ধ্রুপদী এমবাপেয় চড়ে কোয়ার্টারে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা
ফ্রান্স ৩:১ পোল্যান্ড
কিলিয়ান এমবাপে এক অর্থে বিশ্বকাপেরই সন্তান। চার বছর আগে বিশ্বকাপ দিয়েই নিজের আগমনবার্তা জানিয়েছিলেন। কাতারেও প্রতি ম্যাচে গত আসরের দেজাঁ ভু দেখিয়ে চলেছেন এই ২৩ বছর বয়সী। গ্রুপ পর্বে অসাধারণ খেলার পর নকআউটের প্রথম ম্যাচে উপহার দিলেন গুণমুগ্ধ হওয়ার মতো খুনে ফুটবল। তার জোড়া গোল ও অ্যাসিস্টের উপর ভর করে শেষ ষোলোতে পোল্যান্ডকে সহজেই হারাতে সক্ষম হয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
দোহায় দিনটা শুরু হয়েছিল অবশ্য আরেক ফরাসির কীর্তি দিয়ে। শুরুতে একটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করার পর প্রথমার্ধের শেষদিকে এসে এমবাপের পাস থেকে জাল খুঁজে পান ফরাসি নাম্বার নাইন অলিভিয়ের জিরু। এবং এই গোলের মাধ্যমেই কিংবদন্তি থিয়েরি অঁরিকে ছাড়িয়ে ফ্রান্সের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলের মালিক বনে যান জিরু(৫২)।
এর আগে অবশ্য ৩৮ মিনিটে ডেডলক ভেঙেই ফেলেছিল পোল্যান্ড। প্রথমে ব্রেজেনস্কির শট লরিস ফেরালেও রিবাউন্ডে আবার শট করেন পোলিস লেফটব্যাক। উপামেকানো দ্বিতীয় শট ফেরালে বল যায় কামিস্কির পায়ে। তার শট গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন ভারান। পুরো ম্যাচে এরচেয়ে বড় সুযোগ আর পায়নি পোল্যান্ড।
প্রথমার্ধে দুই উইং দিয়ে পোল্যান্ডের ডিফেন্সে ত্রাস সৃষ্টি এমবাপে ও ডেম্বেলে পরের অর্ধেও অব্যাহত রাখেন তাদের আগ্রাসন। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রক্ষণ ও মিডফিল্ড থেকে খেলার গতি কিছুটা কমিয়ে দেয় ফ্রান্স।
৭৪ মিনিটে একটি কাউন্টার থেকে দ্বিতীয় গোল করে ফ্রান্স। এবারও কাউন্টারে বল নিয়ে উঠেন ডেম্বেলে। ডানপাশ দিয়ে উঠে বক্সে বামে রান নেওয়া এমবাপেকে পাস দেন তিনি। বল রিসিভ করে সামনে দাঁড়ানো দুই ডিফেন্ডারের দিকে চোখ বুলিয়ে বুলেটগতি এক শট করেন নিয়ার পোস্টে। এই বল ফেরানোর সুযোগই পাননি গোলরক্ষক ভয়চেক শেজনি।
যোগ করা সময়ে আরেকটি ওয়ান্ডার-গোল করেন এমবাপে। এবারও বক্সের বাঁ পাশে বল পান এমবাপে। ডান পায়ে বলটা হালকা টেনে পোস্টের সর্বোচ্চ কোণে বাঁকানো এক শট নেন। এই শটেরও কোনো জবাব ছিল না টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ সেভ করা শেজনির।
যোগ করা সময়ের শেষ মিনিট পোল্যান্ড একটি পেনাল্টি পেলেও লেভানডফস্কির গোল সান্ত্বনা হিসেবেই থেকে যায়।