• ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২
  • " />

     

    ইকুয়েডর-বধ করে নকআউটে সেনেগাল, গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হল্যান্ড

    ইকুয়েডর-বধ করে নকআউটে সেনেগাল, গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হল্যান্ড    

    ইকুয়েডর ১:২ সেনেগাল

    নেদারল্যান্ডস ২:০ কাতার


    গত বিশ্বকাপে ক্ষুদ্রতম ব্যবধানে নকআউট-বঞ্চিত হয়েছিল সেনেগাল। অলিউ সিসের দলের সামনে এবারও উঁকি দিচ্ছিল একইরকম পরিণতি। তবে স্নায়ুকে বশ করে গ্রুপের অঘোষিত নকআউট ম্যাচে ইকুয়েডরকে হারাতে সক্ষম হয়েছে সেনেগাল, প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে নিশ্চিত করেছে শেষ ষোলোও। ‘এ’ গ্রুপের অপর ম্যাচে কাতারকে সহজেই হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস, সাথে সাথে বুঝে নিয়েছে গ্রুপসেরার তকমাও। 

    গ্রুপের সর্বশেষ ম্যাচটি সেনেগালের জন্য যেকোনো ফাইনালের মতোই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রতিপক্ষ ইকুয়েডরও জন্যও তাই। বাছাইপর্বে কলম্বিয়াকে ছয় গোল, উরুগুয়েকে চার গোল দিয়ে বিশ্বকাপে আসা ইকুয়েডর মূল পর্বেও খেলেছে দুর্দান্ত। প্রথম ম্যাচে কাতারকে গুড়িয়ে দেওয়ার পর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও কর্তৃত্ব করে আদায় করেছে এক পয়েন্ট। আফ্রিকান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে তাদের লড়াই যে হাড্ডাহাড্ডি হবে, তা অনুমিতই ছিল। 

    খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে দুই দলই প্রায় সমান সমান ফুটবল খেলে। বরাবরের মতোই নিজেদের শারীরিক শ্রেষ্ঠত্বের উপর নির্ভর করে দুই দল। সেনেগালের জন্য এই ম্যাচ জিততেই হতো, আর ইকুয়েডরের জন্য ড্রই যথেষ্ট ছিল। সে কারণেই হয়তো প্রথমার্ধে ইকুয়েডরকে আক্রমণের চেয়ে রক্ষণে বেশি মনোযোগ দিতে দেখা যায়। প্রথমার্ধের শেষদিকে তাদের মনোযোগ ছেদ ঘটায় ইসমাইলা সার। প্রথমে প্রিসেডো সেনেগালের বাড়ানো একটি বলের বাউন্স বুঝতে ভুল করেন। সেই সুযোগে বল নিয়ে সামনে আগানো সারকে বক্সে ফাউল করে বসে ইকুয়েডরের সেন্টারব্যাক। পেনাল্টি পায় সেনেগাল। যা থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন সার। 

    দ্বিতীয়ার্ধে ইকুয়েডর আগের চেয়ে বেশি আক্রমণে যেতে শুরু করে। ৬৭ মিনিটে একটি কর্নার থেকে গোলও করে বসেন মইসেস ক্যাইসেডো। কিন্তু ইকুয়েডরের সমতা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। দুই মিনিটের মধ্যে আবার এগিয়ে যায় সেনেগাল। এবার বক্সের উদ্দেশ্যে নেওয়া সেনেগালের ফ্রিকিক ক্লিয়ার করতে ভুল করে ইকুয়েডর। বল গিয়ে পড়ে কুলিবালির পায়ে। পাউয়ার শটে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম গোল করেন সেনেগাল অধিনায়ক, যেটি তার দেশের জন্য এ বিশ্বকাপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোল।  

    শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানেই শেষ হয় ম্যাচ। শেষ ষোলোতে গ্রুপ রানার আপ সেনেগালের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হতে পারে ইংল্যান্ড। 

    দিনের অপর ম্যাচে স্বাভাবিক নিয়মেই কাতারকে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস। আগের দুই ম্যাচের তুলনায় এই ম্যাচে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে সক্ষম হয়েছে ডাচরা। বলের দখল রাখার পাশাপাশি বেশি আক্রমণ করার সুযোগ পেয়েছে তারা। এর পিছনে প্রতিপক্ষের দুর্বলতার পাশাপাশি অবদান রেখেছে একাদশে মেমফিস ডিপাইয়ের অন্তর্ভুক্তিও। নেদারল্যান্ডসের শীর্ষ স্ট্রাইকার এই ম্যাচেই প্রথম শুরুর একাদশে জায়গা পেয়েছেন। তবে মেমফিস না, আজও হল্যান্ডকে প্রথম গোলের স্বাদ দিয়েছেন কোডি গাকপো। ক্লাসেনের পাস থেকে করা গাকপোর ২৬ মিনিটের গোল তার টুর্নামেন্টের তৃতীয়। ২-০ ব্যবধানের জয়ের পথে হল্যান্ডের অপর গোলটি করেছেন ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং।