ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে কোনো কথাবার্তায় কানে দিচ্ছেন না এমবাপে
কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের খেলা পড়ার পর থেকেই ব্রিটিশ মিডিয়ায় একটি প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছেন কিলিয়ান এমবাপে। ইংল্যান্ড কীভাবে এমবাপেকে ঠেকাতে পারে তা নিয়ে সারা বিশ্বেই হচ্ছে বিশ্লেষণ। ফরাসি অধিনায়ক হুগো লরিস জানিয়েছেন, ম্যাচের আগে এসব আলোচনায় কান দিচ্ছেন না এই ২৩ বছর বয়সী।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে লরিস বলেন, “সে তার লক্ষ্যে স্থির। এবং টুর্নামেন্ট শুরুর পর থেকেই সে বেশ খুশি। এই ম্যাচের জন্যও সে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার ব্যাপারে যেসব কথাবার্তা হচ্ছে সেগুলোতে সে কানে দিচ্ছে না মোটেও।”
পাঁচ গোল দিয়ে এই বিশ্বকাপের গোলদাতাদের তালিকায় এখন সবার উপরে আছেন এমবাপে। বড় টুর্নামেন্টগুলোয় এখন পর্যন্ত যেই ১৩টি ম্যাচে শুরু করেছেন এমবাপে, তার কোনোটিই হারেনি ফ্রান্স। বিশ্বকাপে নয়টির মধ্যে জিতেছে নয়টিতেই। এই নয় ম্যাচে ১২টি গোলে অবদান রেখেছেন তিনি। এছাড়া বিশ্বকাপে ফ্রান্সের সর্বশেষ সাতটি গোলই এমবাপে হয় নিজে করেছেন, অথবা কাউকে দিয়ে করিয়েছেন।
তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রি-ম্যাচ শোগুলোয় ফুটবল বিশ্লেষকদের আলোচনার অন্যতম বিষয় হয়ে উঠেছে কীভাবে কাইল ওয়াকার ও ইংল্যান্ড এমবাপেকে ঠেকাবে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, এমবাপেকে আটকানোর জন্য বহুদিন আগে থেকেই আলাদা পরিকল্পনা সাজিয়ে রেখেছেন গ্যারেথ সাউদগেট।
ওয়াকার ও এমবাপে ক্লাব পর্যায়ে মুখোমুখি হয়েছেন তিনবার, যার মধ্যে দুবারই জয় নিয়ে ফিরেছেন ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডার।
ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম বলেন, “ইংল্যান্ড কিলিয়ানের জন্য প্রস্তুত থাকবে। কিন্তু যেকোনো সময় তফাৎ গড়ে দেওয়ার সক্ষমতা তার আছে। গত ম্যাচেও কিন্তু সে এত ভালো খেলেনি, কিন্তু ঠিকই ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। আমাদের অন্যান্য খেলোয়াড়ও আছে, কিন্তু কিলিয়ান তো কিলিয়ানই।”