যে কারণে হাসপাতালে থাকছেন পেলে
ক্যামেরুনের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই দুঃসংবাদ পেয়েছিল পুরো ব্রাজিল। পুরো বিশ্ববাসী শঙ্কিত হয়ে পড়েছিল কিংবদন্তী পেলের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবরে। দোহায় টাওয়ারও প্রজ্বলিত হয়েছিল পেলের সুস্থতা কামনা করে। শোনা গিয়েছিল ক্যান্সারে আক্রান্ত পেলে আর কেমোথেরাপিতে সাড়া দিচ্ছেন না। তাই তার বেদনা কমাতে জীবনের শেষ মুহূর্তগুলো হাসপাতালের চার দেয়ালের মাঝে সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়ার চেষ্টাই চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ইন্সটাগ্রামে পেলের মেয়ে কেলি নাসিমেন্তো বিষয়টা পরে পরিষ্কার করেছেন। আর পরে পেলে নিজেও ইন্সটাগ্রামে বার্তায় সুস্থ আছেন বলেই জানিয়েছেন। বিশ্বকাপে ব্রাজিলের খেলা তিনি দেখছেন, দর্শকদেরও চিন্তামুক্ত হয়ে ব্রাজিলের সমর্থন দেওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছেন তিনি। তবে পেলের মেয়ে তার বাবাকে নিয়ে এমন গুজব ছড়ানোতে বেশ মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছেন। সেই সাথে কেন পেলেকে এখনও হাসপাতালেই থাকতে হবে সেটাও জানিয়েছেন।
কেলি জানান, "প্রায় তিন সপ্তাহ আগে উনার কোভিড হয়েছিল। হ্যাঁ, উনি কিন্তু টিকাপ্রাপ্ত। তবে ক্যান্সারের জন্য যেই কেমোথেরাপি ও ওষুধপত্র চলছে সেটার সাথে টিকার প্রতিক্রিয়ায় তার ফুসফুসে ইনফেকশন হয়েছে। এই ফুসফুসের ইনফেকশনের জন্যই দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তার বয়স তো হয়েছে, সেই সাথে ক্যান্সারের জন্য চিকিৎসা চলছে। তাই তাকে হাসপাতালে নেওয়াটা আবশ্যিক হয়ে দাঁড়িয়েছিল।"
"হাসপাতালে তো উনাকে আরও ভালোভাবে দেখভাল করা যায়, পর্যবেক্ষণ করা যায়। কিন্তু উনাকে কোনও আইসিইউতে রাখা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই রুমে আছেন। তার জীবনের কোনও শঙ্কা নেই আপাতত। তবে আপনারা যে বলে বেড়াচ্ছেন যে উনি উনার জীবনের শেষ পর্যায়ে আছেন এগুলো কিন্তু খুবই হতাশাজনক। বিষয়টা তো মোটেও এরকম নয়, বিশ্বাস করুন। এরকম মুহূর্ত যেন না আসে সেটা আমাদের চেয়ে বেশি কেউ চায় না। একদিন অবশ্যই এই করুণ মুহূর্তের সম্মুখীন হতে হবে আমাদের, কিন্তু সেই সময় এখনও আসেনি। যা হয়নি সেটা রটিয়ে সবাইকে শঙ্কার মধ্যে ফেলে দেওয়ার কোনও প্রয়োজন দেখি না আমি।"
সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে থাকা পেলেকে নেওয়ার বিষয়ে আগে যা শোনা গিয়েছিল সেগুলোর সবটাই খুলে বলেছেন তার মেয়ে। বর্তমানে শঙ্কামুক্ত থাকলেও অনেকদিন ধরেই ক্যান্সারের জন্য ভুগছেন এই কিংবদন্তী। ২০২১ সালে তার কোলনের টিউমার অপসারণ করার আগে গুয়ারুহায় নিজের বাড়িতে মেটাস্ট্যাটিক ক্যান্সারের জন্য চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। এরপর এই কোলন কান্সার ৮২ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান বিশ্ব জয়ীর জন্য বেশ কিছুদিন ধরে শঙ্কার কারণ হয়ে রয়েছে।