ইরানকে কাঁদিয়ে শেষ ষোলতে ইংল্যান্ডের সঙ্গী যুক্তরাষ্ট্র
ইংল্যান্ড ৩:০ ওয়েলস
ইরান ০:১ যুক্তরাষ্ট্র
নক আউটে এক পা দিয়েই রেখেছিল ইংল্যান্ড। তবে দিনের অন্য ম্যাচ নিয়ে ছিল তুমুল উত্তেজনা। রাজনৈতিক অস্থিরতা তো আছেই, ইরান-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচটা উভয়ের জন্য যেন অঘোষিত ‘ফাইনাল’ হয়েও দাঁড়িয়েছিল। ইরানের প্রয়োজন ছিল ড্র, তবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ছিল না জয়ের কোনও বিকল্প। মাঠে ও মাঠের বাইরের চাপ সামলে দুই দলই শেয়ানে শেয়ানে লড়লেও ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচের একমাত্র গোলে ইরানকে কাঁদিয়ে পরের রাউন্ডে জায়গা করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্য ম্যাচে গাণিতিক সমীকরণে ওয়েলসের সম্ভাবনা টিকে থাকলেও জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবার সুযোগ ছিল না তাদের। ওয়েলসকে সেসব ভাবনার সুযোগ না দিয়ে মার্কাস রাশফোর্ডের জোড়া গোলের সাথে ফিল ফোডেনের গোলে জয় দিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়াও নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড।
ইরানের বিপক্ষেও যুক্তরাষ্ট্র ধরে রেখেছিল নিজেদের গতিময় ফুটবল। ড্রয়ের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নামা ইরান সেই গতিকে রুখতেই সন্তুষ্ট থাকলেও বেশ কয়েকবার ধন্দে পড়ে গিয়েছিল। তারই পরিক্রমায় মাঝমাঠ থেকে ওয়েস্টন ম্যাককেনির বাড়ানো লম্বা বল ডান প্রান্ত দিয়ে আগুয়ান সার্জিনিও ডেস্টকে খুঁজে নিলে মাথা দিয়ে তিনি বল ঠেলে দেন বক্সের মাঝে। সেখানেই ডিফেন্ডারকে ছিটকে বেরিয়ে আসা পুলিসিচ নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে পা লাগিয়ে ইরানের জালে বল জড়িয়ে দেন। গোলের পর উদযাপন তো দূরে থাক, পুলিসিচের মাঠে নামাই শঙ্কার মুখে পড়ে গিয়েছিল ওভাবে শরীর বাড়িয়ে গোল দিতে গিয়ে আহত হওয়াতে। পরে তিনি ঠিকই নেমেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রও ওই এক গোলে এগিয়ে শেষ করেছিল প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ঝুঁকি না নিয়ে তার জায়গায় নামিয়ে দেওয়া হয় ব্র্যান্ডন অ্যারনসনকে। তাতেও কমেনি যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণের ধার। তবে শেষ দিকে ঠিকই নড়েচড়ে বসে ইরান। আগের দুই ম্যাচেই শেষ মুহূর্তে গোল বের করা ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে ভড়কে দিয়ে করে একের পর এক আক্রমণ, আক্রমণের মদ্ধমণি সেই তারেমি। গ্রুপ পর্বে সর্বোচ্চ সুযোগ তৈরি করা এই খেলোয়াড়কে সামলাতে খাবি খাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণ ফাঁকি দিয়ে তিনি শেষ মুহূর্তে ঠিকই বের হয়েছিলেন। যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে বাড়ানো বল এগিয়ে আসা টার্নারের পায়ের ফাঁক দিয়ে তিনি তারেমি বল পাঠিয়ে দিলেও মুর ঝাঁপিয়ে পড়ে সরিয়ে দেন সেই বল। তবে সেখানে তারেমি বলে পা লাগানোর আগেই পড়ে গিয়েছিলেন, ইরান তুলেছিল পেনাল্টির জোর দাবী। তাদের সেই দাবী অগ্রাহ্য হওয়াতে তাদের বরণ করতে হয় পরাজয়ের গ্লানি, আর যুক্তরাষ্ট্র ভাসে পরবর্তী রাউন্ডে ওঠার আনন্দে।