• ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২
  • " />

     

    ‘অপ্রতিরোধ্য’ ব্রাজিলের সামনে মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়া

    ‘অপ্রতিরোধ্য’ ব্রাজিলের সামনে মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়া    

    ফেভারিট হিসেবেই কাতারে পা রেখেছিল ব্রাজিল। গত ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে উড়িয়ে দেওয়া ব্রাজিল ইতোমধ্যে বাকি দলগুলোকে বুঝিয়ে দিয়েছে তারা কেন ফেভারিট। হেক্সার মিশনে নেইমারদের পরবর্তী প্রতিপক্ষ গতবারের রানার আপ ক্রোয়েশিয়া। 

    গত আসরের মতো উদ্যমী ফুটবল না খেললেও ক্রোয়েশিয়া এবারও পরিকল্পনামাফিকই এগুচ্ছে। মরক্কো, বেলজিয়াম ও কানাডার কঠিন গ্রুপ থেকে উঠে আসা দলটি শেষ ষোলোতে জাপানকে হারিয়েছে টাইব্রেকারে। গত আসরে ফাইনালের আগ পর্যন্ত খেলা তিনটি নকআউট ম্যাচেই নির্ধারিত সময়ে ড্র করেছিল লুকা মদ্রিচরা, এরপর অতিরিক্ত সময় বা টাইব্রেকারে গিয়ে জিতেছিল ম্যাচ। একই কোচ, একই অধিনায়ক নিয়ে কাতারে পা রাখা ক্রোয়েশিয়া এবার তার পুনরাবৃত্তি করার স্বপ্নই হয়তো দেখছে। জাপানের বিপক্ষে পার পেয়ে গেলেও জলাটকো দালিচের জন্য আজ বড় পরীক্ষা অপেক্ষা করছে কাতারের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে। অতিরিক্ত সময়ের আগে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে নেইমার-ভিনিসিয়াসদের আটকানোটাই অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে ক্রোয়েশিয়ার জন্য। 

    ব্রাজিল কোচ তিতের জন্য সবকিছু পরিকল্পনার চেয়েও ভালো চলছে। জাপানের পর ক্রোয়েশিয়া, প্রথম দুই নকআউট ম্যাচে এমন প্রতিপক্ষ পাবেন টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সেটা হয়তো আশাই করেননি তিনি। সার্বিকভাবে তিতের দল যেখানে থাকার কথা সেখানেই আছে। বাকি বড় দলগুলোর মতো টুর্নামেন্টে সামনে আগানোর সঙ্গে সঙ্গে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ব্রাজিল। মূল তারকা নেইমার ফিরে এসেছেন, গত ম্যাচে পেয়েছেন গোলের দেখাও। ভিনিসিয়াস, রিচার্লিসন, রাফিনহারাও রয়েছেন দারুণ ছন্দে। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে তাই স্বাভাবিকভাবেই ব্রাজিল ফেভারিট।   

    পূর্বের দেখায় 

    এর আগে তিনবার ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হয়েছে ব্রাজিল। তিনবারই ম্যাচ জিতেছে দক্ষিণ আমেরিকার দলটি। বিশ্বকাপে দুই দলের দেখা হয়েছে দুবার, যার মধ্যে সর্বশেষটি ছিল ব্রাজিলেই। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল নেইমাররা। 

    কে আছেন, কে নেই 

    এই টুর্নামেন্টে ক্রোয়েশিয়ার ইনজুরি নিয়ে বলতে গেলে ভুগতেই হয়নি। তবে জাপানের বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচে অসুস্থতার জন্য খেলতে পারেননি লেফটব্যাক বোনা সোসা। আজ আবার দলে ফিরতে পারেন তিনি। 

    দল নির্বাচনে জলাটকো দালিচের সবচেয়ে বেশি মাথা ঘামাতে হবে অবশ্য সামনে। ব্রুনো পেটকোভিচ, আন্তে বুদিমির, মার্কো লিভায়া, আন্দ্রে ক্রামারিচ; ফরওয়ার্ড পজিশনে অনেককেই চেষ্টা করিয়েছেন ক্রোয়েশিয়া কোচ। কিন্তু কেউই আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি সেভাবে। 

    নেইমারের পর এই ম্যাচে ইনজুরি থেকে ফিরতে পারেন লেফটব্যাক অ্যালেক্স সান্দ্রো। জুভেন্টাস লেফটব্যাক ফিরলে আবার বেঞ্চে চলে যাবেন তার ক্লাব সতীর্থ দানিলো। ব্রাজিলের বাকি একাদশে কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।   

    সম্ভাব্য একাদশ 

    ক্রোয়েশিয়া (৪-৩-৩): লিভাকোভিচ, জুরানোভিচ, লভ্রন, গার্দিওল, সোসা; ব্রোজোভিচ, কোভাচিচ, মদ্রিচ; ক্র্যামারিচ, লিভায়া, পেরিসিচ। 

    ব্রাজিল (৪-২-৩-১): অ্যালিসন, মিলিতাও, মার্কুইনোজ, সিলভা, সান্দ্রো; কাসেমিরো, পাকেতা; রাফিনহা, নেইমার, ভিনিসিয়াস; রিচার্লিসন।