• ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২
  • " />

     

    স্পেনকে টাইব্রেকারের ধন্দে ফেলে মরক্কোর ইতিহাস

    স্পেনকে টাইব্রেকারের ধন্দে ফেলে মরক্কোর ইতিহাস    

    স্পেন ০(০):০(৩) মরক্কো


    ম্যাচের আগে স্পেনের কোচ লুইস এনরিকে আশা পোষণ করেছিলেন তার শিষ্যরা গত বিশ্বকাপের মত কিছু হতে দিবে না। গত বিশ্বকাপের পর গত ইউরোতেও স্পেন টাইব্রেকারে বাদ পড়ার পর তাদের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে দিয়ে হাজার পেনাল্টি নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছিলেন কোচ। এনরিকে ঠিকই টের পেয়েছিলেন মরক্কোর সাথে ম্যাচে তাদের জন্য কী অপেক্ষা করছিল, সেটার জন্য প্রস্তুতিও সারলেন। তবে আটকে পড়লেন সেই জালেই। যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই তো রাত হয়! এর আগে তিন বারের দেখায় যে মরক্কোর বিপক্ষে কখনও হারেনি স্পেন, সেই মরক্কোর কাছেই পেনাল্টি শুট আউটে হেরে বিদায় নিল স্পেন। আর সেটার জন্য তাদের গোলকিপার ইয়াসিন বোনোকে ধন্যবাদ জানাতেই পারে মরক্কো।

    নির্ধারিত সময়ের ম্যাচে তেমন কোনও আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারেনি দুই দলের কেউই। মরক্কোর অরধে স্পেন ঘুরঘুর করলেও গোলমুখে সুযোগ তৈরি করেছিল মরক্কো। ম্যাচের স্রোতের বিপরীতে ৪৩ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে হাকিমি ক্রস বাড়ালে সেটা সরিয়ে দেন বুসকেটস। বুফানের পায়ে সেই বল পড়লে বাঁ পায়ে তিনি সেখান থেকে ক্রস বাড়ান আগুয়েরদের উদ্দেশ্যে, তবে সেবার বাইরে মারেন আগুয়েরদ।

    দ্বিতীয়ার্ধে বদলি খেলোয়াড় নেমেও স্পেনের খেলায় ধার ফেরাতে পারেনি। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে যেয়ে মরক্কোর অতর্কিত আক্রমণে ভড়কে গিয়ে কিছুটা নড়েচড়ে বসে স্প্যানিশরা। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে অলমোর বাড়ানো একটি ক্রস কোনমতে হাতে লাগান বোনো, আশেপাশেই ঘুরতে থাকা নিকো বা রদ্রি পায়ে পেলেই সেবার ঘটে যেত বিপদ।

    সেবার বিপদ না ঘটলে অতিরিক্ত সময়েও স্পেন বলের দখল নিয়ে আধিপত্য বিস্তার করতে চাইলে মরক্কো খেলে রয়েসয়ে। সেই পরিকল্পনা নিয়ে ১০৪ মিনিটে মরক্কো পেয়েছিল সুবর্ণ সুযোগ। উনাহির বাড়ানো পাস চেদিরাকে ফাঁকায় খুঁজে নিলে গোলমুখে খালি হয়ে যান তিনি। তবে সিমোনকে সেবার ফাঁকি তো দিতে পারলেনই না, উলটো মারলেন তার গায়ে। ম্যাচের একদম শেষ মিনিটে গিয়ে স্পেনও পায়ে ঠেলে দেয় এমন এক সুযোগ। বক্সের মাঝে বল পেয়ে ভলি করেন সারাবিয়া। তবে সেবার পোস্ট তাদের মাঝে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালে স্পেনকে বরণ করতে হ টাইব্রেকার ভাগ্য।

    প্রথম পেনাল্টি জালে জড়িয়ে আবদেলহামিদ সাবিরি শুরু করার পর স্পেনকে নির্ধারিত সময়ে জিনি পোস্টের বাঁধায় ম্যাচ জেতাতে পারেননি সেই সারাবিয়া বল মেরে বসেন পোস্টে। মরক্ককে জিয়েশ ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে নিলে সোলেরের পরবর্তী পেনাল্টি দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন বোনো। তবে সিমোন মরক্কোর এরপরের পেনাল্টি ঠেকিয়ে বসলে সুযোগ পায় স্পেন। বুস্কেটসের নেওয়া সেই পেনাল্টি পড়ে ফেলে বোনো বাধা হয়ে দাঁড়ালে স্পেন ডোবে পরাজয়ের গ্লানিতে। আর ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মত কোয়ার্টার ফাইনালে চলে যায় মরক্কো।