• ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২
  • " />

     

    ফন গালের অধীনে অপরাজিত যাত্রা ধরে রেখে শেষ আটে দুর্দান্ত ডাচরা

    ফন গালের অধীনে অপরাজিত যাত্রা ধরে রেখে শেষ আটে দুর্দান্ত ডাচরা    

    ম্যাচ শেষ হতেই এক ছুটে মাঠে ঢুকে গেলেন মেম্ফিস ডিপাই ও কোডি গাকপো। জয়টা আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, অপেক্ষা করছিলেন বাঁশি বাজানোর। যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করে ফেলল ডাচরা। এবং বলাই যায়, টুর্নামেন্তের বাকি দাবিদারও বার্তা দিয়ে রাখল। 

    লুই ফন গালের এই দফার দায়িত্বে এখনো হারেনি ডাচরা। গ্রুপ পর্বে খুব দাপুটে পারফরম্যান্স অবশ্য ছিল না। কিন্তু নকআউটে গিয়ে আমেরিকানদের মোটামুটি সহজেই হারাল, বুঝিয়ে দিল দুই দলের ফুটবলীয় পার্থক্য।

    ম্যাচের ৩ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত যুক্তরাষ্ট্র। হুট করেই ফাঁকায় বল পেয়ে যান ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিক। ভেবেছিলেন অফসাইডে আছেন, তবে তার বাঁ পায়ের শট ঠেকিয়ে দেন ডাচ গোলরক্ষক নপার্ট।

    প্রথম কয়েক মিনিট বেশ চাপেই রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র, প্রেসও করছিল। কিন্তু নেদারল্যান্ডস বরং এগিয়ে যায়। নিজেদের অর্ধে পাস বিনিময়ের পর দারুণ একটা বিল্ড আপ থেকে বল পান কোডি গাকপো। তার পাস খুঁজে নেয় ডেনজেল ডামফ্রাইসকে। উইংব্যাকের নিখুঁত শট মাপা শতে জালে জড়িয়ে দেন মেম্ফিস ডিপাই, নেদারল্যান্ডসের হয়ে যা তার ৪৩তম গোল। মোট ২০ লাসের পর এসেছে ডিপাইয়ের গোল, ১৯৬৬ সালের পর নেদারল্যান্ডসের সবচেয়ে বেশি পাসের গোল।

    ৪৩ মিনিটে আরেকটি দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন কিংবদন্তি জর্জ উইয়াহর ছেলে টিমোথি উইয়াহ। চেষ্টা করেও বক্সের ভেতর সুবিধা করতে পারছিল না যুক্তরাষ্ট্র, হঠাৎ করেই বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নেন টিমোথি। তবে ডাচ কিপার নপার্ট ছিলেন প্রস্তুত, ডান দিকে ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন দলকে।

    এরপর প্রথমার্ধের শেষদিকে আবার সুযোগ পায় যুক্তরাষ্ট্র। সার্জিনো দেস বক্সের ভেতর ঢুকে পড়েছিলেন, কিন্তু বলটা জালে পাঠানোর ঠিক আগে বিপদমুক্ত করেন ডাচ ডিফেন্ডার।

    কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। এই অর্ধের বাঁশি বাজার ঠিক আগে কর্নার থেকে বল পেয়ে অনেকটা বিনা বাধায় বক্সে ঢুকে পরেন ডামফ্রাইস। এবারও তার ক্রস, ড্যালে ব্লিন্ড দৌড়ে এসে ডান পায়ের মাপা শটে বল জালে জড়িয়ে দেন। দুই গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ডাচরা।

    ৪৯ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় গোল শোধ করে ফেলেছিল। কর্নার থেকে টিম রিম ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন প্রায়। কিন্তু ঠিকমতো শট নিতে পারেননি, গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করে দেন গাকপো।৬০ মিনিটে দূর থেকে আবার ডিপাইয়ের শট, এবার কোনোমতে বারের ওপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন যুক্তরাষ্ট্র কিপার টার্নার।

    ৭৬ মিনিটে গোল শোধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। কর্নার থেকে বল পেয়েছিলেন পুলসিক, তার বাড়ানো বলে ফ্লিক করতে ঠিকঠাক করতে পারেননি হাজি রাইট। কিন্তু কীভাবে যেন বলটা জড়িয়ে যায় জালে।কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ৮১ মিনিটে ব্লিন্ডের বাঁদিক থেকে উড়ে আসা ক্রসে সুন্দর এক ভলিতে বল জালে জড়িয়ে দেন ডামফ্রাইস। দুই অ্যাসিস্টের সাথে পেলেন গোলও। 

    শেষ দিকে চেষ্টা করেও আর গোল পায়নি কোনো দল। তবে নেদারল্যান্ডস তাতে অখুশি হবে না। জয়ের সঙ্গে তারা যে নিজেদের শক্তিও জানান দিয়েছে।