উরুগুয়ের বক্সে ত্রাস ছড়ালেও উরুগুয়েও ছেড়ে কথা বলেনি। উল্টো পর্তুগালের ডি বক্সের কোণায় এক চালেই রুবেন ডিয়াস ও নুনো মেন্ডেজকে বোকা বানিয়ে বেরিয়ে গিয়ে দুর্দান্ত এক গোল পেয়ে যাচ্ছিলেন রদ্রিগো বেন্টাঙ্কুর। তবে পর্তুগালের রক্ষণভাগের শেষ স্তম্ভ ডিয়োগো কস্তা যেন দেয়াল হয়ে দাঁড়ান। সেই যাত্রায় পর্তুগাল বেঁচে গেলেও কিছুক্ষণ পরেই কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়া নুনোর বিদায়ে একটু হলেও শঙ্কা জাগে পর্তুগাল শিবিরে।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য মাচটা হয় জমজমাট। ৫৪ মিনিটের মাথায় ব্রুনোর বাড়ানো দুর্দান্ত এক বল লাফিয়ে উঠে মাথায় ছোঁয়ানোর চেষ্টা করেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। পর্তুগাল সেখান থেকেই পেয়ে যায় গোল। রোনালদো মাথা দিয়ে বল ছুঁয়েছেন দাবী করায় গোলটা তার নামে গেলেও পরে সেখানে কোনও সংযোগ না পাওয়াতে ব্রুনোকে দেওয়া হয় গোলের কৃতিত্ব। এরপরেই উরুগুয়ে পেলিস্ত্রি ও ডি আরাস্কায়েতাকে নামালে উরুগুয়ে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে যায়। ৭৫ মিনিটের মাথায় বক্সের সামান্য বাইরে থেক ম্যাক্সি গোমেজের বাঁকানো শটে কস্তা পুরোপুরি পরাস্ত হলেও বার কাঁপিয়ে উরুগুয়েকে হতাশ করে বল থেকে যায় জালের বাইরেই। তার চার মিনিট পরেই ডি আরাস্কায়েতা ডান প্রান্তে ফেদের কাছ থেকে বল পেয়েও কস্তাকে শটে পরাস্ত করতে পারেননি।
উলটো স্রোতের বিপরীতে বক্সের মাঝে ব্রনো ঢুকে গিয়েছিলেন হিমেনেজের পায়ের ফাঁক গলে। তবে পড়ে যাওয়ার সময় তিনি বলে হাত লাগালে পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। এই ম্যাচেই বিশ্বকাপে নিজের প্রথম গোল পাওয়া ব্রুনো পেনাল্টি থেকে জালে বল জড়াতেও ভুল করেননি। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে দারুণ এক খেলার পরিক্রমায় তিনি পেয়ে যাচ্ছিলেন হ্যাটট্রিকের দেখা। গেরেইরোর বাড়ানো ক্রস থেকে থেকে পোস্টের কাছাকাছি জায়গা থেকে দারুণ এক ভলি নিলেও রচেতও দেখান সমান দক্ষতা। ঠিক তার পরের মিনিটেই লেওয়াও দারুণ ভাবে রক্ষণ ভাগ ছিড়ে ঢুকে গিয়ে ফাঁকায় থাকা ব্রুনোর উদ্দেশ্যে বল বাড়ালে জোরাল এক শট নিয়েছিলেন তিনি। তবে সেবার বাধা হয়ে দাঁড়ায় বার। পর্তুগাল তাই মাঠ ছাড়ে দুই গোলের জয় নিয়েই।