শেষ ষোলতে বিদায়ের দায় নিয়ে স্পেনের কোচের দায়িত্বে অব্যাহতি দিলেন এনরিকে
মরক্কোর বিপক্ষে ম্যাচের আগে লুইস এনরিকে ঘোষণা দিয়েছিলেন তার খেলোয়াড়দের এই বিশ্বকাপের আগে ১০০০ পেনাল্টি নেওয়ার লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন। যেই টাইব্রেকার নিয়ে কোচের মনে ভয় ছিল, যেই টাইব্রেকার জুজু তিনি অনুশীলনের মধ্য দিয়ে কাটাতে চেয়েছিলেন সেই টাইব্রেকারে হেরেই বিদায় নিতে হয়েছে মরক্কোর কাছে। এতো এতো পেনাল্টি অনুশীলন করিয়েও তার খেলোয়াড়েরা টাইব্রেকারে একবারও বল জালে জড়াতে পারেননি। ব্যর্থতার দায়ভার বুঝে নিয়ে তাই স্পেনের মুল কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন এনরিকে। তার জায়গায় এসেছেন স্পেনের অনূর্ধ্ব-২১ দলের কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে।
২০১৮ সালে স্পেনের দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১৯ সালে কিছু সময়ের জন্য কোচের পদ থেকে এনরিকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তার প্রয়াত মেয়ের তখন হাড়ের ক্যান্সার ধরা পড়ায়। পরে আবার দায়িত্বে ফিরে তরুণ এক স্কোয়াড নিয়ে ইউরোতে সেমি-ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন দলকে। তবে সেবারও ইতালির কাছে এই টাইব্রেকারে হেরেই বিদায় নিতে হয়েছিল স্পেনকে।
ইউরোর হৃদয়ভঙ্গ কাটিয়ে উঠে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত সূচনা করেছিল স্পেনের এনরিকে। দল নির্বাচনের পর এনরিকের দিকে পক্ষপাতিত্বের আঙুল কম তোলা হয়নি। তবে কোস্টারিকাকে ৭-০ গলে বিধ্বস্ত করে সমালোচকদের মুখ কিছু সময়ের জন্য হলেও বন্ধ করেছিল তার দল। তবে এরপর জার্মানির সাথে ১-১ গোলে ড্র করার পর জাপানের সাথে ২-১ গোলে হেরে বসে স্পেন। গ্রুপে দ্বিতীয় হয়ে উঠলেও তৃতীয় ম্যাচে কিছু সময়ের জন্য গ্রুপ পর্বেই বিদায় চোখ রাঙাচ্ছিল লা ফুরিয়া রোহাদের। সেবার পার পেয়ে গেলেও মরক্কোর ইতিহাস গড়ার রাতে টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপে শেষ ষোলতে বিদায় নিতে হয় তাদের। ব্যর্থতার পূর্ণ দায়ভার নিয়ে তাই তাকে বিদায় নিতে হয়েছে তাকে।
স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন এক বিবৃতিতে জানায়, "আমরা নতুন এক প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছি। আমরা তাই লুইস এনরিকে ও তার পূর্ণাঙ্গ কোচিং দলকে তাদের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই।"